আরো খবর....
জলাবদ্ধ ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার! গাফিলতিতে শালতা খনন বিলম্বিত
বহু প্রত্যাশিত শালতা নদী খননে শেষ মূহুর্তে জনপদের সাধারণ মানুষের আশার মাঝে নিরাশা দেখা দিয়েছে। একাধিক প্যাকেজ প্রকল্পে বাস্তবায়নাধীন খনন কাজে ঠিকাদারদের প্রকল্প সীমানা নিয়ে রশি টানাটানি,মতদ্বন্দ্ব,অবৈধ দখলদারদের দৌরাতœ থেকে শুরু করে নানা প্রতিকূলতায় গত ৩ মাস ধরে প্রায় আধা কি:মি: এলাকায় খননকাজ বন্ধ রয়েছে। এতে করে চলতি বর্ষা মৌসুমে বিস্তীর্ণ এলাকার পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে এলাকায় কৃত্রিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক এলাকার ফসলের ক্ষেত,মাছের ঘের ও নিন্মাঞ্চলের বসত-বাড়ি তলিয়ে জনদূর্ভোগ চরমে পৌছেছে।
সমস্যা সমাধানে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। শতাধিক স্বাক্ষরিত ঐ আবেদনে বলা হয়েছে,উপজেলার ১২ নং খলিলনগর এলাকার বিস্তীর্ণ জনপদের পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম সোনামুখী কালভার্টের মুখে সালতার খনন কাজ বন্ধ থাকায় ঐ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে তারা তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে বিষয়টিকে পুঁজি করে একটি সুযোগ সন্ধানী মহল কতিপয় এলাকাবাসীকে ভূল বুঝিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জলাবদ্ধতার জন্য স্থানীয় কতিপয় লোকদের বিরুদ্ধে নদী দখল করে সেখানে মাছ চাষকে দায়ী করেছেন।
সম্মেলনে হাজরাকাটির বাসিন্দা ওয়াদুদ সানা, মোসলেম উদ্দিন শেখ, রবিউল ইসলাম, জিয়াউর রহমান ও রেজাউল শেখ বলেন, তাদের পাঁচটি গ্রাম হাজরাকাটি,মহান্দি,নুরুল্লাহপুর,বারইহাটি ও নলতায় প্রায় ৬ হাজার মানুষের বসবাস এবং ঐ এলাকায় তাদের প্রায় দু’ হাজার বিঘারও বেশি ফসলি জমি রয়েছে। কৃত্রিম জলাবদ্ধতায় তাদের সেসব ফসল মার যেতে বসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন,বিস্তীর্ণ এলাকার পানি সোনামুখী গেট দিয়ে নিষ্কাশিত হয়ে শালতা নদীতে গিয়ে পড়ে। তবে তবে নদী খননে গেটের মুখ উঁচু হওয়ার পাশাপাশি নদীর মাঝ বরাবর বাঁধ দিয়ে মাছের চাষকে দায়ী করলেও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। মূলত নদী খননের আগে স্থানীয়রা অরক্ষিত নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করত। তবে সর্বশেষ নদী খননে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেলে দখলদাররা যার যার মত ঐ এলাকার মাছ সেচ দিয়ে অথবা জাল দিয়ে উঠিয়ে নেয়।
মূলত ৯ টি প্যাকেজে ৭টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দু’টি নদী খনন কাজ করছিল। সর্বশেষ তারা (ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান) নদীর সীমানা নিয়ে জটিলতা তৈরী করায় নিজেদের মধ্যে মতদ্বন্দ্ব তৈরী হলে এরই মধ্যে বৃষ্টির বাঁধা নেমে আসে।
এব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বলছেন,মাটি নরম থাকায় তাদের খননকাজে ব্যবহৃত স্কেভেটরগুলি কাজ করতে না পারায় মূলত তারা কাজ করতে পারছেননা। অচিরেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেও দাবি তাদের।
এব্যাপারে অভিযুক্ত পরিমল ও বিধান এ প্রতিনিধিকে জানান,তারা যে ক’জন নদীর মধ্যে মাছ চাষ করেছিলেন তারা প্রায় ৪ মাস আগে সে মাছ উঠিয়ে নিয়েছেন। পানিবদ্ধতার বিষয়টিকে ইস্যু করে স্থানীয় একটি সুযোগ সন্ধানী চক্র তাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। তারাও চাচ্ছেন,নদী খননপূর্বক এলাকাবাসীকে জলাবদ্ধতার হাত থেকে এলাকাবাসীকে পরিত্রাণ দিতে।
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে জেঠুয়া প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা
দুর্নীতি,অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তালার ৫৫ নং জেঠুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনন্দ মোহন দাশ এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। সরকারী কর্মচারী (শৃংখলা ও আপীল) বিধিমালা,২০১৮ এর অধীনে মামলাটি হয়েছে।
এর আগে আনন্দ মোহন দাশের বিরুদ্ধে আনিত অর্থ আতœসাৎ ও দূর্নীতি বিষয়ে অভিযোগ বিভাগীয় কমিশনার,জেলা প্রশাসক ও তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দাখিল হয়। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এতে অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করেন।
প্রতিবেদনের বরাদ দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা,খুলনা বিভাগ,খুলনার বিভাগীয় উপ-পরিচালক মেহেরুন-নেছা স্বাক্ষরিত অভিযোগ নামা যার স্মারক নং:বিপ্রাশিকা/খুখিু/হি:খ:/৯৭-৫(বি:মামলা-সাত)/২০১৫/ জানানো হয়েছে যে, প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে এসএমসি গঠনে নমিনেশন ফরম বিক্রির ১২ হাজার টাকা,এসএমসি কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া স্লিপ প্রকল্পের ৪০ হাজার টাকা ইচ্ছামত খরচ,প্রকল্পের ক্রয়কৃত দ্রব্যের ভাউচার এবং সামাজিক মূল্যায়ন কমিটি কতৃক অনুমোদিত রেজুলেশন দেখাতে পারেননি। প্রাক প্রাথমিকের ৫ হাজার টাকায় সংশ্লিষ্ট কক্ষটি সঠিকভাবে সজ্জিত করেননি এবং পর্যাপ্ত উপকরণও ক্রয় করেননি। এছাড়া মালিকানাধীন পুকুরের লিজ ও ফলজ গাছ হতে আয়-ব্যয়ের কোন হিসাব দেখাতে পারেননি,সময়মত স্কুলে আগমন করেননা। বিষয়টি বিদ্যালয়ের পরিদর্শন বহিতে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মন্তব্যে তা প্রতীয়মান হয়। সর্বশেষ প্রধান শিক্ষক আনন্দ মোহন দাশের র্কাকলাপ সরকারী কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৩ (খ) ধারা মোতাবেক দূর্নীতি ও অসদাচরনের সামিল। যেহেতু তাকে সরকারী কর্মচারী (শৃংখলা ও আপীল) বিধিমালা,২০০৮ এর ৩ (খ) ও (ঘ) ধারা মোতাবেক দূর্নীতি ও অসদাচরন এর অভিযোগে অভিযুক্ত কওে একই বিধিমালার ৪ (ঘ) ধারা মোতাবেক কেন তাকে চাকুরী হতে বরখাস্ত অথবা একই বিধিমালার অধিনে অন্য কোন যথোপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হবেনা তা পত্র প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তওে দাখিল করতে হবে।
স্মারক নং-বিপ্রাশিকা/খুবিখু/হি:খ:/৯৭-৫/(বি:মামলা-সাত)/১৫/১৬৯৬/৪,তারিখ ৮ আগস্ট প্রেরিত অভিযোগনামার অনুলিপি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ইপ-পরিচালক,জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস,উপজেলা শিক্ষা অফিসার,সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার(সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টার) প্রেরিত হয়েছে।
এদিকে আনন্দ মোহন দাশ’র বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার অভিযোগ সম্পর্কে তার প্রতিক্রিয়া জানতে উপজেলার সংশ্লিষ্ট স্কুলে গেলে তাকে স্কুলে পাওয়া যায়নি। এসময় তার সহকর্মীরা জানান,তিনি ছুটিতে রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হতে তালা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) নম্র কুমার মন্ডলের নিকট জানতে চাইলে তিনি প্রথমত জানেননা বললেও পরে মৌখিক ছুটি নিয়েছেন বলে জানান।
সংশ্লিষ্ট সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়,খবর পেয়ে চাকুরী বাঁচাতে আনন্দ মোহন বিভিন্ন মহলে ব্যাপক দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছেন। যার সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার সকালে স্কুল না গিয়ে সারা দিন লবিংয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করেন।
এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান আনন্দ মোহন দাশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন,বিভাগীয় তদন্তে বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
তালায় ইউএনও’র প্রেরণায় গার্লস হাইস্কুলে ডেইলি স্টার কর্নার চালু
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও’র অনুপ্রেরণায় শহীদ আলী আহম্মেদ বালিকাবিস্তারিত পড়ুন