কেশবপুরে কক্ষ সংকটে বারান্দায় চলছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পাঠদান!
যশোরের কেশবপুর উপজেলার জাহানপুর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নানাবিধ সংকটে এর পঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ওই বিদ্যালয়ে ডিজিটিাল হাজিরা ও সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা রয়েছে। অথচ নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক, শ্রেণী কক্ষ, সুপেয় পানি, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, বাথরুমসহ খেলার মাঠ। কক্ষ সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে চলছে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে বার বার উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হলেও অদ্যাবধি কোন সাহায্য মেলেনি।
সরেজমিন মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ৪৫ শতাংশ জমির ওপর জাহানপুর উত্তর (রেজিঃ) প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। আশপাশে আর কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিদ্যালয়টি সুনামের সাথে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে। শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ১৫৫ জন শিক্ষার্থীর সার্বিক সেবায় বিদ্যালয়টিতে ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্যে ৬টি শ্রেণী কক্ষের প্রয়োজন থাকলেও ২০০০ সালে ৩ রুম বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়। ফলে কক্ষ সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে শিক্ষকদের একই কক্ষে দু‘টি শ্রেণীর পাঠদান করাতে হয়। বর্তমান সরকারের সদিচ্ছায় ২০১৩ সালে জাতীয়করণ করা হলেও প্রতিষ্ঠানটি সবদিক দিয়ে অবহেলিত।
পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রোকাইয়া খাতুন, সাকিবুল হাসান জানায়, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তাদের প্রতিষ্ঠানে যাওয়া আসার জন্যে কোন পাকা রাস্তা নেই। প্রায় ১ কিলোমিটার কাদা ভেঙে তাদের বিদ্যালয়ে আসতে হয়। নেই খাবার পানির ব্যবস্থা। তাদের ব্যবহারের জন্যে নেই কোন ল্যাট্রিন। ছোট ছোট শ্রেণী কক্ষ। এরপরও একই ক্লাসে চলে দুটি শ্রেণীর পাঠদান। এতে তাদের লেখাপড়া চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রোকেয়া খাতুন বলেন, বিদ্যালয়টি বর্তমান নানাবিধ সংকটে রয়েছে। এর একটি মাত্র বাথরুম সচল রয়েছে। প্রতিদিন এক কিলোমিটার দূর থেকে সুপেয় পানি আনতে হয়। ২০০৭ সালে গভীর নলকুপ বসানো হলেও তা দিয়ে বর্তমান পানি ওঠে না। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য ৬টি কক্ষের প্রয়োজন থাকলেও আছে মাত্র ৩টি। সংস্কারের অভাবে একমাত্র খেলার মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক বলেন, প্রতিষ্ঠানটি সরকারিকরণ করা হলেও তারা সবদিক দিয়ে অবহেলিত। শিক্ষক সংকটের পাশাপাশি তার বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরীর পদটি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। কক্ষ সংকটের কারণে ইতোপূর্বে খোলা আকাশের নিচে চলতো শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বর্তমান বর্ষাকাল শুরু হওয়ায় বারান্দায় চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের একাধিক দপ্তরে আবেদন করেও কোন ফল হয়নি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকবর আলী বলেন, ওই বিদ্যালয়ের সমস্যার কথা ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জনানো হয়েছে। সরকারি অনুদান ছাড়া এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন