আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সাবেক তথ্য প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন।

রবিবার তার কালিহাতী বাসভবনে জনাকীর্ণ পরিবেশে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমি জনগণের পক্ষে কথা বলতে এসেছি। আমার নিজের পক্ষে কথা বলতে এসেছি। ২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আমি যখন সংসদ থেকে পদত্যাগ করি তখন আমার প্রথম কথা ছিল আমি একজন মুসলিম, আমি আওয়ামী লীগার। বিশেষ কারণে আমি দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছি। দলের এই বহিষ্কার আমি আনন্দের সাথে গ্রহণ করেছি। ভুল ব্যাখ্যার কারণেই হোক আর যে কোনো কারণেই হোক জনগণ ক্ষুদ্ধ হয়েছিল। জনগণের হৃদয়ে আঘাত লেগেছিল বলেই নেত্রী শেখ হাসিনা মনে করেছেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে আওয়ামী লীগে রাখলে বাংলার জনগণের ক্ষতি হবে। স্বার্থের হানি হবে। তাই তিনি আমাকে দল থেকে বের করে দিয়েছেন। আমি তা সাদরে গ্রহণ করেছি। আমি এখনো নিজেকে আওয়ামী লীগার মনে করি। আমি এই বয়সে কোথায় যাবো!

তিনি আরও বলেন, ঐক্যফ্রন্ট থেকে কাদের সিদ্দিকী আমাকে ডাক দিয়েছিল। যে আপনি যদি আমাদের সাথে না আসেন তাহলে আপনার বিরুদ্ধে আমরা প্রার্থী দিব। আমি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নই। আমি এসেছি ঐক্যফ্রন্টের বিরুদ্ধে। যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বেনিফিসিয়ারী, যারা স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, খুনি, রাজাকার তাদের বিরুদ্ধে। যারা শোষক, শাষক অত্যাচারিত তাদের বিরুদ্ধে আমি আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আমি আওয়ামী লীগে বিরুদ্ধে নই, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নই। এখানে আওয়ামী লীগে যারা আছে তাদের মধ্যে বিভেদ ও দ্বন্দ্ব কাজ করছে। তার মধ্যে ঐক্য সাধনের জন্য আমি ৪০ বছর ঐক্য রক্ষা করেছি। আমার ধারণা আমি এবারও ঐক্য রক্ষা করতে পারবো।

রবিবার সকালে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর কালিহাতীর বাসভবনে তাদের প্রিয় নেতাকে দেখতে হাজার হাজার লোকজনের সমাগম ঘটে। আগত সকলেই দাবি, লতিফ সিদ্দিকীকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে হবে। আমরা নেতার লোক নেতার সাথেই আছি এবং থাকবো। লফিত সিদ্দিকী ছাড়া কালিহাতী কল্পনাও করা যায় না।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে তিনি পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে কটূক্তি করেন। পরে তার বিরুদ্ধে সারাদেশে মামলা হয়। এরপর জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং আওয়ামী লীগের সকল পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এতে তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাধারণ সদস্য পদ হারান।

Kalaroa News

---

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)

---