২০১৯ দুর্গাপুজোয় মায়ের আগমন-গমন কিসে! এর ফলাফলে কোন প্রভাব পড়তে পারে
দেখতে দেখতে আবারও হতে চলেছে অপেক্ষার অবসান। আবার আনন্দে মেতে উঠবে গোটা দেশ। মা আসছেন বঙ্গে। কিন্তু এবার কিসে চেপে আসছেন মা? আর তার ফলই বা কি হবে? আর পূজা শুরুই বা হচ্ছে কোন দিন থেকে, অষ্টমীটাই বা কবে? নিশ্চয়ই এসব প্রশ্ন ভিড় করে আসছে মনে। তাই আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম এবছরের দুর্গাপূজা পঞ্জিকা।
পুজোর দিনক্ষণ
৯ আশ্বিন ১৪২৬ বাংলা,২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ইং (রবিবার মায়ের চক্ষুদান ও পিতৃপক্ষের আমন্ত্রন )
১৬ আশ্বিন ১৪২৬ বাংলা ,৩ অক্টোবর ২০১৯ ইং(বৃহস্পতিবার মহাপঞ্চমী,বিল্ব নিমন্ত্রণ )
১৭ আশ্বিন ১৪২৬ বাংলা,৪ অক্টোবর ২০১৯ ইং(শুক্রবার মহাষষ্টী,কল্পারম্ভ, অকাল বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাস )
১৮ আশ্বিন ১৪২৬ বাংলা,৫ অক্টোবর ২০১৯ ইং(শনিবার মহাসপ্তমী,নবপত্রিকা পূজা কলাবউ পূজা)
১৯ আশ্বিন ১৪২৬ বাংলা,৬ অক্টোবর ২০১৯ ইং(রবিবার মহাষ্টমী,দূর্গা অষ্টমী কুমারী পুজো, সন্ধি পুজো, মহানবমী)
২০ আশ্বিন ১৪২৬ বাংলা,৭ অক্টোবর ২০১৯ ইং(সোমবার মহানবমী,বাঙ্গলা মহানবমী দূর্গা বলিদান, নবমী যজ্ঞ,দূর্গা বিসর্জন, বিজয়াদশমী সিন্দূর উত্সব)
২১ আশ্বিন ১৪২৬ বাংলা,৮ অক্টোবর ২০১৯ ইং (মঙ্গলবার বিজয়া দশমী) বৃহস্পতিবার
মা দূর্গার আগমন
আমরা জানি মা দুর্গার সর্বকালের, সবসময়ের বাহন সিংহ। কিন্তু সিংহের সাথে সাথে, প্রতি বছরই মা নানান আলাদা বাহনে চেপে আসেন মর্তে।
প্রতি বছরই মা দুর্গার নানান বাহনে আগমন ঘটে। যেমন গজ, দোলা, নৌকা, ঘোটক এর মধ্যে কোনও একটিতে মা আসেন। শাস্ত্রীয় মত অনুসারে মা কিসে আসছেন, তার ওপর সারাবছর আমরা কেমন থাকব সেটি নির্ভর করে।
এই চার বাহনের মধ্যে শাস্ত্রীয় মতে, গজকেই সবথেকে শুভ বলে মনে করা হয়। চলুন ছোট করে দেখে নেওয়া যাক, দেবীর বিভিন্ন বাহনে আগমনের ফল কি হতে পারে।
গজ বা হাতি
আগেই বললাম গজকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। গজ মানে হাতিতে মায়ের আগমন ঘটলে, সেই বছরটি অত্যন্ত শুভ ও ভালো বছর বলে মানা হয়। কারন সাংসারিক জীবন থেকে সামাজিক ও রাজনেতিক জীবন, সব ক্ষেত্রেই বজায় থাকে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
ঘোটক বা ঘোড়া
ঘোটকে দেবীর আগমন তেমন শুভ নয় বলে মনে করা হয়। নানান রকম অশুভ প্রভাব পড়ে সমাজে। তাই ঘোড়া বা ঘোটকে মা এলে পরিস্থিতি শুভ না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
দোলা
দোলায় আগমনও ক্ষতিকর। কারণ দোলায় আগমন হলে, সেটি নানান রোগ ও মহামারীর ইঙ্গিত বহন করে। সেই বছর মহামারীতে সমাজ ভুগবে বলে আশঙ্কা করা হয়। তাই শাস্ত্রীয় মতে, সবাই সবার পাশে থাকলে, তবেই এই পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।
নৌকা
দেবীর আগমন যদি নৌকায় ঘটে। তাহলে একদিকে যেমন বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তেমনই অন্যদিকে আবার মা, ধরিত্রীকে শস্য শ্যামলা করেও তোলেন। খুব ভালো ফসল হবে সেই বছর। কৃষিতে উন্নতি ঘটবে বলে মানা হয়।
এবছর দূর্গা কিসে আসছেন
এবার মা আসছেন ঘোটকে বা ঘোড়ায়। যার ফল ‘ছত্রভঙ্গ স্তুরঙ্গমে’। মানে ঘোড়ায় আগমন ও গমনে নানাভাবেই সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।
বাড়তে পারে যুদ্ধের পরিস্থিতিও। সবদিকেই যেমন সামাজিক, রাজনৈতিক, ও সাংসারিক ক্ষেত্রেও দেখা দেবে বিশৃঙ্খলা।
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নানান বিশৃঙ্খলা, উত্থান ও পতন। সামাজিক স্তরেও দেখা দেবে নানান সমস্যা। অন্যায়, অনাচার, বিশৃঙ্খলা, অশান্তি বাড়বে। এছাড়াও বিভিন্ন দুর্ঘটনা বাড়বে আর সেই দুর্ঘটনা থেকে অপমৃত্যু। এছাড়াও নানান রোগের প্রকোপও বাড়তে পারে। ইতিমধ্যেই নানা জায়গায় ডেঙ্গুর প্রকোপ আমরা দেখছি।
শাস্ত্রীয় মতে বলা হয়, যদি দেবীর আগমন ও গমন শনি ও মঙ্গলবারে হয় তাহলে দেবীর আগমন ঘোটকে। তার ফলে ঘোটকের নানান প্রভাব থাকবে।
কীভাবে এই অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি সম্ভব
হিন্দু শাস্ত্রীয় মতে, মন দিয়ে মায়ের পূজা করলে, মা দুর্গাই আমাদের সকল বিপদ থেকে মুক্ত করবেন। খুশি মনে মা কে আগমন জানান। একমাত্র তিনিই পারেন আমাদের সব বিপদ থেকে রক্ষা করতে। বিপদরূপী এই মহিষাসুরকে বদ করতে। তাই চলুন আমরা এখন থেকেই মায়ের আগমনের প্রস্তুতি শুরু করি। শুরু করি মাতৃবন্দনা।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
পাকিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৯ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে ১৯বিস্তারিত পড়ুন
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হিক্কা
ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিক্কা। এর ফলে ঝড়ের পাশাপাশি ভারীবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন