আরো খবর .....
তালায় আ.লীগের নাশকতা বিরোধী মিছিল, পথসভা
তালা উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে নাশকতা বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে উপ-শহরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে তালা বাজার তিন রাস্তামোড়ে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথ সভায় উপজেলা আ’লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সরদার মশিয়ার রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নেছা খাতুন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু, আওয়ামীলীগ নেতা এমএম ফজলুল হক, পিএম গোলাম মোস্তফা, মীর জাকির হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, অধ্যক্ষ রাম প্রসাদ দাশ, ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক রাজিব হোসেন রাজু, আজিজুর রহমান রাজু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন,তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সরদার রফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া সকালে উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে নাশকতা প্রতিরোধে যুবলীগের সভাপতি সরদার জাকির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম হিল্লোলের নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মটর সাইকেল মহড়া বের হয়। উপস্থিত ছিলেন, তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সরদার রফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খান সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের ১২টি ইউনিয়ন আহবায়ক ও যুগ্ন-আহবায়ক সহ সকল নেতা কর্মী ২ শতাধিক মটরসাইকেল মহড়া দেয়।
হিজলডাঙ্গা মাসুদ মেমোরিয়াল কলেজ চলছে নানা সংকট ও অব্যবস্থাপনায়- দেখার কেউ নেই
কেশবপুরের শহীদ ফ্লাইট লেঃ মাসুদ মেমোরিয়াল কলেজটি এক সময়ের তুখড় রাজনীতিবীদ মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন’র হাত ধরে ১৯৯৭ সালে উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চল হিজলডাঙ্গা গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় । প্রতিষ্ঠাকালিন সময়ে কয়েক বছর চলেছে কলেজটি শিক্ষার্থী ঘেরা মনোরম পরিবেশে। কালের বিবর্তনে কলেজটি চলছে নানা সংকট ও অব্যবস্থাপনায়। হারিয়ে যেতে বসেছে কলেজটির প্রতিষ্ঠাকালীন সৌন্দয্য আর সুনাম। এক সময়ের দক্ষিন বাংলার ঐতিহ্যবাহী সুনাম ধন্য কলেজটি প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো ইটের গাথুনি এবং টিনের ছাউনি বেষ্টিত যা ২০ বছরেও অপরিবর্তিত রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি এখন জরাজীর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে মনে হয় অভিভাবক শুন্য দেখার মত কেউ নেই। কলেজটি ৪টি বিভাগে বিভক্ত করে চলছে লেখাপড়া। যারমধ্যে এইচএসসি ১৭৩, ডিগ্রী ৩০০, এইএসসি (বিএম)১২৪, কৃষি ডিপ্লোমা ৪০০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এরমধ্যে একটি বিভাগ এইচএসসি এমপিও ভুক্ত বাকীগুলো অদ্যবধি এমপিও না হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছে কলেটির শিক্ষক মন্ডলীরা। বছরের পর বছর অতিবাহিত হচ্ছে কিন্তু পাচ্ছে না কোন সরকারি অনুদান। শিক্ষার গুনগত মান এলাকার অন্য কলেজের তুলনায় অনেক এগিয়ে। অর্থশুন্য থাকায় হারিয়ে গেছে হোস্টেলের সেই মনোরম পরিবেশ।
কলেজ সূত্রে জানাযায়, ১৯৯৭ সালে ২ একরের অধিক জমিতে মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন’র হাতদিয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তিনি গভার্ণিং বডির সভাপতি হিসাবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। এরপর নিজের জমি কলেজের নামে বরাদ্দ দিয়ে ৮০ বিঘার অধিক জমিতে পরিনত করেন। ২০০৮ সালে নির্বাচনের পর আব্দুল ওহাব সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে ২০০৯ সালে রেজুলেশনের মাধ্যমে পূর্বের সভাপতিকে বাদ দিয়ে সংসদ সদস্য আব্দুল ওহাব কে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এরপর মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন হাই কোর্টে একটি রিট করলে রিট আবেদনটি স্থগীত থাকে। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারনে তিনি পুনরায় আর সভাপতি নিযুক্ত হতে পারেনি। নতুন সভাপতি নিযুক্ত হয়ে কলেজটিতে একটি ভবন নির্মানের বাজেট করান এবং সেটি নির্মিত হয় যেটি শুন্য পড়ে রয়েছে। এরপর ২০১৪ সালে পুনরায় গভার্ণিং বডির সভাপতি নিযুক্ত হন মোঃ শামছুর রহমান। অনিয়মের কারনে কলেজটি থেকে কয়েকজন অধ্যক্ষ পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ’র দায়িত্ব পালন করছেন উবায়দুর রহমান।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন সভাপতি থাকা কালিন সময় বিভিন্ন জেলা থেকে গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী এই কলেজে ভর্তি হয়েছে। যাদের এ+ অথবা এ- তাদের মাওলানা সাহেব হোস্টেলে ফ্রি থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। তখনকার সময় ছাত্র-ছাত্রীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠতো কলেজ ক্যাম্পাস। কিন্তু আজ হোষ্টেলে কোন শিক্ষার্থীরা থাকেনা কারন ফ্রি থাকা খাওয়ার কোন ব্যবস্থা নাই। কলেজের টিনের ছাউনি ভেঙ্গে পড়ছে মেরামত হচ্ছেনা, কে দেখবে এই সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। এলাবাসী আরও আক্ষেপ করে বলেন, মাওলানা সাহেব নিজের জমি অন্যকে দিয়ে কলেজ ক্যাম্পাস এলাকায় যার জমি আছে সেটি নিয়ে কলেজে দিয়েছেন কলেজের শ্রী-বৃদ্ধির জন্য। কিন্তু আজ সেটি নষ্ট হতে চলেছে। এলাকাবাসী আরও জানান, ভেতরে রয়েছে অনেক অনিয়ম আর দূর্ণিতী যা দেখা ছাড়া কিছুই করার নাই। তবে কলেজটি রাজনৈতি ভাবে প্রভাবিত হওয়ায় আজ এই অবস্থা।
কয়েকজন শিক্ষক জানান, আমাদের মনে হয় কলেজটি অভিভাবক শুন্য হয়ে গেছে। নেই কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষার মান যথেষ্ট ভালো কিন্তু এইসএসসি ছাড়া আর কোন বিভাগে বেতন ভাতা পাননা কলেজটির শিক্ষকরা। জরাজীর্ণ অবস্থা কে দেখবে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে অনেক শিক্ষকরা দাবী করে বলেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বর্তমান শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি যদি আমাদের কলেজে একটি আইসিটি ভবন বরাদ্ধ দিতেন তাহলে শিক্ষার মানসহ সার্বিক উন্নয়ন হতো কলেজটিতে।
কলেজটির সভাপতি শামছুর রহমান জানান, শিক্ষার মান উন্নয়নে আমি সার্বিক শিক্ষকদের সাথে সার্বিক সহযোগীতা করে যাচ্ছি। অবকাঠামো উন্নয়নে মন্ত্রী মহোদয়ের নিকট কথা বলেছি তিনি একটি ব্যবস্থা করবেন বলে আম্বস্থ করেছেন। হোস্টেলের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, মাওলানা সাহেব আগে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুদান এনে মেধাবী এবং গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের থাকা খাওয়া ফ্রি ব্যবস্থা করতেন কিন্তু বর্তমানে এটা করা সম্ভব হচ্ছেনা।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান জানান, অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়, ফ্যাসালিটিস বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছি কিন্তু অদ্যবধি কোন ফলাফল পাইনি।
পাউবো’র প্রধান প্রকৌশীর তালা টিআরএম বিল পরিদর্শন ও মতবিনিময়
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ লুৎফর রহমান সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বালিয়া গ্রামে বাস্তবায়িত কপোতাক্ষ নদ অববাহিকার টিআরএম বিল পরিদর্শন করেন। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারী) বিকালে পরিদর্শনকালে তিনি টিআরএম বিলের বালিয়া কাট পয়েন্ট সংলগ্ন ক্রস ড্যাম, ক্রস ড্যাম নির্বাচনের স্থান, লিংক ক্যানেল, বেইলী ব্রিজ, পেরিফেরিয়াল বাঁধ, পলি ব্যবস্থাপন, আউটলেট পাইপসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি টিআরএম এলাকায় বিল ব্যবস্থাপনার অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অখিল কুমার বিশ^াস, যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর গোস্বামী, খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ বজলুর রহমানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পানি কমিটির নেতৃবৃন্দ, শালতা বাঁচাও কমিটির নেতৃবৃন্দ, উত্তণের কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিকসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে তিনি শালতা নদী এবং তৎসংলগ্ন আমতলী,ঘ্যাংরাইল, বাদুরগাছাসহ বিভিন্ন বিল পরিদর্শন করেন। সন্ধ্যায় তিনি বোয়ালিয়া ব্রিজ এলাকা পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে তালা উত্তরণ আইডিআরটিতে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় উত্তরণ পরিচালক শহিদুল ইসলাম, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দ্দার, আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. প্রতাপ চন্দ্র রায়, কেন্দ্রীয় পানি কমিটির সদস্য অধ্যাপক হাসেম আলী ফকির, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক প্রণব ঘোষ বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোঃ আলাউদ্দীন জোয়ার্দ্দার, তালা উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি এম ময়নুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান, শালতা বাঁচাও কমিটির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সরদার ইমান আলী, উত্তরণ কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম, দিলীপ সানা এবং সাংবাদিক গাজী জাহিদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
তালায় ইউএনও’র প্রেরণায় গার্লস হাইস্কুলে ডেইলি স্টার কর্নার চালু
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও’র অনুপ্রেরণায় শহীদ আলী আহম্মেদ বালিকাবিস্তারিত পড়ুন