যশোরের কেশবপুরে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে মারপিট করার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিতে গেলে উল্টো পুলিশ এক যুবককে আটক করে নাশকতা মামলায় ঢুকিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কারণ এলাকার কাউন্সিলর ছিল ওই যুবকের ওপর ক্ষেপা। বৃহস্পিতিবার সকালে এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধুরা ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এলাকায় ছাটা মিছিল করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কেশবপুর পৌর এলাকার সাবদিয়া গ্রামে।
এলকাবাসি জানায়, ২ মে সন্ধ্যায় পৌর এলাকার সাবাদিয়া গ্রামের ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামালউদ্দীনের ছেলে শাহীনের নেতৃত্বে ৪/৫ জন যুবক সাবদিয়া গ্রামের হতদরিদ্র ভ্যান চালক আব্দুল আজিজের ছেলে কামরুল ইসলামকে উপজেলার পাবলিক ময়দানে ডেকে নিয়ে মারপিট করে। এ ঘটনায় ওই রাতেই কামরুল ইসলাম শাহীনসহ তাঁর সহযোগিদের বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করতে যায়। খবর পেয়ে এলাকার কাউন্সিলর জামালউদ্দীন সেখানে উপস্থিত হয়ে উল্টো ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়ে তাকে নাশকাতা মামলায় ঢুকিয়ে দেয়।

এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। থানায় আটক কামরুল ইসলামের মা ফিরোজা বেগম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, থানার গেটে কাউন্সিলর জামালের কাছে তাঁর ছেলেকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলার সাথে সাথেই তাকে লাখি মেরে থানা থেকে বের করে দেয়। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে ওই কাউন্সিলরের হাতে নির্যাতনের শিকার গ্রহবধুরা সাবদিয়া-বাজিতপুর সড়কের ওপর ঝাটি মিছিল করে এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।

কাউন্সিলর জামালউদ্দীন বলেন, থানা পুলিশের হাতে আটক কামরুল বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। এলাকায় নাশকাতার আশঙ্কায় পুলিশ তাকে আটক করেছে। এতে আমার কোন হাত নেই।

এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার এসআই ফকির ফেরদৌস বলেন, কামরুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার নাশকতা মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Kalaroa News

---

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)

---