কেশবপুরে বোরোর বাম্পার ফলনে কাল বৈশাখীর আনাগোনায় শঙ্কিত কৃষক
যশোরের কেশবপুরে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রেয়েছে। সময়মত ক্ষেতে সার, বীজ ও ডিজেল, বিদ্যুতের সরবরাহ কৃষকের চাহিদা মত থাকায় ধান গাছে ইতোমধ্যে শীষ বের হয়ে সোনালী বর্ণ ধারণ করতে শুরু করেছে। ব¬াস্ট প্রতিরোধে স্থানীয় কৃষি বিভাগের ছিল আগাম প্রস্তুতি। তবে শেষ মূহুর্তে কাল বৈশাখীর আনাগোনায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কৃষক। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে চলতি বছর ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষি বিভাগ দাবি করছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু ধানের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি নাবিতে বৃষ্টিপাতের কারণে যে সমস্ত জমি অনাবাদি ছিল তাও কৃষকরা বোরো আবাদের আওতায় আনায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এবার ২ হাজার হেক্টর বেশী জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৩ হাজার হেক্টর বেশী। তবে এলাকার কৃষকেরা বলছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বোরো আবাদ করতে তাদের অর্থনৈতিকভাবে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। চারা লাগানো থেকে ধান কাটা পর্যন্ত যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তা হলে তারা বন্যার ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে উঠবেন।
উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা অনাথ বন্ধু দাস জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে কোনো প্রকার কীটনাশকের ব্যবহার ছাড়াই ধান ক্ষেতে আলোক ফাঁদ ও পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করায় এ বছর রোগবালাই কম দেখা দিয়েছে। ব¬াস্ট মোকাবিলায়ও নেয়া হয়েছিল আগাম প্রস্তুতি। এছাড়া ব্রি উদ্ভাবিত উন্নত জাতের ধানের চারা সঠিক সময়ে রোপণ, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, যথা সময়ে সেচ ও সার সরবরাহ করায় ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলার চুয়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক শেখ আসাদুজ্জামান জানান, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে তিনি ৫ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছেন। যাবতীয় কৃষি উপকরণ হাতের নাগালে থাকায় সুস্থ্য সবলভাবে ধান গাছে শীষ বের হয়েছে। ঝড়, শিলা-বৃষ্টি না হলে গত বছরের তুলনায় এ বছর তিনি ভালো ফলন পাবেন বলে আশাবাদি। তিনি এ বছর মাঠে ব্রি-ধান-২৮, ৬৩ ও ও হাইব্রিড ধানী গোল্ড জাতের ধানের আবাদ করেছেন। ধান কাটা মাড়াই মৌসুমে বাজার দর ভালো পেলে তিনি লাভবান হবেন। তবে ব্রি-ধান-২৮, ৬৩ ব¬াস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায় এলাকার ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কিন্তু মাঝেমধ্যে কাল বৈশাখীর আনাগোনায় তিনি অনেকটাই আতঙ্কে আছেন।
কেশবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মহাদেব চন্দ্র সানা জানান, গত বছর ব¬াস্ট রোগের আক্রমে কিছু কিছু এলাকার ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। চলতি বোরো মৌসুমে এ বছর ব¬াস্ট প্রতিরোধে আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রতিটি ব্ল¬কে মাঠ দিবসের মাধ্যমে আলোক ফাঁদ, পার্চিং পদ্ধতি ও ভর্মি কম্পোষ্ট (কেঁচো সার) ব্যবহারে কৃষকদের সচেতন করা অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে চলতি বছর প্রায় ২৩২ কোটি টাকার এক লাখ মেট্রিকটন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন