পটলের কেজি ১৬০ টাকা
রাজধানীর কাঁচাবাজারে নতুন করে এসেছে পটল। তবে দাম সাধারণ ক্রেতাদের অনেকটাই নাগালের বাইরে। প্রতিকেজি পটল কিনতে গুণতে হচ্ছে কমপক্ষে ১৬০ টাকা। পটলের এমন আকাশচুম্বি দাম হলেও অন্যান্য সবজি রয়েছে আগের দামেই। অধিকাংশ সবজি ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ানবাজার, শান্তিনগর, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া এবং খিলগাঁও অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।ব্যবসায়ীরা জানান, শীতের সব সবজিই এখন বাজারে ভরপুর। নতুন করে এসেছে পটল। তবে বাজারে পটলের সরবরাহ খুব বেশি না। যে কারণে দাম চড়া। আর অন্যান্য সবজির সরবরাহ বেশি থাকায় দামও কম।
রামপুরা মোল্লাবাড়ি বাজারে সবজি বিক্রেতা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, এবারের মৌসুমে আমি আজই প্রথম পটল নিয়ে এসেছি। প্রতিকেজি পটল বিক্রি করছি ১৬০ টাকায়।
দাম বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এগুলো আগাম পটল। বাজারে স্বল্প পরিমাণে এসেছে। আড়তে সবার কাছে পটল পাওয়া যাচ্ছে না। মূলত সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি। আর এ দামে পটল তো সাধারণ মানুষ খাবে না। অনেকে আছেন যারা নতুন কিছু আসলেই শখ করে খান, তাদের জন্যই পটল এনেছি।
খিলগাঁও তালতলা বাজারে প্রতিকেজি পটল বিক্রি হতে দেখা যায় ১৭০ টাকায়। বাজারটিতে সবজি কিনতে আসা মো. ইয়াসিন আলী বলেন, দুই দোকানে দেখলাম পটল বিক্রি হচ্ছে। দু’জনই ১৭০ টাকা কেজি দাম চাচ্ছে। এ দামে পটল কিনে খাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। এক কেজি পটল কিনতে যে টাকা খরচ হবে, সেই টাকা দিয়ে তো এক কেজির বেশি বয়লার মুরগি কেনা যাবে।
এদিকে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় গত কয়েক সপ্তাহের ন্যায় আজও মোটামুটি সস্তাই পাওয়া যাচ্ছে অন্যান্যা সবজি। টমেটো, বেগুন, গাজর, ফুলকপি, পাতাকপি, ওলকপি (শালগম), লাল শাক, পালশ শাক, লাউ শাকসহ অন্যান্য সবজি বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। তবে লাউ, শিম ও চিচিংগার দাম তুলনামুলক একটু বেশি।
কিছুদিন আগেও ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হওয়া লাউ এখন বাজার ভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। টমেটো পাওয়া যাচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে। আর শিম পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। আগের সপ্তাহেও এই সবজিগুলোর দাম এমনই ছিল।
এছাড়া প্রতিপিস ফুলকপি আগের সপ্তাহের মতোই ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। একই দামে পাওয়া যাচ্ছে পাতাকপি। গত সপ্তাহের মতো ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে শালগম। এছাড়া বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মুলা ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচমরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। আগের সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে আমদানি করা পেঁয়াজও।
দাম অপরিবর্তীত রয়েছে ডিম, বয়লার, গরু ও খাসির মাংসে। বাজার ভেদে ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ২৪ থেকে ২৮ টাকায়। বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা কেজি। গরুর মাংস ৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
এনামুল-সম্রাটসহ ৪ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সংসদবিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন