‘আমাকে পাওয়ার জন্য নোলকবাবু ১০০ রাকাত নামাজ পড়ে’
২০০৯ সালের ঘটনা। বাসায় আমার ভাইয়া (বড় ভাই আজাদ) এসে বলল আজ ক্লোজ আপের নোলকবাবু একসিডেন্ট করেছে, মেডিক্যালে আমরা নিয়ে গিয়েছি। ভাইয়ার কথা আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। ভাইয়া বলল সত্যি ও একসিডেন্ট করেছে, আর এই দেখ ওর নম্বর। আমাকে ভাইয়া নোলকবাবুর মোবাইল নম্বরটা দেখালেন। আমি নম্বরটা রেখে দিলাম।
সেদিন চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে নোলকের গাড়িকে ধাক্কা দেয় একটি ট্রাক। সেখান থেকেই উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান আমার ভাইয়া (আজাদ)। কথাগুলো বলছিলেন ক্লোজ আপ তারকা নোলকবাবুর স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস মৌ।
২০০৯ সালে নোলকবাবুর সাথে বিয়ে হয় মৌয়ের। তাঁদের ঘরে রয়েছে দুই সন্তান। বড় সন্তান আদরের বয়স ৬। এ বছর তাকে স্কুলে দিয়েছেন। আর ছোট সন্তান আদিয়াতের বয়স দেড় বছর। নোলক বাবুর সাথে পরিচয়ের সূত্র কী? এই প্রশ্নের জবাবে মৌ পেছনের গল্প স্বতঃস্ফূর্তভাবে বলে গেলেন।
মৌ বলেন, সে একসিডেন্টের পর আমি তাকে একটি টেক্সট করেছিলাম। সে কোনো উত্তর দেয় নি। পরে একদিন সে ফোন দেয়। আমি ভাইয়ার কথা জানাই। সত্যি কথা বলতে সে যে নোলকবাবু আমি তখনো বিশ্বাস করতে পারিনি। কথা হতে শুরু করলো। একদিন আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল নিয়ে তর্ক বিতর্ক শুরু হয়ে গেল। মৌ আর্জেন্টিনা সমর্থন করেন। আর নোলক বিরোধী। এই নিয়ে কথা বন্ধ থাকে। কিন্তু ফের যখন কথা শুরু হলো দুজনই টের পেলেন আবেগের উপস্থিতি।
এরপরে নোলক কনসার্টের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। যাওয়ার আগে মৌকে নোলক প্রতিশ্রুতি দেন প্রতিদিন কথা হবে। সত্যিই সেখান থেকে নোলক প্রতিদিন ফোন দিত। সবচেয়ে মজার এবং গোপন একটা কথা বলি। তখন তো হোয়াটসআপ, ভাইবার মেসেঞ্জার ছিল না। কিন্তু ফোনেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা হতো। সে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবস্থায় আমার সাথে এগারো লাখ টাকার মোবাইল বিল খরচ করে। আর সবচেয়ে বড় বিষয়টা ছিল সে সেই সময়তা আমাকে পাওয়ার জন্য ব্যকুল ছিল। শবে কদরের রাতে সে আমাকে পাওয়ার নিয়ত করে ১০০ রাকাত নামাজ পড়েছে।
কীভাবে এতো খরচ হলো? মৌ বলেন, লং ডিস্টেন্স কল রেট অনেক। তারমধ্যে সে কনসার্টে যাওয়ার সময় কথা বলতো, পুরো কনসার্ট চলতে থাকা অবস্থায় মোবাইলে লাইনে আমাকে রাখতো। আমি গান শুনতাম লাইভ। এভাবে অনেক পাগলামি করতো সে। সে কি পরিমাণ ভালোবাসতো আমি বলে বোঝাতে পারবো না।
ভালোবাসা কী তাহলে এখন কমে গেছে? মৌ হেসে বলেন ভাইয়া ভালোবাসা আরো বেড়েছে। আগে তো আমাদের কেউ ছিল না। এখন আমাদের বন্ধনের মাঝে দুই সন্তান। আমি অনেক হ্যাপি। বিয়ে কবে হলো? মৌ বলেন, ওই বছরেই (২০০৯ সাল) নভেম্বরে আমাদের বিয়ে হয়। আমাদের বিয়ের আট বছর হচ্ছে।
মাঝখানে নোলক কোথায় উধাও হয়ে গিয়েছিলেন? এই প্রশ্নের জবাবে মৌ বলেন, আসলে উধাও বলতে কিছু না। নোলক যখন ক্লোজ আপ ওয়ান তারকা হয় তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৬। সে তখন নিজের চিন্তাতেই অনেক কিছু করেছে। পরিবারকে সাপোর্ট দিয়েছে। আবার কিছু কিছু ভুল হয়তো করে ফেলেছে। তবে মাঝখান থেকে সে দুই বছর লন্ডনে ছিল। নিজের পরিবারকে গুছিয়ে আনার জন্যই তার এই লন্ডন যাত্রা। তার মানে এই নয় যে সে লন্ডনে গিয়ে গান থেকে দূরে থেকেছে। সে নিয়মিত গানের সাথেই ছিল। লন্ডন থেকেই থেকে একটা গানের অ্যালবাম রিলিজ করেছে।
নোলকবাবুর বর্তমানের ব্যস্ততা সম্পর্কে মৌ বলেন, এখন সে পুরোদমে সঙ্গীতের ওপর মনোযোগী। কিছু গানের কাজ করছে। অ্যালবামের কাজ চলছে। আর কনসার্ট ও লাইভ শোগুলো নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বাকি সময়টুকু পরিবারের সাথেই কাটছে। পরিবারের চারজন মিলে আমাদের সুখের বসবাস।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
এবার অভিনয়ে পরিচালক শিমুল সরকার
নজরুল ইসলাম তোফা:: পরিচালক শিমুল সরকার। সময়ের তরুণ জনপ্রিয় একজনবিস্তারিত পড়ুন
সালমানকে উৎসর্গ করে গাইলেন টুটুল
জনপ্রিয় রেডিও উপস্থাপক জহিরুল ইসলাম টুটুল শ্রোতা মহলে আরজে টুটুলবিস্তারিত পড়ুন
সন্তানকে নিয়ে নিউইয়র্কের পথে পথে তাহসান-মিথিলা
সন্তানকে নিয়ে নিউ ইয়র্কের পথে পথে তাহসান-মিথিলা। বিচ্ছেদ হলেও তাহসান-মিথিলাবিস্তারিত পড়ুন