নৌকার পেছনে ছুটছে বিশালাকার তিমি! (ভিডিও)
প্রশান্ত মহাসাগরের মনটেরি উপসাগরে হামব্যাক প্রজাতির একটি তিমি আচমকা লাফ দিয়ে উপরে উঠে আসছে। এর সামান্য পেছনেই রয়েছে মাছ ধরার একটি নৌকা যা অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে।
ওই বিষয়ে ফটোগ্রাফার ডগলাস ক্রফ্ট সংবাদমাদ্যমকে বলছেন, এ ঘটনা ছিল উত্তেজনায় ভরপুর। এটা এমন একটা সময় যা স্যামন মাছ ধরার ঋতুর সঙ্গে মিলে যায় যখন গ্রীষ্মকালীন খাবারের জন্য হামব্যাকগুলো মনটেরি উপসাগরে ফিরে আসছিল। এ সময় সেখানে শত-শত মাছ ধরার নৌকা ছিল।
ওই ছবিগুলো যিনি তুলেছেন তার নাম ক্রফ্ট।
তিনি জানান, তিনি বেশ কয়েক তিমিকে ঢেউ ভেঙ্গে উপরে লাফিয়ে উঠতে দেখেছেন। তিনি প্রত্যাশা করেছিলেন, ওই স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলো পূর্ববর্তী আচরণের ভিত্তিতেই কাজ করবে।
ক্রফ্ট বলেন, আমি নিচের ডেকে ওয়াটার লাইন বরাবর গিয়েছিলাম যাতে কাছ থেকে ছবি তোলা যায়। ক্রফ্ট একটি আলাদা নৌকায় ছিলেন। তার সঙ্গে একই নৌকায় ছিলেন ভিডিওগ্রাফার ক্যাট কামিং।
তিনি বলেন, সমুদ্র থেকে লাফিয়ে উঠল প্রকাণ্ড আকারের তিমি। তবে এটা আকারে কত বড় ছিল সেটার তথ্য তিনি জানান নি। কেবল বলছেন ‘এটা ছিল বিশালাকৃতির’।
তিনি বলছেন, আমি যদি ওই নৌকার জেলে হতাম তবে ‘আমার হয়তো কয়েকটি আন্ডারওয়্যারের দরকার পড়ত’।
ন্যাশনাল ওশেনিক এণ্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনেষ্ট্রশন নামের সংস্থা জানায়, হামব্যাক প্রজাতির তিমি দৈর্ঘ্যে সাধারণত ৬০ ফুট এবং ওজনে ৪০ টন পর্যন্ত হতে পারে।
তিমির ওই লাফিয়ে উঠার অসাধারণ ভিডিওটি তুলেছিলেন ক্যামিংস। তিনি জানান, ফুটেজটি ধারণ করার আগে তিমিটি কয়েকবার লাফিয়ে উঠেছিল।
সংবাদমাধ্যমকে কামিং জানান, কখনও কখনও যখন তিমিগুলি একাধিকবার লাফিয়ে উঠে তারা একটি নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা মেনে চলে।
তিনি বলেন, আমি হিসেব করেছি যে, তিমিটা পরেরবারের লাফিয়ে উঠা জেলে নৌকাটিকে ঘিরেই হবে। কারণ তিমিটি এ পথটিই অনুসরণ করছে।
এদিকে, বিশ্ব বন্যপ্রাণী তহবিলের অভিমত, যদিও তিমিকে এখনও বিপন্ন প্রাণী বলে মনে করা হয় তবুও এই প্রজাতির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে । ১৯৮৫ সালে বাণিজ্যিকভাবে তিমি শিকার নিষিদ্ধ হওয়ার পর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিমির সংখ্যা বেড়েছে।
এক হিসাবে দেখা গেছে, বিশ্বের মহাসাগরগুলোতে প্রায় ৬০০০০ হামব্যাক তিমি রয়েছে। তারা প্রজননের উদ্দেশে কখনও কখনও ৫০০০ মাইল দূরত্ব পর্যন্ত সমুদ্রপথ পাড়ি দেয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
পাকিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৯ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে ১৯বিস্তারিত পড়ুন
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হিক্কা
ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিক্কা। এর ফলে ঝড়ের পাশাপাশি ভারীবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন