মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

কাশ্মীরের একটি গ্রামের নাম ‘বাংলাদেশ’

কাশ্মীরকে বলা হয় ভূস্বর্গ। এতটাই দৃষ্টি নন্দন আর মনোরম এর প্রকৃতি। মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীর থেকে শুরু করে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও মজেছিলেন এর অপরূপ রূপে। তার ‘বলাকা’ কাব্যগ্রন্থের কিছু কবিতা লিখেছিলেন কাশ্মীরে বসেই। অনিন্দ্য সুন্দর কাশ্মীরের মাটিতে মৃত্যুবরণ করতে চেয়েছিলেন সম্রাট জাহাঙ্গীর। কেবল বিখ্যাত ব্যক্তিরাই নন, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ যান কাশ্মীর ভ্রমণে। বেড়ানোর জন্য আমাদের অনেকেরই প্রিয় স্থান এটা।

কিন্তু মজার কথা কি জানেন? এশিয়ার সুইজারল্যান্ড বলে খ্যাত কাশ্মীরেও আছে এমন এক টুকরো গ্রাম, যার নাম বাংলাদেশ।

কাশ্মীরে সবমিলিয়ে ২২ টি জেলা। শ্রীনগর থেকে ৮০ কিলোমিটার উত্তরে গেলে যে জেলা পড়বে তার নাম বান্ডিপুরা। এই বান্ডিপুরা জেলার আলুসা তহশিলে একটি গ্রামের নাম বাংলাদেশ। বিখ্যাত উলার হৃদের তীরে ভাসমান এই গ্রামে বাইরের লোকজনের খুব একটা আনাগোনা নেই।

বান্ডিপুরা-সোপুরের মধ্য দিয়ে মাটির রাস্তা ধরে পাঁচ কিলোমিটার হাঁটলেই দেখা মিলবে বাংলাদেশের, মানে ওই গ্রামের।স্বাভাবিকভাবেই আপনাদের মনে প্রশ্ন ওঠেছে ওই গ্রামের এমন নামকরণের কারণ কি? আপনি জেনে অবাক হবেন, কাশ্মীরের এই গ্রামটির সাথে ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের যোগসূত্র রয়েছে। ১৯৭১ সালে জুরিমন নামক এক গ্রামের ৫-৬টি ঘরে আগুন লাগে। আগুনের শিখায় জ্বলে পুড়ে যায় ঘরগুলো। গৃহহীন হয়ে পড়েন নিরীহ সাধারণ এই মানুষগুলো। তারা তখন পুড়ে যাওয়া জায়গা থেকে কিছুটা দূরে পার্শ্ববর্তী ফাঁকা জায়গায় সবাই মিলে ঘর তোলেন। সেই বছরই ডিসেম্বরে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়। সেই একই সময় গৃহহীন মানুষগুলো দুঃসময় মোকাবেলা করে শুরু করেন তাদের নতুন জীবন। তাই তারা তাদের নতুন গ্রামের নাম রাখেন বাংলাদেশ।

উলার হৃদের তীরে এই গ্রামটি সৌন্দর্যে কিন্তু কম যায় না! চারদিকে জল, পেছনে সুউচ্চ পর্বত, সব মিলিয়ে অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছড়িয়ে রয়েছে গোটা গ্রাম জুড়ে। কিন্তু, নাগরিক কিছু সাধারণ সুবিধা এখনো ঠিক ঠাক ভাবে পৌঁছে না গ্রামবাসীর কাছে। তাই তারা কোনো বিদেশি দেখলে আশ্চর্য হয়। আর বিদেশিরাও তো সেখানে যান কদাচিৎ।

মাত্র ৭ বছর আগে কাগজে কলমে পৃথক গ্রামের মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ। বান্ডিপুরার ডিসি অফিস ২০১০ সালে এই আলাদা গ্রামের মর্যাদা দেন। ৫/৬ ঘর থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ গ্রামে এখন আছে পঞ্চাশেরও বেশি ঘর। তবে এই প্রজন্মের অনেকে গ্রামটির জন্ম ইতিহাস জানেন না। গ্রামবাসীর প্রধান জীবিকা মাছ ধরা। পাশাপাশি তারা পানি আর বাদাম সংগ্রহ করে থাকে।

উল্লেখ্য, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে কাশ্মীরে।

গো নিউজ২৪/আই

একই রকম সংবাদ সমূহ

পাকিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৯ জনের মৃত্যু

পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে ১৯বিস্তারিত পড়ুন

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হিক্কা

ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিক্কা। এর ফলে ঝড়ের পাশাপাশি ভারীবিস্তারিত পড়ুন

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন

  • সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
  • রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছে চীন
  • ৩য় বারের মতো কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্ততার প্রস্তাব ট্রাম্পের
  • এক রাজার ১০০ স্ত্রী ও ৫০০ সন্তান! (ভিডিও)
  • মুখে মাকড়সা চড়লে ‘রিল্যাক্স’ অনুভূত হয় এই নারীর! (ভিডিও)
  • পানির নিচে বিয়ের প্রস্তাব দিতে গিয়ে মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু
  • মাথায় ৪ ইঞ্চি লম্বা শিং নিয়ে হাসপাতালে বৃদ্ধ!
  • ১৩০টির বেশি দেশ ঘুরে বেড়ানো এক অন্ধ পর্যটকের গল্প
  • হেলমেট ঢোকেনি মাথায়, জরিমানা নিতে ব্যর্থ ট্রাফিক পুলিশ!
  • ৪ বছর প্রেম শেষে ৩০০ বছর বয়সী ভূতকে বিয়ে! (ভিডিও)
  • ছাগল চুরির ৪১ বছর পর ধরা পড়ল চোর!
  • যে গ্রামে প্রতিটা বাড়িই দরজাহীন, ব্যাংকে নেই তালা!