আরো খবর....
নড়াইলে ভারতের লোকসভার বনগার সংসদ সদস্য শান্তনু ঘোষকে সংবর্ধনা
নড়াইলে ভারতীয় লোকসভার বনগাঁ কেন্দ্রের সংসদ সদস্য শান্তনু ঘোষকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
নড়াইলের মহাজন এলাকায় বিশ্বজিৎ সাহার বাংলো চত্বরে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
এসময় শান্তনু ঘোষকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ ঘোষ, কালিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান খান শামীম রহমান, কালিয়া উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা, জেলা পরিষদ সদস্য শেখ হাদিউজ্জামান, প্রকাশ কুমার সাহা, শঙ্ক ঘোষ প্রমুখ।
এদিকে একই স্থানে মতুয়া মহাসম্মেলনের উদ্বোধন করেন নড়াইলের জয়পুর ধামের পরীক্ষিত শিকদার।
এ উপলক্ষ্যে নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মতুয়া সম্প্রদায়ের লোকজন সকাল থেকেই বিশ্বজিৎ সাহার বাংলো চত্বরে জড়ো হয়। সেখানে খাবারের আয়োজন করা হয়।
মহাজন এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সাহার উদ্যোগে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় লোকসভার সদস্য শান্তনু ঘোষ বলেন- প্রতিটা হিন্দু বাড়িতে সকাল ও সন্ধ্যায় শঙ্খ বাজানো একটা রীতি। শঙ্খ কিন্তু তিনবার বাজানো হয়। কিন্তু জানেন কি, শঙ্খ কেন তিনবার বাজানো হয়? তিন বারের বেশি কেন বাজানো হয় না? হিন্দু সংস্কৃতির সঙ্গে শঙ্খের যোগ আজকের নয়। সেই কোন প্রাচীন কাল থেকে পুজো-অর্চনার কাজে লেগে আসছে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি হিন্দু সংস্কৃতির সঙ্গে শঙ্খের যোগ আজকের নয়। শাস্ত্র মতে নিত্য পুজোর পরে যদি নিয়ম করে তিনবার শঙ্খ বাজানো যায়, তাহলে গৃহস্থের অন্দরে অশুভ শক্তির প্রভাব কমতে থাকে এবং শুভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে কোনও খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি ভাগ্যও ফিরে যায়। ফলে জীবন সুখ-শান্তিতে এবং আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না।
তিনি আরো বলেন- শাস্ত্রে বলা হয় বাড়িতে শঙ্খ তিনবার বাজানো উচিত। তিনবারের বেশি শঙ্খ বাজানো উচিত নয়। এর কারণ হিসেবে শাস্ত্রে বলা হয় যে, তিনবার শঙ্খ বাজালে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ এই তিন দেবতার সাথে সমস্ত দেবদেবীরা আমন্ত্রিত হন। কিন্তু তিনবারের বেশি শঙ্খ বাজালে দেবের সাথে দানব বা অসুরকে নিমন্ত্রণ পাঠানো হয়। হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রে বলা হচ্ছে যে, সমুদ্র মন্থনের সময় অসুররা চারবার শঙ্খধ্বনি করে “বলি অসুর” কে নিমন্ত্রণ পাঠিয়ে জাগ্ত করেছিল। তাই, তিনবারের বেশি শঙ্খ বাজালে সৃষ্টি, স্থিতি ও বিনাশের দেবতা মহাদেব, বিষ্ণু, ব্রহ্মার পাশাপাশি আসুরি শক্তিও নিমন্ত্রণ পেয়ে আপনার গৃহে প্রবেশ করে। দেবতার পাশাপাশি অসুরকে নিমন্ত্রণের ফল স্বরূপ আপনার ও আপনার পরিবারের উপর নেমে আসতে পারে এইসব দেবতাদের অভিশাপ। তাই শাস্ত্রে তিনবার করেই শঙ্খ বাজানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ৪৮তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালিত
নড়াইলে বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ৪৮ তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) নূর মোহাম্মদ নগরে জেলা প্রশাসন ও বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ নূর শেখ ট্রাস্টের আয়োজনের মাজার জিয়ারত, কোরআনখানি, র্যা লি, পুস্পমাল্য অর্পন, সশস্ত্র সালাম এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক আনজুমান আরার সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা সেলিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা জেলা পরিষদের সদস্য সাইফুর রহমান হিলু, বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এস এ মতিন, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ নূর শেখ ট্রাস্টের সদস্য সচিব আজিজুর রহমান ভূঁইয়া প্রমূখ।
এসময় বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
নড়াইলে অধ্যক্ষের দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে পোস্টার ও লিফলেট!
