অপরিকল্পিত ঘরবাড়ী নির্মাণ ও নাজুক ড্রেনেজের জেরে জলাবদ্ধতায় সাতক্ষীরা পৌরবাসী
৩১ দশমিক ১০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সাতক্ষীরা পৌরসভার বাসিন্দা প্রায় ১লক্ষ ২০ হাজার। ১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত পৌরসভাটি নাগরিক সেবার মনদন্ডের ভিত্তিতে ১৯৯৮ সালে প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত হয়।
সাতক্ষীরা শহর, কাটিয়া, রসুলপুর, পলাশপোল, রামের ডাঙ্গা, কামালনগর, ইটাগাছা, কুখরালী ও বাঁকাল এলাকা নিয়ে পরিকল্পিত আধুনিক শিল্পনগরী গড়ে তোলার লক্ষ্যে মহা-পরিকল্পনার আওতাভুক্ত রোড নেটওয়ার্ক পরিকল্পনাসহ পরিবহন ও যানবাহন ব্যবস্থার পরিকল্পনা, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার পরিকল্পনা প্রনয়ণ এবং তদনুযায়ী নাগরিক সেবা সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল প্রকার ভৌত অবকাঠামো, নিরাপদ শহর গড়ার লক্ষ্যে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও সুষ্ঠু তদারকির মাধ্যমে স্বয়ং সম্পূর্ণ আধুনিক পৌরসভা গড়ার প্রত্যয়ে সাতক্ষীরা পৌরসভা গঠন করা হলেও বর্তমানের বাস্তবচিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।
পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থার চরম নাজুক অবস্থায় পড়ে আছে। অল্পবৃষ্টিতেই দীর্ঘদিন তলিয়ে থাকে অধিকাংশ রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ীসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ১৭ আগস্ট ভোরের একবৃষ্টিতে যে জল নেমেছিল আকাশ থেকে তার বেগ এখনো পোহাতে হচ্ছে পৌরসভার প্রত্যেক ওয়ার্ডের হাজার হাজার বাসিন্দাকে।
পৌরসভার ওয়ার্ডগুলোতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এখনো পানির নিচে তলিয়ে আছে শত শত ঘরবাড়ীসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়ক। বাড়ীর উঠোন থেকে শুরু করে রান্নাঘরেও চলছে জলের খেলা। দেখা গেছে অনেকের বসতঘরেও চলছে জলের ঢেউ। গত শনিবার সকাল থেকে এখনো পানির নিচে থাকা প্রধান সড়কের সংযোগ সড়কগুলোতে উঠে গেছে পিচের ঢালাই। আর এই জল জমে থাকার একটাই কারণ তা হলো অনুন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা। কোথাও কোথাও ড্রেন না থাকায় পৌরসভার রাস্তার উভয় পাশে জমে থাকা ময়লাযুক্ত জলের দূর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। কোন কোন এলাকায় ড্রেন নির্মানের চিত্র দেখা গেলেও তা আটকে থাকতে দেখা গেছে। তাছাড়া এগুলো আকারও আয়তনে ছোট হওয়া এবং পরিষ্কার না করার কারনে ড্রেনগুলো ময়লা-আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে। এই সমস্ত আবর্জনার স্তুপ থেকে এডিস মশার জন্ম ও অসহ্য দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। কোন কোন ড্রেন যেন এডিস মশার সরকারী প্রজনন খামার।
একদিকে যেমন বাড়ছে ডেঙ্গুজ্বর তেমনি অন্যদিকে পথচারী মানুষকে সীমাহীন দূর্ভোগের স্বীকার হতে হচ্ছে। এমন সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যেও পৌর কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না।
অপরদিকে যে সমস্ত ড্রেনগুলো দৃশ্যমান আছে তা পরিষ্কারের দায়-দায়িত্বও নিচ্ছে না কেউই। আসলে এই ড্রেনগুলো পরিষ্কার করার দায়-ভার কার? নিয়মিত পৌরকর পরিশোধকরা জনগন তা জানতে চায়? আদৌ কি ড্রেনগুলি পরিষ্কারের দায়-দায়িত্ব নেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ? অপরিকল্পিত ঘরবাড়ী ও স্থাপনা নির্মাণের ফলে ড্রেনেজ ব্যবস্থার মান দিনদিন সংকুচিত হয়ে আসছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতার। অনুমোদনহীন ঘরবাড়ী নির্মানের সময় ড্রেনেজ ব্যবস্থার কথা চিন্তা না করেই দায়সরা গোছের জায়গা রেখেই জল নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতা করা হচ্ছে পৌর এলাকার সবখানে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার মান এতোই দূর্বল যে সামান্য বৃষ্টিতেই হাটু জল জমে যায় রাস্তাঘাটে। কাদাযুক্ত ময়লা জলে ভাসে মানুষের মল, গরুর বিষ্ঠাসহ নানান আবর্জনা। ময়লাযুক্ত জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভাল না থাকায় সময়মত জল নিষ্কাষন হচ্ছে না। কোথাও কোথাও জমে থাকা জল আর যত্রতত্র ফেলে রাখা ময়লা-আবর্জনা পঁচে অসহনীয় দূর্গন্ধও ছড়াচ্ছে।
