কলারোয়ায় ইজারাকৃত বাওড়ে সরকারি বরাদ্দকৃত মৎস্য রেনু!
কলারোয়ায় ইজারাকৃত বাওড়ে অবমুক্ত করা হলো সরকারি বরাদ্দকৃত মৎস্য রেনু। ইজারাকৃত বাওড়ে সরকারি বরাদ্ধকৃত মাছ ছাড়ায় জনমনে সৃষ্টি হযেছে তীব্র ক্ষোভের। চলছে কানা ঘুষাও।
মৎস অফিস সূত্রে জানা গেছে- চলতি বছরে কলারোয়ায় উন্মুক্ত জলাশয়, প্লাবন ভূমি, প্লাবিত ধানক্ষেত ও প্রতিষ্ঠান জলাশয়ে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ও ২ লক্ষ টাকার মৎস রেনু সর্বমোট ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্য বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দকৃত মৎস রেনুর মধ্যে ১ হাজার ১০ কেজি রেনু ছাড়া হয়েছে। উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের দরবাসা ফাজিলকাটি মনোশা বাওড় জলাশয়টি মূলত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি. যার নিবন্ধন নং- ১০০/৭ তাং ১৫/৫/২০০৯ নামে ইজারা নেয়া।
সমবায় সমিতির সভাপতি বিমল পোদ্দার সাংবাদিকদের জানান- সমিতির নামে বাওড়টি ইজারা নিলেও বাওড়টি ভোগদখল করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদের ভাই আব্দুর রউফসহ এলাকার কতিপয় ব্যক্তি।
তিনি আরও জানান- সমিতিতে নামমাত্র কিছু টাকা দেয়া হয়। চলতি বছরে ১ হাজার ১০ কেজি মৎস্য রেনু বাওড়টিতে ছাড়া হয়েছে। মৎস্য কর্মকর্তা নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান- বাওড়টির নামে সরকারি ভাবে ২ লক্ষ টাকার মাছ বরাদ্দ হয়েছে। বরাদ্দকৃত মাছ সরবরাহের জন্য ৩জন ব্যক্তি টেন্ডার কোটেশনে অংশ গ্রহন করেন। ওই সকল ব্যক্তিরা হলেন কেরালকাতা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদের ভাই আব্দুর রউফ, মুরারীকাটি গ্রামের অমল বাবু ও একই গ্রামের বাওড় ইজারা গ্রহিতা বিমল পোদ্দার। কিন্তু কোটেশনে আব্দুর রউফ সর্ব নি¤œ মূল্য ৯৮টাকা ধার্য করায় সমুদয় মৎস্য রেনু তার কাছ থেকে সরবরাহ করা হয়েছে।
বাওড়টি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে ইজারা নেয়া থাকলেও ভোগদখলকারী আব্দুর রউফসহ ওই এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি বলে স্থানীয়রা জানান।
এই বিষয়টি মৎস্য কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানান। তিনি জানান- ‘অভিযোগ আসলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। রেনু সরবরাহকৃত ব্যক্তি মৎস্য চাষী হতেই হবে এমন কোন নীতিমালা নাই।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ইজারা প্রদান করা মনোশা বাওড়ে মৎস্য রেনু সরবরাহ করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীনের সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের জানান- ‘বাওড়টি প্রকৃত ইজারাদারদের বাহিরে কেউ ভোগ দখল করেন এমন ধরনের কোন অভিযোগ তার কাছে নাই। এবং ইজারা গ্রহিতা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি বিমল পোদ্দার সরবরাহকারী হিসাবে টেন্ডার কোটেশন অংশ গ্রহন করতে পারবেন কি না, সরকারি নীতিমালায় আছে কিনা এ ধরনে তথ্য তার জানা নাই।’
এ বিষয় নিয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদের ভাই আব্দুর রউফের সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের জানান- ‘বাওড়টি দেখাশুনার জন্য এলাকার কিছু ব্যক্তি নিয়োজিত আছেন। কিন্তু মূলত বাওড়টি মাছ বেচাকেনা থেকে শুরু করে সকল কার্যক্রমে সমিতির সভাপতি বিমল পোদ্দারের স্বাক্ষরিত মেমো ব্যবহার করা হয়।’
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিক উন্মুক্ত জলাশয় থাকা সত্বেও ইজারাকৃত বাওড়ে সরকারি বরাদ্দকৃ মাছ ছাড়ায় এলাকার জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী বিষয়টি নিয়ে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়া জরুরী বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন