আশাশুনিতে জমি জবরদখল হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
আশাশুনিতে প্রভাব খাটিয়ে নি:সন্তান চাচার জমি জবরদখল, রোহিঙ্গাদের মতো ঘরবাড়ি দিয়ে বাপ দাদার ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করে দেশ ছাড়া করার হুমকি দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলার গোকুলনগর গ্রামের মোহাম্মদ আলী গাজীর ছেলে মফিজুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে উক্ত অভিযোগ করে সোমবার আশাশুনি প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তাদেরই চাচাতো ভাই গোকুলনগর গ্রামের মৃত বক্স গাজীর ছেলে জয় বাংলা’৭১ লীগের খুলনা জেলার লবনচোরা থানা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক আল মামুন।
লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদেও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আশাশুনি উপজেলার গোকুলনগর গ্রামের মফিজুল ইসলাম ওরফে পলাশ মাহমুদ ও তার ভাই বিএনপি নেতা সুন্দরবনের বনদস্যু শরিফুল ইসলামের নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রে জর্জরিত হচ্ছেন তারা। তার চাচাতো ভাই মফিজুলের জন্মস্থান একই গ্রামে হলেও তারা পরবর্তীতে খুলনার কয়রা উপজেলা সদরের বাসিন্দা। বর্তমানে সে ঢাকার আব্দুল্লাহপুরে থাকে। কয়রার কালনা মাদ্রাসা থেকে দাখিল, কপোতাক্ষ কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে মফিজুল। ২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করাকালীন পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ভিসির সঙ্গে বিরোধ বাঁধলে মফিজুলের নেতৃত্বে ছাত্রশিবির সেখানে তান্ডব চালায়। ভিসিকে না পেয়ে তার স্ত্রীকে মারপিট করে মফিজুল। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়েরকৃত মামলায় মফিজকে দেখা মাত্র গুলি করার নির্দেশ দেয় পুলিশ। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছেড়ে আত্মগোপন করে মফিজুল। রাজনৈতিক পালাবদলের সাথে সাথে জাতীয় পরিচয় পত্রে মফিজুল ইসলাম (নং-১৯৮৮৪৭১৫৩৫৫৭৪৯৮১৩) নাম থাকলেও অনিয়ম ও দুর্ণীতির মাধ্যমে জন্মনিবন্ধন (নং-১৯৮৮৪৭১৫৩৫৫১০০৬৫৯) তৈরি করে ভোল পাল্টাতে পলাশ মাহমুদ (ভোটার নং-৪৭১৪০১৭৪৯৮১) নাম ধারণ করেছে। তার বিরুদ্ধে লগি বৈঠা আন্দোলনের সময় খুলনা ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ছাত্র শিবিরের পক্ষে তান্ডব চালানোর অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া কালিগঞ্জ থানায় ১৯৯৫ সালে অস্ত্র মামলা, ১৯৯৮ সালে খুলনা সদর থানায় চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলা, তাদের জমি জবরদখল করতে গেলে স্বশস্ত্র হামলা করায় ২০১৭ সালে আশাশুনি থানায় ২০১৭ ও ২০১৯ সালে পৃথক দু’টি হত্যা চেষ্টা মামলা ও ২০০৪ সালে হ্যাচারি ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলা (১৫/০৪) হয়। একইভাবে তার (মফিজুল) ভাই ১৯৯০ সাল থেকে প্রতাপনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেব দায়িত্ব পালনকারি শরিফুলের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র বিক্রির অভিযোগ ছাড়াও এলাকার চিংড়ি ঘের দখল, চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। চার চারটি বিবাহের নাটের গুরু শরিফুল ও তার সন্ত্রাসী ভাই মফিজুল প্রভাব খাটিয়ে নিঃসন্তান চাচা কছিম উদ্দিন গাজীর আট বিঘা জমির অর্ধেক দাবিদার হলেও গায়ের জোরে সবটুকু দখলে নিতে নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে তারা তাদেরকে (ফারুকদেরকে) রোহিঙ্গাদের মত ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে বাপ দাদার ভিটা থেকে উচ্ছেদ করে দেশ ছাড়া করার হুমকি দিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় (১৫৬৪/১৯ নং) জিডি করা হয়েছে এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৪১৬/১৯ ও ২৬৩/১৯ নং দু’টি মামলা করা হয়েছে। তবুও মফিজুল ও শরিফুলকে এহেন চক্রান্তমূলক কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখা যাচ্ছে না।
তাই অর্ধ ডজন মামলার আসামী নাম পাল্টে পলাশ মাহমুদ সাজা সন্ত্রাসী মফিজুল ও শরিফুলের অত্যাচারের হাত থেকে থেকে রক্ষা পেতে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন ফারুক আল মামুন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
আশাশুনিতে পূর্বের বিয়ের তথ্য গোপন করে আবারো অন্যত্র বিয়ে দেয়ার অভিযোগ!
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে পূর্ববর্তী বিয়ের তথ্য গোপন করে অধিক লাভ ওবিস্তারিত পড়ুন