রোহিঙ্গারা স্লোগান দিচ্ছে ‘যাবো না’
প্রথম দফায় প্রত্যাবাসনের জন্য কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে টেকনাফের উনচিপাং এলাকার ২২ নম্বর ক্যাম্পে জড়ো করার পর তারা ‘ন যাইয়ুম, ন যাইয়ুম’ (যাবো না, যাবো না) স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে বলে জানিয়েছেন বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা আহরার হোসেন।
ঐ ক্যাম্প থেকে আগামী তিন দিনে প্রত্যাবাসিত হওয়ার জন্য ২৯৮ জন রোহিঙ্গার একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছিল।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে উপস্থিত রোহিঙ্গাদের জানানো হয় যে তাদের জন্য অন্তত তিনদিনের খাবার দাবার ও জরুরি প্রয়োজনের দ্রব্যাদিসহ বাসে করে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়।
এরপর তাদের বাসে ওঠার আহবান জানালে ‘যাবো না’ বলে স্লোগান দেয়া শুরু করে তারা। বিবিসি সংবাদদাতা আহরার হোসেন জানিয়েছেন বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় কয়েকজনের হাতে প্ল্যাকার্ড দেখা যায় যেখানে তারা মিয়ানমারের নাগরিকত্ব প্রদান, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা সহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে। ফিরতে রাজী না রোহিঙ্গারা প্রথম দফায় প্রত্যাবাসনের জন্য যেসব পরিবার তালিকাভুক্ত ছিল, বিবিসি বাংলার আহরার হোসেন তাদের কয়েকটি পরিবারের সাথে কথা বলেছেন।
একটি শরণার্থী ক্যাম্পের ১৬টি পরিবার প্রথম দফায় প্রত্যাবাসনের জন্য তালিকাভুক্তদের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত ছিল।
কিন্তু সরেজমিনে অনুসন্ধান করতে গিয়ে বিবিসি সংবাদদাতা আহরার হোসেন দেখতে পান যে ঐসব পরিবারের অধিকাংশের ঘরই তালাবন্ধ।
জোরপূর্বক প্রত্যাবাসিত হওয়ার আশঙ্কায় রোহিঙ্গারা ঘর ত্যাগ করেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিবিসি সংবাদদাতা আহরার হোসেন অপর একটি ক্যাম্পের কয়েকজন নারীর সাথেও কথা বলেন; যাদের পরিবারের সদস্যরাও জোরপূর্বক প্রত্যাবাসিত হওয়ার ভয়ে ঘর ত্যাগ করেছেন। আবুল কালাম জানান যে তারা সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছিলেন; কিন্তু জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রতিবেদন মোতাবেক রোহিঙ্গাদের পাঠানো তাদের অনুকূলে নেই।
জোরপূর্বক প্রত্যাবাসিত হওয়ার আশঙ্কায় রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে আতঙ্ক বিরাজ করছে বল জানান সংবাদদাতা আহরার হোসেন। গতকাল বুধবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার লোকজন রোহিঙ্গাদের সাথে দেখা করে তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য প্রস্তুতি নিতে আহবান জানায়।
সেসময় রোহিঙ্গারা জানায় যে তারা বর্তমান অবস্থায় ফিরে যেতে চায় না।
দাবি অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব না দেয়া হলে তারা ফিরে যেতে চায় না বলে জানিয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
পাকিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৯ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে ১৯বিস্তারিত পড়ুন
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হিক্কা
ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিক্কা। এর ফলে ঝড়ের পাশাপাশি ভারীবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন