আলসেমি দূর করার উপায়
আমরা সবাই কাজে কর্মে কিছুটা ঢিলেমি করি। কিন্তু দীর্ঘায়িত ঢিলেমি বা অলসতা শরীরের জন্য খারাপ। কারণ এটি মানুষকে চাপে ফেলে দেয়।
এখানে আলসেমি বা ঢিলেমি দুর করার কয়েকটি পরামর্শ নিয়ে আলোচনায় বিবিসি বাংলায় ক্রীড়া মনোবিদ ইয়ান টেইলর বলেছেন, মানুষ অনেক সময় মনে করে ইচ্ছাশক্তিই সবকিছু, কিন্তু এটি সঠিক নয় বলেই মনে করেন তিনি। তাই শুধু ইচ্ছাশক্তির ওপর নির্ভর না করে তিনি কাজের খারাপ দিকটিকে উপেক্ষা করাই শ্রেয় বলে মনে করেন। বরং সেটিকে অপরিহার্য ও গুরুত্বপূর্ণ ভাবতে হবে যা হবে লক্ষ্য অর্জনের একটি অংশ।
শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুসচিয়া সিরোইস বলছেন, আলস্য বা সময় ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা সমস্যা নয়। তিনি বলেন, “আপনি যদি উদ্বিগ্ন হন এই ভেবে যে আপনি ব্যর্থ হবেন তাহলে কাজ ফেলে রাখার যুক্তি তৈরি হবে”। এটা একটা বাজে চক্র তৈরি করতে পারে: বিলম্ব করার কারণে কাজ করার সময় কমে যাচ্ছে, যা ব্যর্থতার ঝুঁকি বাড়ায় এবং আপনাকে উদ্বিগ্ন করে তোলে।এসব এড়াতে কাজের ইতিবাচক দিকটি দেখুন, হয়তো কিছু শিখবেন বা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি আনন্দ পাবেন।
যতটা সম্ভব সহজ করুন। সকালে দৌড়ানোর পরিকল্পনা থাকলে আগেই পোশাক ঠিক করে রাখুন। কাজের পরিকল্পনা আগের রাতেই টেবিলে চূড়ান্ত করে রাখুন। আর কাজের বাধাগুলো সরিয়ে ফেলুন। ফোন মিউট করে রাখুন ও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে লগ অফ করুন।
নিজেকে পুরস্কৃত করুন। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাইটলিনয়ুলির নতুন এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে তাৎক্ষণিক পুরষ্কার কঠোর পরিশ্রম করতে উদ্বুদ্ধ করে।
কিছু কৌশল অবলম্বন করে আমরা সহজেই অলসতা কাটিয়ে উঠতে পারি:
১. যখন অলসতা ভর করে ঠিক তখনই কোন না কোন কাজ করার জন্য নিজেই নিজেকে অনুপ্রাণিত করুন। নিজের অসমাপ্ত বা অপূর্ণ কাজগুলোর কথা মনে করুন।
২. বড় কোন কিছুর সূচনা ছোট থেকেই হয়। তাই ছোট ছোট কাজ করে অলসতাকে হার মানাতে পারেন।
হেনরিক এডবার্গ খুবই জনপ্রিয় একজন লেখক। তিনি কিশোর বয়সে খুবই অলস ছিলেন। অলসতা কাটানোর জন্য তিনি মাসের প্রতিদিন এক পাতা করে লিখতেন। পরবর্তী মাসে সেই লেখা সম্পাদনা করতেন। এভাবেই তাঁর বেশ কিছু জনপ্রিয় সাহিত্যের জন্ম হয়।
৩. আজ সারাদিনে বা এই সপ্তাহে কোন কোন কাজটি করা জরুরি তার একটি তালিকা করে ফেলুন। সেই লিস্ট অনুযায়ী কাজগুলো কিছুটা এগিয়ে রাখুন। জীবন অনেক সহজ হয়ে যাবে।
৪. নিজের জন্য ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করে নিন। যেমন, নির্ধারণ করে নিলেন, কোন একটি কাজ ৪০ মিনিটের মধ্যে শেষ করবেন। কাজটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত হাল ছাড়বেন না। কাজ শেষ করেই বিরতি নিন, এর আগে নয়। তা না হলে অলসতা আবার ঘাড়ে চেপে বসবে।
৫. যে বিষয়গুলো অলসতা তৈরী করে সেগুলো থেকে দূরে থাকুন। অলস সময়গুলোর সঙ্গী হয়ে থাকে সোশ্যাল মিডিয়া, স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ বা টেলিভিশন। এসব থেকে কিছু সময়ের জন্য হলেও দূরে থাকুন। কাজে মন বসবে এবং অলসতাও হার মানবে।
৬. নিজেকে প্রশ্ন করুন। যখন কোন কাজ করতে ইচ্ছা করে না, কিন্তু অনেক কাজ পড়ে থাকে তখন কিছুটা সময় নিন। হালকা দম নিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন, তুমি যে কাজটি করছো তা কি ঠিক হচ্ছে? যদি এভাবে চলতে থাকে ভবিষ্যতে নিজেকে কোথায় দেখবে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনার কাজে উৎসাহ দেবে, অলসতা দূর করবে।
৭. একটানা অনেকক্ষণ কাজ করলে কাজের মাঝে একঘেয়েমি চলে আসে। কাজ করতে ইচ্ছা করে না। কাজের মধ্যে নতুনত্ব নিয়ে আসুন। কাজ করার স্থান থেকে শুরু করে যেকোন কিছুতেই আনতে পারেন পরিবর্তন। এতে যেমন স্বাভাবিক কাজ-কর্ম আনন্দদায়ক হয়ে উঠবে, তেমনি কাজের মাধ্যমে ব্যক্তিত্বও প্রকাশ পাবে।
১০. অলসতা শুধু যে কাজেই বাধা দেয় তা কিন্তু নয়; অলসতা থেকে মন খারাপ, বিষন্নতা ও নানা ধরনের মানসিক অস্থিরতার শুরু হতে পারে। তাই অলসতাকে না বলুন। পরিশ্রমী ও কর্মোদ্যমী হয়ে ওঠুন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
এবার বাংলাদেশেও ভাঙল প্রচলিত নিয়ম, যাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে বরের বাড়িতে কনে!
এবার বাংলাদেশেও ভাঙল প্রচলিত নিয়ম, যাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে বরেরবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ায় উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের সাথে পুষ্টি বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠক
কলারোয়ায় উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের সাথে পুষ্টি বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিতবিস্তারিত পড়ুন
ভালোবাসার সুড়ঙ্গ রহস্য (ভিডিও)
প্রকৃতি অপার রহস্যের ভান্ডার। তাই সে মাঝে মাঝেই আমাদের চমকেবিস্তারিত পড়ুন