আশাশুনির লতাখালীতে রাস্তা নির্মান কাজে ব্যাপক অনিয়ম
আশাশুনির পল্লি শোভনালীর লতাখালী নামক জায়গায় ঘের এলাকায় রাস্তা নির্মান কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে উঠেছে। কাজের কোন তদারকি হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। ৪,০০০ ফুট এ রাস্তার কার্পেটিং করণের পরের দিনই রাস্তা থেকে পাথর উঠে গেছে। এটাকে পুকুর চুরির মতো ঘটনা বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। আর বৃষ্টি চলাকালীন সময় রাস্তার কার্পেটিং এর কাজ করায় হাত দিয়ে টান দিলে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। ফলে জন সাধারণের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। অনেকেই বলেন, সরকার টাকা দিয়ে ঠিকাদার বরাদ্ধ দেন, মাঝ পথে রাঘব বোয়ালরা মিলে লুটপাট শুরু করে। স্থানীয় লোকজন জানান, তারা রাস্তার কাজের শুরু থেকে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির কথা ঠিকাদারকে জানিয়েছিলেন কিন্তু কিছু কিছু অনিয়ম একটু এড়িয়ে চললেও পরবর্তীতে তাদের কোন কথাও শুনেনী। একপর্যায়ে এলাকাবাসী অথিষ্ট হয়ে তাদের আর কিছু বলেননি। তবে প্রথম দিক থেকই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধ রাস্তার কার্পেটিং করণ কাজের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসছিল। কিন্তু কাজ দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিয়োজিত কর্তা-বাবুরা তাতে কর্ণপাত করেনি। কার্পেটিং করণ কাজ করে বাড়ি যেতে না যেতেই পরের দিন দেখা গেলো রাস্তার বেশ কয়েকটি স্থানে কার্পেটিংসহ পাথর উঠে গেছে অনেক জায়গায়। রাস্তার কজের শ্রমিক সাজ্জাত হোসেন, নূরঅলীগং জানায় কার্পেটিং এর আগে রাস্তায় ‘খ’ দেওয়ার সময় পনের হাজারের মত আমা ও ঝামা ইটের ব্যাহার হয়েছে, তবে ‘খ’ দেওয়ার ব্যাপারে এলাকাবাসী অভিযোগ নিন্ম মানের ইট ব্যাবহারের পাশাপাশি ৩০ থেকে ৪০ হাজার আমা ও ঝামা ইট ব্যাবহার করা হয়েছে। স্থানীয় নিরাপদ ও হামিদুল জানায় বৃষ্টি চলা কালীন সময়ে রাস্তার কার্পেটিং এর কাজ চলায় রাস্তার নিচের অংশে সাথে কার্পেটিং এর মিশ্রণ হয়নি যে কারনে একটু বৃষ্টি হলেই যেন রাস্তার কার্পেটিং ভাসছে। এব্যাপারে ঠিকাদার হেলাল বলেন আমার কজে কোন প্রকার ত্রুটি নেই, আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কছে কাজ বুঝিয়ে দিয়েছি। তবে কাজের দেখভাল কর্মকর্তা আশাশুনি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার আক্তার হোসেন বলেন কাজ শেষ হয়েছে, তবে আমি অভিযুক্ত বিষটি গুলো আমি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আর এ রাস্তার কাজ যাহাতে পুনরায় হয় এ দাবি এলাকাবাসীর।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
আশাশুনিতে পূর্বের বিয়ের তথ্য গোপন করে আবারো অন্যত্র বিয়ে দেয়ার অভিযোগ!
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে পূর্ববর্তী বিয়ের তথ্য গোপন করে অধিক লাভ ওবিস্তারিত পড়ুন