ইলিশের কেজি ৫ হাজার টাকা
বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ আসতে এখনও এক সপ্তাহ বাকি। এরই মধ্যে ইলিশের বাজারে বৈশাখী আমেজ তুঙ্গে। নগরবাসী বাংলা নববর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতিতে পোশাক-প্রসাধনীর পাশাপাশি ছুটছেন বাজারে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাংলা নববর্ষ উদযাপনের অনুষঙ্গ না হলেও চাহিদা বাড়ায় রুপালি ইলিশের দামটা বিক্রতারা বাড়িয়ে দিয়েছেন কয়েকগুণ।
রুপালি ইলিশের দাম বাড়া নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বিক্রেতারা বলছেন, এখন ইলিশের মৌসুম না হওয়ায় সব ধরনের ইলিশের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, প্রতিবছর বাংলা নববর্ষের আগে অতিমুনাফার আশায় দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।
রোববার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ানবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজি ৫শ গ্রাম ওজনের একেকটি ইলিশের দাম হাঁকা হচ্ছে ৭ হাজার ২শ থেকে ৭ হাজার ৫শ টাকা। এক সপ্তাহ আগে এ সাইজের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৩৫শ থেকে চার হাজার টাকায়। জানান এক বিক্রেতা। এক কেজি বা এককেজি ৩শ গ্রাম সাইজের ইলিশের কেজি ২৮শ থেকে ৩ হাজারট ৫শ টাকায় টাকা বিক্রি করতে দেখা যায়। যেগুলো এক সপ্তাহ আগে দেড় হাজার থেকে থেকে ২২শ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এ বাজারে ৯শ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিহালি ৬ হাজার থেকে ৬ হাজার ৫শ টাকা, ৭শ গ্রাম সাইজের ইলিশের হালি ২৬শ থেকে ২৮শ টাকা, ৫শ গ্রাম সাইজের ইলিশের হালি ২ হাজার থেকে ২২শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের পাইকারি মাছ বিক্রেতা মুসলিম ব্যাপারী বলেন, এখন ইলিশের মৌসুম না হওয়ায় ইলিশ ধরা পড়ছে কম। তাছাড়া বৈশাখ আসায় জেলেরাও বেশি দাম চাইছে। আবার বৈশাখ উপলক্ষে প্রতিবছরই ইলিশের বাড়তি চাহিদা থাকে। এ হিসেবে ইলিশের দাম কিছুটা বেড়েছে। আগামী সপ্তাহে আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।তবে এ মাছ ব্যবসায়ীর সঙ্গে একমত নন এ বাজারের মাছ ক্রেতা নাহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, প্রতিবছরি বৈশাখের আগেই মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা মাছের দাম বাড়িয়ে দেন। এজন্য এ সময়টা বাজার তদারকি বাড়ানো দরকার।
আহমেদ জামান নামে অপর ক্রেতা বলেন, ইলিশের দাম বাড়ার জন্য বিক্রেতাদের চেয়ে ক্রেতারাই বেশি দায়ী। সামাজিক মাধ্যমে বৈশাখে ইলিশ না খাওয়ার জন্য বলা হলেও ক্রেতারা বৈশাখের আগেই বাজারে ভিড় করছেন। তাদের ভিড়ের কারণে বিক্রেতারা এ সুযোগ নিচ্ছেন। ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
ইলিশের পাশাপাশি বেড়েছে মাংস ও অন্য সাদা মাছের দাম। এ বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮২০, ছাগীর মাংস ৭২০ টাকা কেজি দরে। আর ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। আর কক মুরগির বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ২শ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১শ ৬০ থেকে ২শ টাকা কেজি, রুই ২শ ৫০ টাকা থেকে ৩শ ৫০ টাকা, মৃগেল ১৭০ টাকা থেকে ৩শ টাকা, পাবদা ৩শ ৫০ থেকে ৫শ ৫০ টাকা কেজি, টেংরা কেজি ৪শ ৫০ থেকে ৬শ টাকা, শিং ৩শ থেকে ৬শ টাকা কেজি, বোয়াল ৪শ থেকে ৭শ টাকা কেজি, গলদা চিংড়ি ৪শ থেকে ৫শ৫০ টাকা, হরিনা চিংড়ি ৪শ থেকে ৫শ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন