শিক্ষকের নির্মম বেত্রাঘাতে আহত ছাত্র
স্কুলে টিফিনের (মধ্যাহ্ন বিরতির) সময় ছুটি না নিয়ে বাড়ি চলে যাওয়ায় সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ফয়সালকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্কুলের খণ্ডকালিন শিক্ষক মুছা মিয়ার বিরুদ্ধে।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাঙ্গালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী ফয়সাল উচিতপুরা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
আহত শিক্ষার্থীকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা মীমাংসার কথা বলে আহত শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের এখন পর্যন্ত কোন পুলিশি অভিযোগ করতে দেয়নি।
আহত শিক্ষার্থীর মা নার্গিস আক্তার জানান, তার ছেলে ফয়সাল উপজেলা জাঙ্গালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। সে ২৬ ফেব্রুয়ারি, সোমবার বাড়িতে কাজ থাকায় মধ্যাহ্ন বিরতির সময় বাড়িতে চলে আসে। পরদিন মঙ্গলবার স্কুলে গেলে ইংরেজি শিক্ষক মুছা মিয়া বিরতির সময় বিনা অনুমতিতে স্কুল ফাঁকি দেয়ার কারণ জানতে চায়। ফয়সাল বাড়িতে জরুরি কাজ থাকার কথা বললে তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে একাধিক বেত দিয়ে বেধরক পিটুনি দেয়। বেতের আঘাতে ফয়সালের শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয় এবং সে অজ্ঞান হয়ে ক্লাসে পড়ে যায়।
তিনি আরও জানান, ফয়সালের সহপাঠিরা তাকে জানিয়েছে প্রায় ৫ মিনিট ওই শিক্ষক ফয়সালকে বেত্রাঘাত করে। পরে বাড়িতে খবর দিয়ে আহত শিক্ষার্থীকে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। বাড়িতে নিয়ে ফয়সালকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করানো হয়।
পরে ফয়সালের অভিভাবকরা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটিকে জানান। কিন্তু তারা স্থানীয়ভাবে বিষয়টির মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে মামলা করতে বারণ করে।
শিক্ষক মো. মুসা মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তাকে বেত দিয়ে দুই তিনটি বাড়ি দিয়েছি। তবে বিষয়টি ভুল হয়েছে।’
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহেদুল হক জানান, শিক্ষার্থী ফয়সালকে পেটানোর ঘটনাটি অমানবিক। বিষয়টি দু’তিনদের মধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকের সঙ্গে বসে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করবেন বলেও জানান।
স্কুলটির পরিচালনা কমিটির দাতা সদস্য বেনজীর আহম্মেদ বেনু বলেন, ‘ছাত্র ক্লাস ফাঁকি দেওয়ায় শিক্ষক ছাত্রকে শাসন করেছে বলে শুনেছি। বিষয়টি স্কুলে বসে মীমাংসা করবো। এরই মধ্যে শিক্ষক ভুল শিকার করেছে। আগামীতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে শিক্ষকদের সাবধান করা হবে।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
এনামুল-সম্রাটসহ ৪ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সংসদবিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন