ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপারে বাধ্য হচ্ছে আশাশুনির ৩ গ্রামের মানুষ
আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের ৩ গ্রামের মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদির পারাপারে বাধ্য হচ্ছে। স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিশু, বয়স্ক ও মহিলারা রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
গাবতলা স্লইস গেট থেকে শুরু করে হলদেপোতা ব্রীজ দিয়ে তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের বলুয়া নদীতে গিয়ে পড়েছে দীর্ঘ একটি নদী। এই নদীর কাদাকাটির খেজুরযাঙ্গা নদীর উপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো। যা বছরের পর বছর মানুষ পারাপারের জন্য অবলম্বন হিসাবে ব্যবহার করছে। এ বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে স্থানীয় জন সাধারণ ও স্কুল পড়–য়া ছাত্র ছাত্রীরা প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে থাকে। নদীর উভয় পাড়ের কোমলমতি শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত সহ কৃষি কাজে, ব্যবসায়ীক কাজে নদী পার হয়ে লোকালয়ে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এই বাঁশের সাঁকো।
এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, নদীটি একপারে খেজুরডাঙ্গা, অপর পারে পার খেজুরডাঙ্গা ও বাশতলা গ্রাম। এখানে প্রায় ১৪/১৫ হাজার লোকের বাসবাস। নদীটির উপর ব্রীজ না থাকায় পারাপারে ভোগান্তির অন্ত থাকে না তাদের। প্রায় সময় স্কুলে যাতায়াতে বাঁশের সাঁকো থেকে পা পিছলে নদীতে পড়ে যায় শিশুরা। নদীর অপর পাড়ে চাষাবাদের কাজ করতে যেতে এবং ফসল বাড়ী আনতে খুব সমস্যা হয় তাদের। নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মান করা হলে ভোগান্তি কমতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
শিশু শিক্ষার্থীর মা সংগীতা রানী জানান, তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে সাঁকো পার করে দিতে হয়। আবার স্কুল ছুটির পরে তাদেরকে পার করে নিয়ে আসতে হয় বাড়ীতে। নদীর উপর ব্রীজ না থাকায় যাতায়াতে ভোগান্তির অন্ত থাকে না তাদের। শিশু শিক্ষার্থী অঞ্জনা দাশ জানায়, ভয়ে ভয়ে সাঁকো পার হতে হয়, যদি পা পিছলে নদীতে পড়ে যাই তবে ডুবে যাবো।
খেজুরডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপ্লব কুমার গাইন জানান, নদীর অপর পারের শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত দীর্ঘ এবং ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে থাকে। বিষয়টি নিয়ে আমরা এবং অভিভাবকরা উদ্বেগের ভিতরে সময় কাটাচ্ছি। আমরা অতিদ্রুত এ নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মানের দাবী জানাই।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোসাঃ শামসুন্নাহার জানান, শিক্ষার্থীরা একটি ঝুঁকিপূর্ণ বাশের সাঁকো দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে আসছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে এ বাঁশের সাকোটি নির্মান করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। কোমলমতি শিশুদের জীবনের ঝুঁকি কমাতে নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মানে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
ব্রীজ নির্মানের ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা জানান, খেজুরডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে নদীর উপর অতিদ্রুত একটি ব্রীজ নির্মান করার কথা থাকলেও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে এখনও ব্রীজটি নির্মান করা সম্ভব হচ্ছে না বলে আমরা জানতে পেরেছি। তিনি অতিদ্রুত টেন্ডারের মাধ্যমে নদীটির উপর ব্রীজ নির্মানের কাজ শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
আশাশুনিতে পূর্বের বিয়ের তথ্য গোপন করে আবারো অন্যত্র বিয়ে দেয়ার অভিযোগ!
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে পূর্ববর্তী বিয়ের তথ্য গোপন করে অধিক লাভ ওবিস্তারিত পড়ুন