তালায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির অবৈধ চুল্লি : হুমকিতে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বলরামপুর বাজারের পাশে অবৈধ চুল্লিতে দেদারসে কাঠ পুড়িয়ে বানানো হচ্ছে কয়লা। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বনজ ও ফলজ গাছ কেটে এখানে কাঠ সরবরাহ করা হয়। এতে পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে, হুমকিতে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। চুল্লির ধোয়ায় শিশু ও বৃদ্ধরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, নিধন করা হচ্ছে বৃক্ষ, জমি হারাচ্ছে তার উর্বরতা শক্তি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বলরামপুর বাজারের পাশে একটি জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে চুল্লি ঘর। চুল্লির মধ্যে সারিবদ্ধভাবে কাঠ সাজিয়ে একটি মুখ খোলা রেখে অন্য মুখগুলো মাটি এবং ইট দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। খোলা মুখ দিয়ে আগুন দেওয়া হয় চুল্লিতে। আগুন দেওয়া শেষ হলে সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রতিটি চুল্লিতে প্রতিবার ২৫০/৩০০ মণ কাঠ পোড়ানো হয়। কাঠ পুড়ে কয়লা হতে সময় লাগে ৮ থেকে ১০ দিন। পরে কয়লা ঠান্ডা করে বস্তায় ভরে ট্রাকে করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চালান করা হয়।
এসময় চুল্লিতে কাঠ পুড়ানোর সময় ঐ চুল্লির মালিককে পাওয়া যায় নি। তবে সেখানে কয়জন শ্রমিক দিয়ে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করা হচ্ছে।
বলরামপুর বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা জানান, কয়লা ভাটার মালিক অসিম পালিত ৪/৫ বছর ধরে কাঠ পুড়িয়ে আসছেন।। ফলে ধোঁয়া ও গন্ধে দোকানে বসাই কষ্টকর। আর রাতে কয়লার গন্ধে ঘুমানো যায় না। দোকানদাররা ক্ষোভ প্রকাশ বলেন, অনেক সাংবাদিক এসে ছবি তুলে খবরের কাগজে ছাপিয়েছে কিন্তু কোন লাভ হয়নি। প্রশাসন এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।
স্থানীয় বাসিন্দা মিঠুসহ অনেকে বলেন, ‘চুল্লির ধোয়ায় চোখ জ্বালাপোড়া করে, কাশি লাগে। ‘ইটভাটা ও কয়লার চুলার কালো ধোঁয়ায় শিশুসহ সাধারণ মানুষ শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করার ধোয়ায় এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।’
স্থানীয় কয়েকজন কৃষক বলেন, ‘চুল্লি সংলগ্ন জমিগুলোতে ধানসহ অন্যন্যা ফসল উৎপদন ব্যাহত হচ্ছে। আগে জমিতে যে ভাবে ফসল ফলতো এখন এ চুল্লির ধোয়ায় তেমন ফসল ফলে না।
বলরামপুর কয়লা চুল্লির মালিক অসিম পালিত সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা খারাপ কোনও কাজ করছি না। বিকল্প জ্বালানি তৈরি করছি।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদ হোসেন বলেন, কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি সম্পূর্ণ অবৈধ। এসব চুল্লী নির্মাণের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সমস্ত অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলাস্থ খেজুরবাড়িয়া গ্রামের এক পরিবারের ৫ ভাইয়ের অর্থায়নে তালার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নের ছোঁয়া
সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলাস্থ খেজুরবাড়িয়া গ্রামের এক পরিবারের ৫ ভাই নিজেদের অর্থায়নে তালার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে । তালা উপজেলার পিছিয়ে পড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরদের শিক্ষা উপকরন, শিশুদের স্কুল ড্রেজসহ বিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়নে আর্থিক অনুদান দিয়ে সহযোগিতা করছেন তারা।
তালা উপজেলার সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম প্রচেষ্টায় তার ভাইদের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে এ সমস্ত বিদ্যালয়ের আর্থিক সহযোগিতা করে আসছেন।
এবিষয়য়ে মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, তালা সদর হতে দূরবর্তী শালিখা ক্লাস্টারের পিছিয়ে পড়া বিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে তিনি নতুন ভাবে পথচলা শুরু করেছেন। তার চেষ্টায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষার গুনগত মানসহ বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশে ফিরে এসেছে নতুন গতি। প্রত্যেক শিক্ষক এখন বিদ্যালয় মুখী এবং বিদ্যালয়ে শিশুদের উপস্থিতি বেড়ে চলেছে। মা-সহ অভিভাবকবৃন্দ এবং বিদ্যালয় ক্যাচমেন্ট এলাকার জনগন তার ডাকে ব্যাপকভাবে সাড়া দিয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম এবং তালা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ অহিদুল ইসলাম’র নিকট থেকে এ ধরনের উন্নয়ন মূলক কাজ করার অনুপ্রেরনা পেয়েছেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, শ্রদ্ধেয় ২ ব্যাক্তি আমাকে শিক্ষার মান উন্নয়নে লড়াকু হওয়ার প্রেরণা যুগিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, তার কাজের উদ্যোমকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে তার কনিষ্ঠ ৪ ভাই । তারা হলেন সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী এবং ল-অফিসার, র্যাব হেডকোয়ার্টার, মোঃ আকবর হোসেন, সাতক্ষীরার জনতা ব্যাংক’র সুলতানপুর শাখার শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ রবিউল ইসলাম, কালিগঞ্জ উপজেলার সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জহিরুল হক ও কাস্টমস কর্মকর্তা মোঃ আহছান উল্লাহ । তাদের অর্থায়নে মুড়াগাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিশুকে শিক্ষোপকরণ প্রদান, রাজনগর চক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের পোষাক ও শিক্ষোপকরণ প্রদান এবং হরিণখোলা মিলনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (ঝুকিপূর্ণ ভবনের কারনে) টিনশেড নির্মানে গতি পেয়েছে। তিনি এটাও জানিয়েছেন যে, তাদের ৫ ভাইয়ের সহযোগিতায় আরও বেশ কিছু বিদ্যালয়ে (প্রয়োজন বিশেষ) উন্নয়ন কার্য সম্পন্ন করার পরিকল্পনা আছে। সবশেষে তিনি সকলের কাছে তার কার্যক্রমের সাফল্যের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
তালায় ইউএনও’র প্রেরণায় গার্লস হাইস্কুলে ডেইলি স্টার কর্নার চালু
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও’র অনুপ্রেরণায় শহীদ আলী আহম্মেদ বালিকাবিস্তারিত পড়ুন