রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

জবরদস্তি চুক্তি, চাল আসেনি মণিরামপুর গুদামে

চলতি মৌসুমে মণিরামপুরে বোরো ধানের চাল সংগ্রহের সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। গত ৩১ মে চাল সংগ্রহে মিলারদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো মিলার চুক্তিবদ্ধ হননি।

ফলে উপজেলা খাদ্যগুদাম প্রায় ফাঁকা পড়ে আছে। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৫ জন মিলার চাল দেবেন বলে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। যদিও এখনো তারা কোনো চাল সরবরাহ করেননি।

খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, চাল সরবরাহ পেতে কর্তৃপক্ষ মিলারদের বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করছেন। কর্তৃপক্ষের দাবি, এতোদিন তারা (মিলাররা) সরকারের কাছ থেকে লাভ করেছে। এখন একটু ক্ষতি হলে অসুবিধা কী!

তবে মিলাররা কোনোভাবেই লোকসান দিয়ে কর্তৃপক্ষের ডাকে সাড়া দিতে রাজি নন। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে মোটা চালের পাইকারি বাজারদর ৩-৪ টাকা বেশি হওয়ায় মিলাররা চাল সরবরাহ দিতে চাচ্ছেন না।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, চলতি বছরের ১ জুন থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সরকার-নির্ধারিত ৩৪ টাকা দরে মণিরামপুরে এক হাজার ৮২ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করার কথা। সেই লক্ষে গত ২০ মে মিলারদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের চুক্তিবদ্ধ হওয়ার শেষ সময় ছিল। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে মিলাররা সাড়া না দেওয়ায় সময়সীমা বাড়িতে ৩১ মে করা হয়। সেই সময়ের মধ্যে উপজেলার ৫০ জন মিলারের মধ্যে ১৫ জন চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। যদিও নির্ধারিত তারিখে সরেজমিন জানা গেছে, তখন পর্যন্ত কোনো মিলারই চুক্তিবদ্ধ হননি।

অফিস সূত্র বলছে, মিলারদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। বাজারদর থেকে সরকারের নির্ধারিত দাম কেজিপ্রতি ৩-৪ টাকা কম হওয়ায় মিলাররা লোকসান দিয়ে চাল সরবরাহে কোনোমতেই রাজি হচ্ছেন না।
এদিকে মণিরামপুর খাদ্য গুদামকে কেন্দ্র করে ১১ শ্রমিক তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন। চলতি মৌসুমে ধান চাল সরবরাহ না হওয়ায় তাদের কোনো উপার্জন নেই। সামনে ঈদ হওয়ায় তারা বড়ই চিন্তিত।

উপজেলা খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহ দেন এমন একজন বড় মিল মালিক আব্দুস সালাম। তিনি জানান, অনেক চাপাচাপিতে বাধ্য করায় এই পর্যন্ত ১২-১৩ জন মিল মালিক চাল দেবেন বলে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ চাল সরবরাহ করেননি।

তিনি বলেন, ‘আমি নিজে ৪৭ টন চাল দেব বলে চুক্তি করেছি। এখনো দেওয়া হয়নি। বাজারদরের থেকে সরকার ৩-৪ টাকা কমে চাল কেনায় সরবরাহ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’

মণিরামপুর উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মিনারুল ইসলাম বলেন, ‘সম্প্রতি ঝিনাইদহ থেকে একশ টন চাল আনা হয়েছে। সব মিলিয়ে গুদামে ১৩২ টন চাল আছে।’

প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেক চাপাচাপি ও ভয়ভীতি দেখানোর পর মিলাররা চুক্তি করেছেন। তবে বাজারে চালের দাম বেশি হওয়ায় তারা চাল সরবরাহ দিচ্ছে না।’

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফাতিমা সুলতানা বলেন, ‘১৫ জন মিলার চুক্তি করেছেন। এখনো সরবরাহ নেওয়া হয়নি। মিলাররা যে চাল দিতে চাইছেন, তা পছন্দ হচ্ছে না বলে ফেরত দেওয়া হচ্ছে।’

দেশের বাইরে থেকে সরকার চাল আমদানি করছে এবং দ্রুতই গুদামে চাল এসে যাবে বলে দাবি এই কর্মকর্তার।

একই রকম সংবাদ সমূহ

১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন

বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা

বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন

ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত

যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন

  • কেশবপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মিনা দিবস পালিত
  • কেশবপুরে মটরসাইকেলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
  • কেশবপুরে তৃণমূল সাংবাদিক দলের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা
  • কেশবপুরে জয় সাহাকে পুনরায় ক্রীড়া সংস্থার সা.সম্পাদক করার দাবী
  • ঝিকরগাছার বাঁকড়ায় আ.লীগের বর্ধিত সভা
  • শার্শার হাড়িখালি আমবাগান থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
  • কেশবপুরে ভ্রাম্যমান আদালতে দুই মহিলা চোরকে কারাদন্ড
  • কেশবপুর উপজেলা দলিত পরিষদের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত
  • কেশবপুরের ভাল্যুকঘর মাদরারাস নিয়ে এক প্রভাষক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত!
  • মারধর করায় বাচ্চা কোলে নিয়ে কেশবপুরে থানায় হনুমানের দল
  • বেনাপোল দিয়ে ইলিশমাছ ভারতে পাচারের সময় গ্রেফতার-২
  • বেনাপোল পোর্ট থানার ওসিকে পত্রিকা প্রতিনিধিদের ফুলেল শুভেচ্ছা