নড়াইলের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত লক্ষীপাশা মহিলা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ। নারী শিক্ষার প্রসারে কলেজটি কাজ করে যাচ্ছে ১৯৯৫ সাল থেকে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষামূলক কার্যক্রমে উপজেলার কলেজ গুলোর মধ্যে ছিল অন্যতম। কলেজের ধারাবাহিক কার্যক্রম যখন সকল মহলে প্রশংসিত হয় তখন চাকুরী বিধি মোতাবেক ২০০৩ সালে অবসরে যান সাবেক অধ্যক্ষ শেখ এখলাচুর রহমান।
২০০৬ সালে কলেজে যোগদান করেন অধ্যক্ষ তরফদার কামরুল ইসলাম। সেই থেকে কলেজের কপাল পুড়েছে বলে দাবী কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের। একের পর এক দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও কথায় কথায় অধীনস্থদের হুমকি-ধমকি দিয়ে প্রায় অচল করে রেখেছেন কলেজের প্রশাসনিক বিভাগ। এতে করে দীর্ঘদিন স্থবির হয়ে পড়ে আছে কলেজের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম।
কলেজের শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনতে এলাকাবাসী রাতে অধ্যক্ষের অপসারণ ও দুর্নীতির খন্ড চিত্রের ফিরিস্তি তুলে ধরে পোষ্টার ও লিফলেট বিতরণ করেছেন।
বিভিন্ন সূত্র জানায়- অধ্যক্ষ তরফদার কামরুল ইসলাম পূর্বে সহকারী অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন যশোর জেলার তালবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজে। সেখানে সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা ও স্বৈরতান্ত্রিকতার কারনে চাকুরীচ্যুত হয়। তিনি তৎকালিন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ছিলেন। দলীয় ক্ষমতার জোরে নিয়োগ বিধি লংঘন করে অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ পান নড়াইলের লক্ষীপাশা অদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজে। যোগদানের পর ২০১২ সালে ডিগ্রি অর্জনের অজুহাতে প্রায় দু’বছর কলেজে অনুপস্থিত থেকে বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। বাড়িতে বসে ডিগ্রি অর্জন করলেও কলেজের বেতন ও আনুতোষিক ভাতা উত্তোলন করেন প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। কলেজে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে কোটি টাকার বাণীজ্য করেন তিনি। সমপ্রতি একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি ফি ১হাজার টাকার স্থলে ২হাজার ৫’শ, এইচ এসসি ও বিএ প্রথম বর্ষ থেকে তৃতীয় বর্ষ ফর্ম পূরণে প্রায় দশলক্ষ টাকা অতিরিক্ত আদায়, ২০১৭,১৮,১৯ সালের আগষ্ট মাস পর্যন্ত ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন।
এ ছাড়াও কলেজ তহবিল থেকে ৯ লক্ষ ৪৮হাজার ২’শ ৫০ টাকা এবং সরকারী তহবিল হইতে ৬ লক্ষ টাকা আত্মসাত সহ চিত্র-বিচিত্র অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরা হয় পোষ্টার ও লিফলেটে।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ তরফদার কামরুল ইসলাম বলেন, তিনি ঢাকাতে রয়েছেন, তবে শুনেছেন তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসি পোষ্টার ও লিফলেট বিতরণ করেছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
এনামুল-সম্রাটসহ ৪ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সংসদবিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন