নড়াইলে একাধিক শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং’র দায়ে স্কুল শিক্ষক গ্রেফতার
নড়াইলে একাধিক শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং এর দায়ে এক স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে নড়াইল জেলা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ওই শিক্ষকের নাম এস.এম. মাহমুদ হাসান সজীব (৩৩)। সে নড়াইল জেলার সদর উপজেলাধীন দক্ষিণ নড়াইল গ্রামের শেখ মুহাম্মদ হুসাইনের ছেলে এবং বেতেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
ইভটিজিং এর দায়ে তাকে বৃহস্পতিবার (২১ জুন) গভীর রাতে নড়াইল জেলা পুলিশের একটি চৌকশ টিম তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে শনাক্ত করে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত এস.এম. মাহমুদ হাসান সজীব দীর্ঘদিন ধরে ইভটিজিং এর সাথে জড়িত। সে নিজের পরিচয় লুকাতে হেলমেট পরিহিত অবস্থায় বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মেয়েদের শ্লীলতাহানি ঘটিয়ে থাকে। লোকলজ্জার ভয়ে অনেক মেয়ে মুখ না খুললেও চলতি বছরের ২৬ জুন তারিখে প্রাইভেট পড়ে নিজ বাসায় ফেরার পথে নড়াইল শহরের খাদ্য গুদারের কাছে এক স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ঘটায়। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর চিকৎকারে আশেপাশের লোক এগিয়ে এলে বখাটে ওই শিক্ষক নিজ মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার অভিভাবকদের সাথে নিয়ে নড়াইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ করলে বিষয়টি নিয়ে নড়াইল পুলিশ তৎপর হয়। এসময় ওই স্থানের সিসি টিভি ফুটেজ চেক করে বখাটে শিক্ষকের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের নাম্বারটি শনাক্ত করা হয় (যার নং- নড়াইল-হ-১১৮০৬৮) এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে শুক্রবার (২১ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় নড়াইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ শরফুদ্দীন, নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন, পিপিএম, নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ওসি আশিকুর রহমান, নড়াইল জেলা বিশেষ শাখার ডিআইও-১ এস.এম. ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলন চলাকালে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম (বার) বলেন, নড়াইল জেলাকে অপরাধমুক্ত করতে আমরা শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছি। যার সুফলে আজকে শিক্ষক নামধারী এই নরপশুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়াও এই সিসি ক্যামেরার কারণে পূর্বেও অনেকে উপকৃত হয়েছেন। ইভটিজিং একটি সামাজিক ব্যাধি। শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে এর কুফল তুলে ধরেন। কিন্তু গ্রেফতারকৃত এই শিক্ষক তার বিবেককে বিসর্জন দিয়ে এই ধরনের ন্যাক্কারজনক কর্মকা- ঘটিয়েছেন। আমরা বিজ্ঞ আদালতের কাছে তার কঠোর শাস্তি দাবি করবো যাতে করে আর কেউ এ ধরনের অপকর্ম না করতে পারে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
এনামুল-সম্রাটসহ ৪ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সংসদবিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন