তালায় পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাকে জড়িয়ে কুৎসা রটনার অভিযোগ!
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের এক নেতা ও ইট ভাটা ব্যবসায়ীকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতে স্থানীয় একটি স্বার্থান্বেসী মহল,এমনটি অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও স্থানীয় মুন ব্রিকসের মালিক ইন্দ্রজিৎ দাশ বাপ্পি।
অভিযোগে বলা হয়, স্থানীয় প্রভাবশালী স্বার্থান্বেসী মহলটি একটি বিশেষ মহলের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ তার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছেন। সর্বশেষ সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা, মনগড়া ও বানোয়াট তথ্য সরবরাহ করে সমাজের কাছে তাকে হেয় প্রতিপন্ন ও ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সর্বশেষ মহলটি তার সফলতা ও স্থানীয় উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে উল্টো তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে প্রশাসনের পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে দূরত্ব রাখতে চেষ্টা করছে।
ইন্দ্রজিৎ দাশ বাপ্পি জানান, ২০১৬ সালে তালা উপজেলার জেঠুয়া মৌজায় প্রতিষ্ঠিত মুন ব্রিকস ইট ভাটাটি তিনি জনৈক মোকাম আলীর নিকট থেকে খরিদ করেন। সেই থেকে সরকারি নীতমালা অনুসরণ করে অত্যন্ত সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি সেখানকার নানা উন্নয়নে সহযোগিতা করে আসছেন। বিশেষ করে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কপোতাক্ষ তীরবর্তী ভগ্নপ্রায় বাঁশ-খুঁটির শ্মশান ঘাটটি পুণ:নির্মাণ পাকা করে দিয়েছেন। যা ২০১৮ সালে তালা উপজেলা চেয়ারম্যান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উদ্ভোধন করেন। বিস্তীর্ণ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশন সুবিধার্থে তিনি প্রায় ৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি ড্রেন নির্মাণ করেছেন। এছাড়া রাস্তা সংষ্কার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমাজ হিতৈষী কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন।
ইন্দ্রজিৎ দাশ বাপ্পি তালার জালালপুর ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটির সভাপতি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজার আগে তাকে কুৎসা রটনা করে সামাজিকভাবে হেয় করার শামিল বলেও মনে করেন তিনি।
তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদে যাদের উদ্বৃতি দিয়ে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে,তাদের অধিকাংশরাই জানান,প্রকাশিত মতামত তারা প্রদান করেননি। অনেকের সাথে সাংবাদিক পরিচয়ে কথা বললেও তাদের বক্তব্য ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সংবাদে উল্লেখিত স্থানীয় শ্মশান কমিটির সভাপতি গোপাল বিশ্বাস বলেন,ইন্দ্রজিৎ দাশ তাদের শেষ ঠিকানা শশ্মান ঘাটটি পাকা করণ করে মহত্বের পরিচয় দিয়েছেন। ২০১৮ সাল থেকে কোন প্রকার দূর্ভোগ ছাড়াই তারা সেখানে সৎকার সম্পন্ন করছেন।
স্থানীয় জাললপুর ইউপি চেয়ারম্যান মফিদুল হক লিটু বলেন, এখন পর্যন্ত ইন্দ্রজিৎ দাশ বাপ্পির বিরুদ্ধে বিশেষ কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তিনি সেখানকার শশ্মান ঘাট,পানি সরবরাহের ড্রেণ নির্মাণ থেকে শুরু করে এলাকার উন্নয়নে সহযোগিতা করেন। সংবাদে তার বক্তব্য ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া সংবাদে ভাটা অব্যন্তরের ১ একর জমির মালিক হিসেবে চিহ্নিত জেঠুয়া গ্রামের ছামাদ মোল্লাসহ অন্যান্যরা বলেন, কোন সংবাদিকের সাথে আমার দেখা হয়নি। তবে তার বাড়ি থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে তার সাথে সাংবাদিক পরিচয়ে কারো সাথে কথা হয়েছে। তবে তা প্রকাশিত সংবাদেও সাথে সম্পূর্ণ অসংগতিপূর্ণ। তিনিও প্রকাশেত সংবাদের ভিন্নমত প্রকাশ করেন।
সর্বশেষ ইন্দ্রজিৎ দাশ বাপ্পির দাবি, তাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন ও ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করতে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে মহলটি সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য সরবরাহ করেছে। তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশে আরো যত্নবান হওয়ারও আহবান জানান।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
তালায় ইউএনও’র প্রেরণায় গার্লস হাইস্কুলে ডেইলি স্টার কর্নার চালু
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও’র অনুপ্রেরণায় শহীদ আলী আহম্মেদ বালিকাবিস্তারিত পড়ুন