জমে থাকা জলবন্দি এলাকার জনগণ চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে বসবাস করছে বলেও সচেতন মহল মনে করছে। প্রতিনিয়ত জমে থাকা দূর্গন্ধময় ময়লাযুক্ত হাঁটুজল পার হয়ে চলাচল করার ফলে পায়ে শুরু হচ্ছে চুলকানি, খোস পাঁচড়ার মতো ছোঁয়াছে নানা ধরনের রোগ। স্কুলগামী ছেলে মেয়েকে কাঁধে করে প্রধান সড়কে নিয়ে যেতেও দেখা গেছে অনেককে। অনেকে আবার ময়লাজল পার হতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। অগত্য হাঁটুজলে নেমেই যেতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে ৯ নং ওয়ার্ডের উত্তর রসুলপুরের বাসিন্দা প্রফেসর আজিবার রহমান বলেন, তারা সপ্তাহকালব্যাপী এই দূর্গন্ধময় ময়লাযুক্ত জল জমে থাকার কারণে ঘর থেকে বের সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়কে আসতে পারেন না। এমনকি রাত্রে পঁচা জলের দূর্গন্ধে বাড়িতে অবস্থান করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
তাই তাদের দাবী অবিলম্বে ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কারসহ জরুরী ভিত্তিতে জল নিষ্কাশনেও হাত দেবেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
রসুলপুরের অধিকাংশ জনগণ ড্রেনেজ সুবিধা থেকে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত হওয়ায় এ এলাকার বাড়ির জলও নামছে রাস্তায়। ফলে রাস্তা দিয়ে চলাচলে অনকে সমস্যা হচ্ছে এই এলাকার বাসিন্দাদের।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, এই এলাকায় ড্রেন নির্মাণ করা হলে জল নিষ্কাশন সমস্যার সমাধন হয়ে যাবে। জলাবদ্ধতায় দিশেহারা মানুষ একাধিকবার পৌরসভায় পানি নিষ্কাশনের সু-ব্যবস্থার কথা জানালেও আজো কোন আশার আলো জ্বালাতে পারেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া সংস্কারের অভাবে চলতি পথের দু’পাশে জমে থাকা জমাটবদ্ধ ময়লা জলের সাথে বসবাস করতে হচ্ছে অনেককে। সরকার যখন এডিস মশার প্রজনন খামার বন্ধে মরিয়া তখন এসব এলাকার বাস্তবচিত্র এতোই ভয়াবহ যে তা স্বচক্ষে দেখলে যে কেউ সহজে শিউরে উঠবে। এডিস মশার অভয়ারণ্য খ্যাত প্রাণসায়েরের খাল ইতোমধ্যে পরিষ্কার ও দখলমুক্ত হলেও অন্যান্য এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা তা মুহূর্তেই ম্লান করে দেয়।
পৌর এলাকার ড্রেনেজ সমস্যার কারণে শহরের প্রধান প্রধান সড়কসহ গোটা পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টির ব্যাপারে ৯ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর শফিক উদ দৌলা সাগরের সাথে কথা হলে তিনি জানান, পানি নিষ্কাশেেনর জন্য আমরা মারাত্বকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এখন যে অবস্থা হয়েছে তাতে একদিন বর্ষা হলে তিনদিন রাস্তাঘাট ডুবে থাকে। এই খালটা (প্রাণসায়ের) যদি ঠিকমত কাটানো হয় তবে মানুষ ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে। সব দোষ আমাদের। আমরা (পৌরসভা) অপরিকল্পিতভাবে বাড়ীঘর করতে দিয়ে এই ভোগান্তির সৃষ্টি করছি।
তিনি আরো বলেন, শহরের পশ্চিমাংশে ইটগাছা, রইচপুর, খানপুর এলাকা ধানের জমি হওয়া সত্ত্বেও মাছ চাষ করার জন্য বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের সমস্ত পথ বন্ধ করে দেওয়ায় পৌরসভার পানি নিষ্কাশনের ব্যপারে আমরা মানুষের কোন উপকার করতে পারছিনা। কাজ শুরু করা হয়েছে তবে একটু সময় লেগে যাচ্ছে এই যা।
রসুলপুরের কদমতলা এলাকার পানি নিষ্কাশনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ এলাকায় ড্রেন করার মতো কোন জায়গা না থাকায় সওজ’র মাধ্যমে একটা ড্রেন করতে হবে। সিটি কলেজ এলাকায় যে জায়গা আছে তা সড়ক ও জনপথ বিভাগের হওয়ায় পৌরসভা উদ্যেগ নিলেও তখন ড্রেন করা সম্ভব হয়নি তবে রোডস এ্যান্ড হাইওয়ে বিভাগের সাথে সিদ্দীক হাজী সাহেবের কথা হয়েছে ২/৩ দিনের মধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ওখানে কাজ শুরু করবে। আশা করি আগামীতে পানি নিষ্কাশনের ব্যাপারে আর কোন প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। অতি শীঘ্রই এ অবস্থার অবসান হবে বলে আমরা আশা করছি।
এছাড়া পৌর এলাকায় পানি নিষ্কাশনের জন্য যে সমস্ত ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে তার অধিকাংশ ড্রেন ময়লা-আবর্জনায় ভরে আছে। তাছাড়া অপরিকল্পিতভাবে ঘরবাড়ী নির্মাণ করা, ড্রেনের জন্য জায়গা না থাকা এবং ড্রেনের পানি নিষ্কাশিত হওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই ড্রেনগুলো উপচে পড়ে। এতে অপরিচ্ছন্ন ড্রেনগুলোর ময়লা দূষিত পানি রাস্তা দিয়ে গোটা শহরে ছড়িয়ে পড়ে।
জরুরি ভিত্তিতে ড্রেনেজ সমস্যার সমাধান করা না হলে এ অবস্থার কোনো উন্নতি তো হবেই না বরং অবস্থার আরও অবনতি ঘটবে বলে পৌরবাসী আশঙ্কা করছেন।
পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও কোথাও ড্রেনের কোন চিহ্নই নেই। কোথাও কোথাও ড্রেন করার মত জায়গা নেই। অল্প জায়গায় ঠাসাঠাসি করে গড়ে ওঠা দালান কোঠা ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য নাজুক অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রবীণ বাসিন্দা মো. রেজাউল কবির বলেন, যে সব প্রতিশ্রুতি নিয়ে আটানব্বইতে পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়েছে তার কোনটার বাস্তবায়ন আমাদের চোখে পড়েনি। আমাদের এই এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থার চিত্র দেখা গেলেও তা পরিস্কার ও সংস্কারের কোন উদ্যেগ পৌরসভা থেকে নেয়া হয়নি। এ কারণেই বর্ষার মওসুম এলেই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা দায় হয়ে পড়ে।
৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ব্যাংকার সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ এলাকার ড্রেনেজ–ব্যবস্থা এতোই নাজুক যে পানি নিষ্কাশনের কোন পথই নেই। পৌরসভার সেবার মান খুবই খারাপ হয়ে গেছে।
পুলিশ লাইন এলাকার একজন বাসিন্দা বলেন, ‘পৌরসভা দ্বিতীয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু তার তুলনায় এলাকার উন্নয়ন বলতে গেলে কিছুই হয়নি। বিশেষ করে পানি নিষ্কাশনের কথা বলতে নিজেরই লজ্জা লাগে।
পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্পনা বিষয়ে নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি এড. ফাহিমুল হক কিসলু বলেন, ‘পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা এতোই নাজুক যে পানি বের হওয়ার কোন পথই নেই। সমস্ত শহর আজ জলাবদ্ধতার কবলে নিমজ্জিত। রথখোলার বিল, মাছখোলার বিল, বদ্দিপুর কলোনী মধুমল্লারডাঙ্গী, সবুজবাগসহ চক্রের বাড়ীর পাশ দিয়ে সরকারী কলেজের যে রাস্তাটা গেছে সেখানে পানি বের হওয়ার কোন পথ ই নেই। পৌরসভার অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা জলাবদ্ধতা সৃষ্টির প্র্রধান কারণ’।
তিনি আরো বলেন, “শহরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রাণসায়েরর খালটিকে পৌরসভা তাদের ডাস্টবিনে পরিনত করে রেখেছিল। এডিস মশার প্রজনন খামার ধ্বংসকল্পে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল মহোদয়ের মাধ্যমে এটিকে পরিস্কার ও মুক্ত করা সম্ভব হলেও পৌরসভার অবহেলাজনিত কারনে আজো জলাবদ্ধতার কবল থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। সবখানে পানি জমে আছে। পানি সরানোর কোন উদ্যোগ আমাদের চোখে পড়েনি”।
জলাবদ্ধতা নিরসনে জেলা প্রশাসক মহোদয় উদ্যোগ নিলেও তা খুবই ধীর গতিতে চলছে বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
অল্প বৃষ্টির পানিতেই যখন শহরের অধিকাংশ বাড়ীঘর, রাস্তাঘাট বন্যার পানির মতো তলিয়ে আছে। তখন পৌরপতির কাছে ড্রেনেজ ব্যবস্থার বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে তার ব্যবহৃত ০১৭৬১৭০২৭৩২ নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বর্ণিল সাজে সেজেছে সাতক্ষীরার ৫৮৪টি দুর্গাপূজা মন্ডপ
সনাতন ধর্মালম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব (দূর্গাপূজা) কে কেন্দ্রবিস্তারিত পড়ুন
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন