সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

সম্বল ভাঙা সাইকেল, বাস কুঁড়েঘরে, ভারতে মন্ত্রী হলেন তিনি

মন্ত্রী বললে এই মুহূর্তে যেরকম মনে হয়, তিনি ঠিক তেমন নন। ৫৬ নম্বরে নাম ডাকা হল তাঁর। শপথ নিলেন তিনি। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, পশুপালন, ডেয়ারি, মৎস্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী তিনি।

সাদামাটা এই মানুষটি নতুন পাঞ্জাবি কিনেছিলেন শপথের জন্যই। তিনি মঞ্চে আসতেই দর্শকরা ফেটে পড়লেন হাততালিতে।
একেবারেই সরল সাদাসিধে সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি পরা। মাথার চুল উস্কো খুস্কো, হাওয়ায় উড়ছে! অনেকেই অবাক চেয়ে ছিলেন বছর চৌষট্টির মানুষটির দিকে।

প্রতাপ চন্দ্র সারঙ্গী। ওড়িশার বালেশ্বরের এই সাংসদ। বিজেডি প্রার্থী রবীন্দ্র কুমার জেনাকে ১২,৯৫৬ ভোটে হারিয়েছেন তিনি।
বালেশ্বরের এক খড়ের চালার বাড়িই তাঁর স্থায়ী ঠিকানা। পোশাক-আশাক ও চলাফেরাও সাধারণ।

দীর্ঘ দিন ধরে রাজনীতি করলেও বাহন তাঁর একমাত্র সাইকেল। প্রচারও চালিয়েছেন সাইকেলে চড়ে। তাঁর রাজ্যের মানুষ তাকে ‘ওড়িশার মোদী’ হিসাবে সম্বোধন করেন। ওড়িশা উপকূলের রাজনীতির মানুষ তিনি। ১৯৫৫ সালে ওড়িশার নীলগিরির গোপীনাথপুর গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে জন্মেছিলেন প্রতাপ।

স্থানীয় ফকিরমোহন কলেজ থেকে স্নাতক হন তিনি। ছেলেবেলা থেকে ঘাঁটাঘাঁটি করতেন আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে। সেসব নিয়ে লেখালিখিও করতেন।

সন্ন্যাসী হয়ে মানুষের সেবা করতে চেয়ে চলে যান মঠে। বেলুড় মঠে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। একটি সর্বভারতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবর বলছে, আত্মস্থানন্দজি মহারাজের সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ায় মায়ের সেবার জন্য বাড়িতেই থেকে যান তিনি। সমাজের জন্যই কাজ করতে চেয়েছিলেন।

গণশিক্ষা মন্দির যোজনার অধীনে ময়ূরভঞ্জ ও বালেশ্বরের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় দুঃস্থ শিশুদের জন্য অনেক স্কুলও গড়েছেন তিনি নিজের চেষ্টায়। এ ছাড়া এলাকার সার্বিক উন্নয়নে তার অবদান কম নয়। মায়ের মৃত্যুর পর পাড়ার ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাই অবিবাহিত প্রতাপের দেখাশোনা করে। গ্রামের মানুষের কাছেও ঘরের লোক তিনি।

২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি। ওড়িশার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুগ্ম সভাপতিও ছিলেন তিনি।

হলফনামায় তিনি জানান, কোনও ঋণ নেই তাঁর। নেই কোনও গয়নাও। সামান্য স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে, এমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি।
সাতটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে তাঁর নামে।

এক বার নির্বাচনের আগে তিনি বিজেপির দেওয়া মনোনয়নের নথিটি হারিয়ে ফেলেন। কারণ তিনি বেসরকারি বাসে যাতায়াত করেন। তাই শেষপর্যন্ত নির্দল প্রার্থী হিসাবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। পরে যোগ দেন বিজেপিতে। এমনটাই বলেন ওড়িশার বিজেপি নেতা সমীর মোহান্তি।

 

সূত্র : আনন্দবাজার

একই রকম সংবাদ সমূহ

পাকিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৯ জনের মৃত্যু

পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে ১৯বিস্তারিত পড়ুন

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হিক্কা

ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিক্কা। এর ফলে ঝড়ের পাশাপাশি ভারীবিস্তারিত পড়ুন

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন

  • সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
  • রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছে চীন
  • ৩য় বারের মতো কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্ততার প্রস্তাব ট্রাম্পের
  • এক রাজার ১০০ স্ত্রী ও ৫০০ সন্তান! (ভিডিও)
  • মুখে মাকড়সা চড়লে ‘রিল্যাক্স’ অনুভূত হয় এই নারীর! (ভিডিও)
  • পানির নিচে বিয়ের প্রস্তাব দিতে গিয়ে মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু
  • মাথায় ৪ ইঞ্চি লম্বা শিং নিয়ে হাসপাতালে বৃদ্ধ!
  • ১৩০টির বেশি দেশ ঘুরে বেড়ানো এক অন্ধ পর্যটকের গল্প
  • হেলমেট ঢোকেনি মাথায়, জরিমানা নিতে ব্যর্থ ট্রাফিক পুলিশ!
  • ৪ বছর প্রেম শেষে ৩০০ বছর বয়সী ভূতকে বিয়ে! (ভিডিও)
  • ছাগল চুরির ৪১ বছর পর ধরা পড়ল চোর!
  • যে গ্রামে প্রতিটা বাড়িই দরজাহীন, ব্যাংকে নেই তালা!