পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিদ্যুতায়নের নামে চলছে খাম্বা বানিজ্য
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানে প্রতি গ্রাহকদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তার, খুঁটি ও মিটার বানিজ্যে দালালচক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে গ্রাহক সেবা। উপজেলা ও জেলার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগসাজশে সাপলেজা ইউনিয়নের মিলন মেম্বর এই খুঁটি বানিজ্যের মূল হোতা বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা।
স্হানীয় গ্রাহকদের কাছ থেকে জানা যায়, দালালরা প্রথমে বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে খুঁটি না পাওয়ার অজুহাত দেখায় গ্রাহকদের। কাউকে পরিকল্পিতভাবে মাপের বাইরে রেখে কিংবা মাপের সময় কিছু কিছু বাড়ি এড়িয়ে গিয়ে দালাল চক্র খাম্বা বানিজ্যের সুবিধা লুফে নিচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১৫–২০ জন চিহ্নিত দালাল খাম্বা বানিজ্যের সাথে জড়িত।এরা খাম্বা স্হাপনের নামে নতুন গ্রাহকদের কাছ থেকে ৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা আদায় করছে। যারা টাকা দিতে পারছে না তাদের খাম্বা বসানো হচ্ছে না।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগের এ উদ্যোগকে নস্যাত করতে দালালচক্র এ কাজ করছেন।
দরপত্রের মাধ্যমে খাম্বা আনা হলেও ঠিকাদার ও অফিসকে টাকা দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দালালরা।
আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ফারুকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। দক্ষিন সোনাখালীর তাপসের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। ওয়াহেদ দরবেশের বাড়ির পূর্ব পাড়ায় তালুকদার বাড়ি থেকে বলোরাম, বিজন ও সুচিন্তাসহ ৫ জনের কাছ থেকে খাম্বার টাকা নেওয়া হয়েছে।
এভাবে শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে খাম্বার টাকা নেওয়া হয়েছে এবং বাকিদের কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে। টাকা না দিলে তাদের খাম্বা বিভিন্ন অজুহাতে স্হাপন করা হচ্ছে না। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকায় সাধারণ মানুষ দালালদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে পারছে না।
পল্লী বিদ্যুৎ ইন্জিনিয়ার বাবুল হোসেন জানান, মঠবাড়িয়া উপজেলার ৯০ ভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে মঠবাড়িয়া জোনাল অফিসে মাসে কতটি খাম্বা আসে এবং কতটি খাম্বার কাজ চলমান আছে তা তার জানা নেই।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
এনামুল-সম্রাটসহ ৪ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সংসদবিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন