রবিবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

শিশুর হাঁপানি হলে কী করবেন?

হাঁপানি রোগের সূচনা এবং প্রকাশের সব কারণ বেশ জটিল। বংশগত ধারা এবং পরিবেশের নানা উপাদানের সংযোগে রোগের উজ্জীবন ঘটে। বাচ্চাদের বেলায় এ রোগের সংজ্ঞা নিরূপণ করা খুব সহজ নয়। কেননা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, ব্রংকিওলাইটিস, ব্রংকাইটিস ইত্যাদি রোগে ঘন ঘন আক্রান্ত শিশু হাঁপানির মতো লক্ষণ নিয়ে আসতে পারে। কোনো বাচ্চাকে পরীক্ষা করে যদি নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্টজনিত অস্বাভাবিক আওয়াজ যা সবসময় অথবা কিছুদিন পর পর শোনা যায়, যার সঙ্গে সচরাচর কাশি থাকে তবে শিশুটি হাঁপানিতে ভুগছে মনে করতে হবে। হাঁপানি আক্রান্ত বাচ্চা প্রধানত শ্বাসকষ্টে ভুগে থাকে। বারবার এ অসুখে আক্রান্ত হয় এবং বারবার সুনির্দিষ্ট চিকিৎসার সাহায্যে আবার কখনোবা নিজে নিজেই সেরে উঠে। অ্যালার্জিজনিত বা এটোপিক হাঁপানি শিশুর অল্প বয়সে হতে দেখা যায়। কোনো খাবার জিনিস কিংবা ওষুধে বাচ্চার অ্যালার্জি দেখা গেলে তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে রক্তে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের তৈরি ঘটে। এ সব পদার্থ পরে সংবেদনশীল শ্বাস নালীকে সংকুচিত করে। এ ধরনের হাঁপানিতে দেখা যায় মা-বাবা অথবা বাবার দিকে কারও মধ্যে হাঁপানি বা অ্যালার্জির বংশগত উপস্থিতি। দেখা যায় ধোঁয়া, ঘরের ধূলাবালি, পশুর লোম, পালক, ঘাস এবং ফুলের রেণু, কিছু খাবার হাঁপানির উৎপত্তি ঘটায়।

হাঁপানি কীভাবে নির্ণয় করবেন :
(ক) হাঁপানি বা অ্যালার্জির পারিবারিক ইতিহাস।
(খ) বাচ্চা বারবার শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছে এবং শাঁ শাঁ শব্দ শোনা গেলে।
(গ) সব সময় অথবা বারে বারে কাশি লেগে থাকলে।
(ঘ) রাতে শোবার বেলায় বা ভোরের দিকে কাশি বা শ্বাসকষ্টের আওয়াজ।
(ঙ) উপসর্গ দেখা দেওয়ার সূচনা হিসেবে কোনো ভাইরাস জ্বর, ব্যায়াম, মানসিক চাপ অথবা বিশেষ কোনো খাবার বা আবহাওয়া জড়িত আছে বলে মনে হলে।

চিকিৎসা :
বাচ্চাদের হাঁপানি রোগের চিকিৎসায় অনেক বিপ্লব এসেছে যেসব উদ্দেশ্যকে চিন্তা করে চিকিৎসাকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে যেগুলো হলো :
* বাচ্চার শ্বাসকষ্টজনিত কষ্ট লাঘব করে সে যেন ঘরে এবং স্কুলে স্বাভাবিক কার্যকর জীবনযাপন করতে পারে।
* ফুসফুসে স্বাভাবিক কার্যাদি বজায় রাখা।
* শ্বাসকষ্ট দূর করতে ওষুধের অতি নির্ভরতা কমানো।
* বাচ্চার স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং বিকাশ যাতে ঠিক থাকে এবং ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যতটা সম্ভব এড়ানো।

এ লক্ষ্য অর্জনে প্রধান ধাপগুলো হলো :
(ক) পরিহার করা : ধোঁয়া, ধুলা, ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার বা অন্য কোনো কোনো জিনিসের প্রতি বাচ্চার অ্যালার্জি- যে সব কারণে বাচ্চার শ্বাসকষ্টের শুরু যেসব থেকে বাচ্চাকে যতটা সম্ভব বাঁচানো।
(খ) ধাপে ধাপে চিকিৎসা : এ ব্যাপারটি একটি নতুন অগ্রগতি। পাঁচটি ধাপে চিকিৎসা প্রদান করা হয় শিশুর হাঁপানির অবস্থা বিবেচনা করে এবং এতে ইনহেলারের প্রয়োগ ঘটে।
(গ) অংশীদারিত্বের ব্যবস্থাপনা : এর মাধ্যমে হাঁপানিতে আক্রান্ত শিশু তার মা-বাবা, অভিভাবক এবং পরিবারের সবাই এ অসুখ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয়। তাই শিশুর হাঁপানি নিয়ে সতর্ক হতে হবে।

অধ্যাপক ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদ

বক্ষ্যব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ইকবাল চেস্ট সেন্টার, মগবাজার ওয়্যারলেস, ঢাকা।

একই রকম সংবাদ সমূহ

এবার বাংলাদেশেও ভাঙল প্রচলিত নিয়ম, যাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে বরের বাড়িতে কনে!

এবার বাংলাদেশেও ভাঙল প্রচলিত নিয়ম, যাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে বরেরবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের সাথে পুষ্টি বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠক

কলারোয়ায় উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের সাথে পুষ্টি বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিতবিস্তারিত পড়ুন

ভালোবাসার সুড়ঙ্গ রহস্য (ভিডিও)

প্রকৃতি অপার রহস্যের ভান্ডার। তাই সে মাঝে মাঝেই আমাদের চমকেবিস্তারিত পড়ুন

  • কিডনি রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
  • ঝুঁকি নিয়ে ছবি তুলে আলোচনায় দম্পতি
  • এক বছর পরও নড়াচড়া করে মৃতদেহ!
  • সেলফি তোলায় ছড়াচ্ছে উকুন!
  • আলসেমি দূর করার উপায়
  • রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে উপকারী আমড়া
  • সেলফির কারণে দ্রুত ছড়াচ্ছে উকুন!
  • হৃদরোগ প্রতিরোধের সহজ মন্ত্র
  • কাশ্মীরের একটি গ্রামের নাম ‘বাংলাদেশ’
  • ফেসবুকে নতুন ফিচার চালু, ডিলিট হবে সবকিছু
  • ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তায় ফেসবুকে নতুন ফিচার
  • সৌরশক্তিতেই চলবে শাওমি