জেব্রার গায়ে ডোরাকাটা দাগের রহস্য কি?
কোথা থেকে এলে জেব্রার গায়ের ডোরাকাটা দাগ? বহুদিন ধরে চলছে গবেষণা। সম্প্রতি এ নিয়ে আমেরিকার দুটি জার্নালে নতুন গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।
আঙ্গুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) যেমন প্রত্যেকের আলাদা, জেব্রাদের ডোরাকাটা দাগও তেমনি। একটা জেব্রার দাগের সঙ্গে অন্য জেব্রার দাগের মিল নেই।
শিকারীদের বিভ্রান্ত করতে ক্যামোফ্লাজ হিসাবে ডোরাকাটা দাগ জেব্রার গায়ে, এমনটা বলেছিলেন বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী। কিন্তু এই দাগের পিছনে আদতে কোন জিন রয়েছে, তা নিয়ে রহস্য রয়েই গেছে।
২০ লাখ বছরেরও বেশি আগে জেব্রার উৎপত্তি। প্রথমে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল যে, ওদের শরীরে ডোরাকাটা দাগ কোন একটি কারণেই তৈরি হয়েছে আর তা হল অভিযোজন। পরবর্তীতে আরও ১৭টি তত্ত্ব দেন বিজ্ঞানীরা।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া-ডেভিসের ওয়াইল্ড লাইফ বায়োলজিস্ট টিম বিভিন্ন তাপমাত্রা, অঞ্চলের ওপর ভিত্তি করে খুঁজেছেন কারণ। তাদের দাবি, বিষাক্ত সেটসি-সহ অন্যান্য মাছি তাড়ানোর জন্যই নাকি জেব্রার গায়ে ডোরাকাটা দাগ।
তাদের গবেষণা বলছে, মাছির প্রকোপ বেশি হলেই জেব্রার ডোরাকাটা দাগের ঘনত্ব বেড়েছে। নেচার কমিউনিকেশন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে সমীক্ষার রিপোর্ট। ২০১২ সালের ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের একটি গবেষণাও একই তত্ত্ব জানিয়েছিল।
ব্রেন্ডা ল্যারিসনের নেতৃত্বে একদল মার্কিন বিজ্ঞানী গবেষণা করছেন জেব্রার ডোরাকাটা দাগ নিয়ে। তাদের মত, এই ডোরাকাটা দাগের সংখ্যা ও ঘনত্ব যে পরিবেশে জেব্রারা বাস করে, সেখানকার তাপমাত্রা দ্বারা নির্ধারিত হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়ার মতো দেশে যেখানে শীতকালটা অপেক্ষাকৃত বেশি ঠান্ডা, সেখানে জেব্রার ডোরাকাটা দাগগুলো কম। অপেক্ষাকৃত সরু, রঙও হালকা। কোনও ক্ষেত্রে পা, শরীরের কিছু জায়গায় ডোরাকাটা দাগ নেই বললেই চলে। আফ্রিকার অন্যত্র ঠিক উল্টো।
প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড্যানিয়েল রুবেনস্টেইন বলেন, মোটা মোটা ডোরাকাটা দাগওয়ালা জেব্রাদের শরীরের বাহ্যিক তাপমাত্রা একই সাইজের অন্যান্য প্রাণী, অ্যান্টিলোপের তুলনায় অনেক কম। কিন্তু এই তত্ত্বও সম্প্রতি খারিজ করেছেন একদল বিজ্ঞানী।
হাঙ্গারির ইওতওভোস লোরান্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী গাভোর হোরবাথ ও হাঙ্গেরির ভেটেরেনারি মেডিসিন, সুইডেনের লান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল জানায়, তাপমাত্রার সঙ্গে জেব্রার ডোরাকাটা দাগের কোনও সম্পর্ক নেই।
সূত্র : আনন্দবাজার
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
পাকিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৯ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে ১৯বিস্তারিত পড়ুন
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হিক্কা
ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিক্কা। এর ফলে ঝড়ের পাশাপাশি ভারীবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন