শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জে ভিজিডি কার্ডের চাউল আত্মসাতের অভিযোগ
শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম কর্তৃক ভিজিডি কার্ডের চাউল আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তালিকায় নাম থাকলেও বঞ্চিত হয়েছেন অভিযোগকারীরা।
এ ব্যাপারে খাদিজা, জবেদা সালমা বেগম সহ একাধিক সুবিধা বঞ্চিতরা শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করে কোন ফল না পেয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দারস্ত হয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে ও প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়- ভিজিডি চক্র ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে মুন্সিগঞ্জ ইউপি সচিব, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (ইউএনও এর প্রতিনিধি) চেয়ারম্যান আকুল কাশেম মোড়ল, ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত ৪০১জনের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়। সে মোতাবেক ১৬/০৪/১৯ তারিখে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভিজিডির চাউল বিতরণ করা হয়। কিন্তু তালিকায় নাম থাকার স্বত্বেও প্রায় ৪০ জনের মধ্যে অসহায় দরিদ্র পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাউল বিতরণ না করে সমস্ত চাউল আত্মসাত করেছেন।
ভুক্তভোগি খাদিজা, আনছার আলী প্রেসক্লাবে সাংবাদিককের নিকট এ অভিযোগ করেন।
আনছার আলী আরও জানান- চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোড়ল একজন বিএনপির লিডার। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান হয়েছেন। আমরা যারা গরিব অসহায় আওয়ামীলীগকে সমর্থন করি তাদের কোন কার্ড না দিয়ে যারা জামাত- শিরিবের ক্যাডার, নাশকতা মামলার আসামী তাদেরকে উক্ত কার্ড প্রদান করেছেন। বর্তমানে তিনি আ’লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে আ’লীগের সর্বনাশ করে যাচ্ছেন। এমনকি সরকারি নীতিমালা অনুসারে পুরাতন কার্ডধারী কেহ নতুন কোন কার্ড পাবেন না কিন্তু ২৭৯নং ক্রমিকে নাজমা পারভীন অবিবাহিত হলে তার নামে নতুন কার্ড দিয়েছে কারণ তার মায়ের নামে ইতিপূর্বে কার্ড ছিল। এখানে চেয়ারম্যান সুচাতরিকতা করেছেন। ২৯২ ও ২৯৫নং ক্রমিক যথাক্রমে মাজিদা ও ময়না বেগমও পুরাতন কার্ডধারী। ৩১২ক্রমিকে রোকেয়া খাতুন একজন ধনী ব্যক্তি। ৩১৫নং ক্রমিকব আরবী বিবি ১২ বিঘা জমির মালিক। ৩১৭নং ক্রমিকে জাহানারা বেগম এর ২তলা বাড়ী কাজ চলমান। এছাড়াও অনেক বিভিন্ন ভাতাভোগিরাও এ সুবিধা পাচ্ছেন। এলজিএসপি ১% টিআর এডিপি বরাদ্দ কাজ না করে টাকা হাওয়া করে দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন। আর সকল অভিযোগ লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর পর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
তারা বলেন- রাতারাতি হয়ত আমাদের নাম পরিবর্তন করে নতুন তালিকা প্রকাশ করেন উনারা। তাই ন্যায্য বিচারের আশায় জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগিরা। জেলা প্রশাসক মহোদয় ‘‘গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করুন’’ মর্মে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় নির্দেশ প্রদান করেছেন।
এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান মুঠফোনে জানান- আমি কোন অভিযোগ পাই নাই। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপী গ্রেফতার ১৩, ইয়াবা-ফেন্সিডিল-গাঁজা উদ্ধার
সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে মাদক মামলারবিস্তারিত পড়ুন