ক্যান্সার প্রতিরোধে ফুলকপি!
চলছে শীতের মৌসুম। স্বাভাবিকভাবেই তাই সবজিতে ভরপুর বাজার। দামও অন্য যেকোনো মৌসুমের তুলনায় অনেক কম। এসব সবজিতে রয়েছে নানান পুষ্টিগুণ। বাজারে উঠা এসব সবজির মধ্যে অন্যতম ফুলকপি। এতে রয়েছে প্রচুর আঁশ, যা পরিপাকতন্ত্রকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। আরও আছে অ্যান্টি-ক্যান্সার বা ক্যান্সার নিরোধক উপাদান।
মূত্রথলির ক্যান্সারের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ কমে বলে যুক্তরাষ্ট্রের রসওয়েল পার্ক ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকেরা সপ্তাহে অন্তত তিনবার ফুলকপি খাওয়ার কথা বলেছেন। এছাড়া, সপ্তাহে প্রায় ২ পাউন্ড ফুলকপি খেলে মলাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
পুষ্টিগুণে ভরপুর ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। ভিটামিন এ, বি ছাড়াও আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও সালফার পাওয়া যায়। ফুলকপির ডাঁটা ও সবুজ পাতায়ও রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। ফিগার সচেতনরা ফুলকপি খেতে পারেন। কারণ এতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম।
গরুর দুধের চেয়েও প্রায় পাঁচ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম রয়েছে ফুলকপিতে। ২০০ গুণ বেশি আয়রন। ফুলকপি বেশি সিদ্ধ বা রান্না করলে এর সালফার যৌগ নষ্ট হয়ে যায় এবং এসব গুণাগুণ অনেকটাই বিনষ্ট হয়। তাই সম্পূর্ণ গুণাগুণ পেতে ফুলকপিকে সামান্য ভাপ দিয়ে বা স্টিম করে খেতে হবে।
ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন এ ও সি শীতকালীন বিভিন্ন রোগ যেমন জ্বর, কাশি, সর্দি ও টনসিল প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ফুলকপির ভিটামিন এ চোখের জন্যও প্রয়োজনীয়। উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস রোগীরা ফুলকপি খেতে পারেন নিঃসঙ্কোচে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও কোলেস্টেরল কমাতেও ফুলকপি ভালো কাজ করে। ফুলকপিতে থাকা আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
তবে যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাদের ফুলকপি বেশি না খাওয়াই ভালো। ফুলকপিতে থাকা প্রচুর উদ্ভিজ্জ আমিষ দুর্বল কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। আবার যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে, তাদেরও ফুলকপি খেতে একটু সাবধান হতে হবে। কারণ ফুলকপি খেলে অনেকের গ্যাসের সমস্যা হয়। এ ছাড়া থাইরয়েড গ্ল্যান্ডসংক্রান্ত জটিলতায় আক্রান্তদের ফুলকপি এড়িয়ে চলাই ভালো।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
এবার বাংলাদেশেও ভাঙল প্রচলিত নিয়ম, যাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে বরের বাড়িতে কনে!
এবার বাংলাদেশেও ভাঙল প্রচলিত নিয়ম, যাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে বরেরবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ায় উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের সাথে পুষ্টি বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠক
কলারোয়ায় উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের সাথে পুষ্টি বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিতবিস্তারিত পড়ুন
ভালোবাসার সুড়ঙ্গ রহস্য (ভিডিও)
প্রকৃতি অপার রহস্যের ভান্ডার। তাই সে মাঝে মাঝেই আমাদের চমকেবিস্তারিত পড়ুন