আরো খবর....
নড়াইলের চিত্রা নদীর সাড়ে ৩ কি.মি. ক্রমাগত দখলে সংকুচিত
নড়াইল শহরের বুকের পাশ দিয়ে বয়ে জায়া সেই স্রোতস্বিনী চিত্রা নদী অজ দখলদারদের হয়ে বেচে আছে। কিন্তু সাম্প্রতিক দশকে দখল আর রূষণে চিত্রা নদী শ্রীহীন হয়ে পড়েছে। চিত্রা নদীর সেই সৌন্দর্য্য আর নেই। নেই জৌলুস। ক্রমাগত দখলের কারণে চিত্রা নদী সংকুচিত হয়ে পড়েছে।
তবে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দখলদারদের তালিকা যাচাই বাছাই শেষে অচিরেই তাদের উচ্ছেদ করা হবে।
জানা গেছে, এক সময় চিত্রা নদী চুয়াডাঙ্গা জেলার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে ঝিনাইদহ ও মাগুরা হয়ে নড়াইল জেলায় প্রবেশ করেছে। নড়াইল জেলার মধ্যে ৪৬ কিলোমিটার অতিক্রম করে নদীটি খুলনা জেলার সীমান্তে গাজীরহাটে আতাই নদে মিশেছে। সেটি গিয়ে খুলনার রুপসা নদীতে মিশেছে। নড়াইল শহরের শেখ রাসেল সেতু থেকে শুরু করে রুপগঞ্জ বানিজিক বাজার ও খাদ্য গুদাম ঘাট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার জুড়ে চলছে দখলদারদের তৎপরতা।
সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিত্রা নদীর দখলদারদের তালিকা কতকাল ধরে যে করা হয়েছে তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই।
এদিকে তার পরেও বাদ সাদ দিয়ে নড়াইল সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের তালিকায় চিত্রা নদীর দখলদাররা হলেন, মহিষ খোলার আলম শেখ, তোতা মোল্যা, কুদ্দুস আকুঞ্জি, আইয়ুব মুন্সী, আবু জাফর, মরিয়ম বেগম, রওশনারা খাতুন, জয়নব বেগম, নাছির মৃধা, রেনু বেগম, দেলোয়ার হোসেন, আনোয়ারা বেগম, মো: শরীফ, তহমিনা খানম, জাহানারা বেগম, তিুত মিয়া, জাকির হোসেন, আদুস ছাত্তার, তোতা মোল্যা, জাকির হোসেন, আকলিমা রহমান, মাও: শফিউল্লাহ, সৈয়দ মুশফিকুর রহমান, লালিয়া বেগম, মিন্টু, সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান, নান্নু মোল্যা, মঈনউল্লাহ দুলূ, জিয়াউর রহমান, বাহাউদ্দিন মোল্যা ও মোকাদ্দেস গাজী। ভওয়াখালীর মুজিবর রহমান, বিল্লাল হোসেন, শাহীন শরীফ, ইমরান শেখ, সাজ্জাদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম, জহুরুল হক, সৈয়দা ফারহানা দিল রুবা ও আজাহার মোল্যা। লস্কার পুরের বুলু সিকদার ও শাহাজাহান, কুড়িগ্রামের রবিউল ইসলাম, আকাশ মোল্যা, নজরুল ইসলাম, রশিদ বেপারী। পঙ্কবিলার চরবিলার মাও: আবু জাফর এবং কমলা পুরের জীবন রতন কুন্ডু।
এ ব্যাপারে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার বলেন, জেলা প্রশাসনের দায়িত্ব নদীর সীমানা চিহ্নিত করা ও দখলদারদের উচ্ছেদ করা। নদীর প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে কি না তা দেখার দায়িত্ব পাউবোর।
সদরের সহকারি কমিশনার (ভূমি) বলেন, বিগত ৬ মাস আগে চিত্রা নদীর দখলদারদের তালিকা করা হয়েছে। সবার শুনানীও সম্পন্ন হয়েছে। উচ্ছেদের জন্য এক মাসের মধ্যে নথি জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে। দখলদারদের তালিকা যাচাই বাছাইয়ের কাজ চলছে। যাচাই বাছাই শেষে দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সদর হাসপাতালে নারী দালাল আটক
নড়াইল সদর হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগে আফরোজা নামে এক নারী মহিলা দালালকে এক সপ্তাহের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, আফরোজা নামের ওই মহিলা দালাল এক গরীব রোগীকে প্রতারণা করে হাসপাতাল হতে হাসপাতালের পাশে ফ্যামেলি কেয়ার প্যাথলজিতে নিয়ে যায়। এসময় গোয়েন্দা পুলিশ ওই দালালকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট সোপর্দ করে। ভ্রাম্যমান আদালত তাকে এক সপ্তাহের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে।
আফরোজা এর আগেও বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে আটক হয় এবং জেল-জরিমানা ভোগ করে।
আফরোজ নড়াইল শহরের ভওয়াখালী এলাকায় ভাড়া থাকে। তার গ্রামের বাড়ি নড়াইলের দেবী গ্রামে।
নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) জানান গোয়েন্দা পুলিশ ওই দালালকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট সোপর্দ করে। ভ্রাম্যমান আদালত তাকে এক সপ্তাহের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে। পুলিশের এ অভিযান চলমান থাকবে বলেও তিনি জানান।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
এনামুল-সম্রাটসহ ৪ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সংসদবিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন