এবার হিন্দু মৌলবাদীদের ধর্মীয় গোঁড়ামিতে চটেছেন তসলিমা
এবার হিন্দু মৌলবাদীদের ধর্মীয় গোঁড়ামিতে চটেছেন তসলিমা নাসরিন। এ নিয়ে বাংলাদেশের ওই বিতর্কিত ও নির্বাসিত লেখিকা তার ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাসের মাধ্যমে ক্ষোভ ঝেড়েছেন।
পাঠকদের জন্য তার ওই স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হল-
কলকাতার একাডেমি অব ফাইন আর্টস প্রাঙ্গণে কারা যেন একটি গাছতলায় দুটি পাথর বসিয়ে গেছে। তারপর ওই পাথর দুটিতে সিঁদুর ও মালা পড়িয়ে ফুল-পাতা ছড়িয়ে গেছে অন্য কারা যেন। এসবের মানে, পাথর দুটি পাথর নয়, ভগবান!
মুশকিল হল, সিঁদুর লেপা পাথরকে যে কেউ এখন সরিয়ে দিতে পারে না। সরিয়ে দিলে ধার্মিকেরা ছুটে এসে মারধর করবে। কেউ নাকি ওই পাথর দুটোকে লাথি মেরে সরাতে চেয়েছিল, তাতেই এক দল তেড়ে এসেছে, শিব ঠাকুরকে লাথি মেরেছে, এত বড় স্পর্ধা!
অনেকে বলছেন, প্রগতিশীলদের সাংস্কৃতিক অঙ্গণে মুক্তচিন্তকদের মতবিনিময়ের জায়গায় মন্দির গড়ার ষড়যন্ত্র চলছে। মন্দির গড়ে উঠলে মুশকিল হল, এলাকাটিতে সংস্কৃতি চর্চার বদলে ধর্ম চর্চাই প্রাধান্য পাবে। ধর্মবাদীরা ধর্মকে সংস্কৃতি করতে চায়, সংস্কৃতিকে ধর্ম করতে চায় না।
এই প্রশ্ন তো আসেই, মন্দির গড়ার জন্য একাডেমি চত্বরের দরকার হয় কেন? পূজা করার জায়গার কি অভাব কলকাতায়? শত শত মন্দির তো আছেই এ জন্য! গোঁড়ামির বিরুদ্ধে যেখান থেকে মিছিল বের হয়, সেখানে গোঁড়ামির পাথর রেখে এলেই প্রতিবাদের কণ্ঠ বুজে যাবে, তাই তো!
ধার্মিকদের নিয়ে মুশকিল, তারা পৃথিবীর সব জায়গা দখল করে নিতে চায়। সব সরকারকে তাদের প্রচারক বানাতে চায়, সব প্রতিষ্ঠানকে তাদের সমর্থক করতে চায়, সব মানুষকে বিশ্বাস করাতে চায় সেই রূপকথায়, যে রূপকথায় তারা বিশ্বাস করে।
বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আড়াই হাজার মসজিদ মাদ্রাসা বানানো হয়েছে। রাতে রাতে মোল্লারা ওয়াজ শোনায় রোহিঙ্গাদের, বুদ্ধি দেয়, মিয়ানমার তাদের ফেরত নিতে চাইলেও যেন তারা ফেরত না যায়। এও এক ষড়যন্ত্র, ধর্ম দিয়ে সমাজ ছেয়ে ফেলার ষড়যন্ত্র। রোহিঙ্গা শিশুদের মগজধোলাই চলছে। এরাই তো ভবিষ্যতের জিহাদি।
ধর্মের নোংরা রাজনীতি থেকে শুধু নিজেদের বাঁচালেই চলবে না, সমাজকেও বাঁচাতে হবে, রাষ্ট্রকে তো বাঁচাতে হবেই।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
এবার অভিনয়ে পরিচালক শিমুল সরকার
নজরুল ইসলাম তোফা:: পরিচালক শিমুল সরকার। সময়ের তরুণ জনপ্রিয় একজনবিস্তারিত পড়ুন
আজব এক ব্যক্তি কাঁচা মাছ, মাংস ও লতাপাতা খেয়ে স্বাভাবিক চলে
নজরুল ইসলাম তোফা:: জীবনে চলার পথে বহু রকম মানুষের সাথেবিস্তারিত পড়ুন