কেশবপুর হাসপাতালে নেই আর নেই অবস্থা
যশোরের কেশবপুর উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার স্বল্পতায় রোগির সেবা মারাত্মক ভাবে ব্যহত হচ্ছে। গত বছর উপজেলা পর্যায়ে শীর্ষ দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী এ হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা রোগিরা অভিযোগ করেছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ডাক্তার পাওয়া যায় না। শুধু ডাক্তার সল্পতা নয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সল্পতাও হাসপাতালের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে কর্তৃপক্ষ রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে ২০ জন মেডিকেল অফিসারের স্থলে রয়েছেন ৬ জন। ১০ কনসালটেন্ট পদে আছে ৬ জন। নেই আবাসিক মেডিকেল অফিসার, জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারী), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষু), জুনিয়র কনসালটেন্ট (নাক, কান, গলা), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চর্ম ও যৌন), সহকারি সার্জন, ইএমও, মেডিকেল অফিসার (ইউনানী ও হোমিও), ডেন্টাল সার্জন রয়েছেন প্রেষনে। হাসপাতালে নেই আল্ট্রা সনোগ্রাফ ও ডিজিটাল এক্সে।
চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ভেতর নেই নিরাপত্তা প্রহরী ১ জন, এমএলএসএস ১ জন, মালী ১ জন, ওয়ার্ড বয় ২ জন, ইমারজেন্সেী এটেনডেন্ট ১ জন, আয়া ১ জন ও ঝাড়–দার ৩ জন। এছাড়াও তৃতীয় শ্রেণির নেই প্রধান সহকারি ১ জন, হিসাবরক্ষক ১ জন, পরিসংখ্যানবিদ ১ জন, ক্যাশিয়ার ১ জন, অফিস সহকারি কাম মুদ্রাক্ষরিক ২ জন, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ফার্মাসিস্ট) ২ জন, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ফিজিও) ১ জন, সহকারি সেবক/সেবীকা (নার্স) ১ জন, কম্পাউন্ডার ১ জন, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৩ জন, সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৪ জন।
শনিবার সরেজমিন দেখা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগিরা ডাক্তার কম রয়েছে জানতে পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, হাসপাতালে এখন নেই আর নেই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মেডিকেল অফিসার স্বল্পতার কারণে রোগিরা সুষ্ঠু ভাবে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সাঁগরদাড়ী গ্রাম থেকে মনজিলা বেগম তার শিশু সন্তানকে নিয়ে আসেন হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে। ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ডাক্তার না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একই কথা জানালেন, ভরত ভায়না গ্রাম থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা বাবুরআলী।
গত বছর স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার উপজেলা পর্যায়ে শীর্ষ ৫ এর দ্বিতীয় স্থান অর্জন এ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পূর্বের স্থান ধরে রাখার বিষয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে। কেশবপুর উপজেলা যশোর, সাতক্ষীরা ও খুলনার মধ্যবর্তি স্থানে অবস্থিত হওয়ায় পার্শ্ববর্তী কলারোয়া, তালা ও মণিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রোগিরা কেশবপুর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। যে কারণে এ হাসপাতালে রোগির চাপও অনেক বেশী। হাসপাতালে আল্ট্রা সনোগ্রাফ ও ডিজিটাল এক্সে না থাকায় রোগিরা এ সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে কর্তৃপক্ষ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট চাহিদা প্রেরণ করেছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার শেখ আবু শাহীন জানান, ২০ মেডিকেল অফিসারের স্থলে ৬ জন ডাক্তার থাকায় অধিক রোগির সেবা দিতে কষ্টকর হচ্ছে। বিশেষ করে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী স্বল্পতায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। গত বারের স্বাস্থ্য মন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার উপজেলা পর্যায়ে শীর্ষ ৫ এর দ্বিতীয় স্থান অর্জন সম্পর্কে জানতে চাইলে ডাক্তার শেখ আবু শাহীন আরও জানান, ডাক্তার স্বল্পতার ভেতরও র্শীর্ষ স্থান ধরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন