মণিরামপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় ছয় মাসে ১৩ জন নিহত, আহত অর্ধশতাধিক
যশোরের মণিরামপুরে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে সড়ক দূর্ঘটনা, দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল। গত চার মাসে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় অন্তত: ১০ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি।
জানা যায়, গত ৮ জানুয়ারী উপজেলার স্বরণপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে ফজর আলী নামের এক মোটর সাইকেল চালক উপজেলার রোহিতা থেকে মণিরামপুর বাজারে আসার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়।
১৬ জানুয়ারী বিপ্রকোনা গ্রামের মোমিনুর রহমানের স্ত্রী পপি খাতুন নামের এক গৃহবধূ নেহালপুর বাজার হতে বাড়ী ফেরার পথে ইজি বাইকের ধাক্কা খেয়ে মারা যান।
৩ ফেব্রুয়ারী জয়পুর গ্রামের ইন্তাজ সরদারের ছেলে পুলিশের এএসআই জাকির হোসেন দিপু বাড়ী থেকে মণিরামপুর বাজারে আসার পথে ট্রাক চাপায় নিহত হন।
১০ ফেব্রুয়ারী যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ের কানাইতলা মোড় নামক স্থানে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে উপজেলার হাজরাইল গ্রামের কলেজ পড়–য়া ছাত্র প্লাবন মন্ডল ও দেবপ্রসাদ বিশ্বাস নিহত হন।
১৬ ফেব্রুয়ারী উপজেলার যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের খইতলা নামকস্থানে বালু ভর্তি ট্রাক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ট্রাকের চালক রেজাউল ইসলাম নিহত হন।
৭ এপ্রিল উপজেলার যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের আগরহাটি খালেকের ইটভাটা মোড় নামকস্থানে আনন্দ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস একটি আলমসাধুকে ধাক্কা দিলে উপজেলার লাউড়ী গ্রামের আজগার মোড়লের ছেলে আনসার আলী গুরুত্বর আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
একই দিনে উপজেলার যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের আটমাইল মোড় নামক স্থানে ট্রাক চাপায় নিহত হন কেশবপুর উপজেলার দেউলিয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে টিপু সুলতান।
২৩ এপ্রিল উপজেলার সরসকাটি গ্রামের শাহ আলমের ছেলে আশরাফুল ইসলাম রিফাত নামের এক স্কুল ছাত্র সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়।
৫ মে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের চালকিডাঙ্গা নামকস্থানে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হন তাপস কুন্ডু ও কায়েদী আজম।
৭ জুন উপজেলার মধুপুর গ্রামের হাদিউজ্জামানের ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী মোমিনুর রহমান সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুত্বর আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুলনা এ্যাপোলো হাসপাতালে মারা যায়।
৯ জুন শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের মোলাম মিয়ার বটতলা নামক স্থানে যাত্রীবাহী বাস চাপায় ঘটনাস্থলে নিহত হন যশোর এমএম কলেজের ইংরেজী সম্মান শ্রেণীর ১ম বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী ও মণিরামপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুকুল হোসেনের মেয়ে তানজিম সুলতানা কুমু।
ফলে প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে সড়ক দূর্ঘটনা, দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল।
সিটি প্লাজার চেয়ারম্যান ও সমাজসেবক এস এম ইয়াকুব আলী বলেন- পথ যেন হয় শান্তির, মৃত্যুর নয়। একটি দূর্ঘটনা একটি পরিবারের জন্য সারাজীবনের কান্না, আর যেন কাউকে এমন ভাবে নির্মম দূর্ঘটনার শিকার হতে না হয়। এ জন্য আমাদের সকলকে সোচ্চার হতে হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন