রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

শার্শায় টার্কি মুরগী পালন করে বেকারত্ব ঘুচল রাজুর

যশোরের শার্শায় পারিবারিক ও বাণিজ্যিক ভাবে টার্কি মুরগী পালন শুরু হয়েছে। অনেকের মতে বেকারত্ব নিরসনে নতুন দিক উন্মোচন করেছে এসব পালন। তাদেরই একজন শার্শার সম্বন্ধকাঠি গ্রামের যুবক রাজু হোসেন।

তিনি জানান, লেখাপড়া শেষ করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরিচ্যুত হয়ে টার্কি মুরগী পালন শুরু করেন। একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর বিক্রি করা হচ্ছে এগুলো। ১-১০ দিনের বাচ্চা ৩০০ টাকা ও বড়গুলো ৫-৬ হাজার টাকা জোড়া বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খাবারের খরচও কম। বাড়তি খাবার বাজার থেকে কিনতে হয় না। প্রকৃতিতে এদের খাবার পাওয়া যায়। কলমি, হেলেঞ্চা, সরিষা, পালংসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি বেশি পছন্দ করে এ জাতের মুরগি। রোগ-বালাইয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে আড়াই মাস বয়সী টার্কিকে চারটি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।

রাজু বলেন, প্রথমে ১৫০ টাকা দরে ৬০০ ডিম কিনি। ওই ডিমের বাচ্চা ফোটানোর জন্য দেড় লাখ টাকা দিয়ে ইনকিউবেটর কিনে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো শুরু করি। অল্প কিছু টাকা বিনিয়োগ করে এক বছরের মধ্যেই দ্বিগুণ মুনাফা পান টার্কি খামারিরা। নতুন জন্ম নেওয়া বাচ্চা লালন-পালন করে মাত্র তিন মাসের মাথায় দ্বিগুণের চেয়েও বেশি দামে বিক্রি করে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন খামারিরা।

রাজুর দেখাদেখি আরো অনেকে ছোট ছোট খামার গড়ে তুলছেন। রাজুর খামার থেকে মুরগির বাচ্চা কিনে ঝিকরগাছার মাঠুয়াপাড়ার কামরুল ইসলাম, শিমুলিয়ার মনিরুজ্জামান বিল্লাল ও কামারপাড়ার আবু সাইদ তিন বন্ধু তিনটি খামার গড়ে তুলেছেন।

কামরুল বলেন, ‘টার্কি তৃণভোজী প্রাণী হওয়ায় এরা লতাপাতা ও ঘাস খায়। এদের রোগ-বালাইও কম। নতুন খামার তৈরি করেছি, টার্কির সংখ্যা বাড়াতে পারলে বেশি লাভ হতো কিন্তু অর্থসংকটে এগোতে পারছি না। সরকারি সহযোগিতা পেলে খামারটি বড় করা সম্ভব হতো।’

মনিরুজ্জামান বিল্লাল বলেন, ‘রাজুর খামার থেকে ৩৬ দিনের ৩৮টি টার্কির বাচ্চা কিনে প্রথম খামার শুরু করি। দুই মাসের প্রতিটি বাচ্চার ওজন এখন আড়াই কেজি হয়েছে। ওদের জন্য দুই কাঠা জমিতে ঘাস লাগিয়েছি।’
টার্কি মুরগি কলমিশাক, বাঁধাকপি, ভুট্টা, চাল, ভাতসহ অন্যান্য খাবার খায়। তবে দানাদার খাবারের চেয়ে কলমিশাক ও বাঁধাকপিই বেশি পছন্দ। রোগ-বালাইও কম। গরু, খাসি ও দেশি হাঁস-মুরগির চেয়ে এই টার্কির মাংসের স্বাদ বেশি ও চর্বির পরিমাণ কম।

শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জয়দেব কুমার সিংহ জানান, রাজু ও সজীবসহ অন্যান্য খামারিরা খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদা পূরণ হচ্ছে। আর এই পুষ্টির উৎস হিসেবে টার্কির গুরুত্ব মুরগি ও হাঁসের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। দ্রুত বর্ধনশীল একটি টার্কি বছরে ১২ থেকে ১৫ কেজি ওজন হওয়ায় এটি অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় টার্কির খামারের প্রতি আরো অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন

বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা

বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন

ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত

যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন

  • কেশবপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মিনা দিবস পালিত
  • কেশবপুরে মটরসাইকেলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
  • কেশবপুরে তৃণমূল সাংবাদিক দলের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা
  • কেশবপুরে জয় সাহাকে পুনরায় ক্রীড়া সংস্থার সা.সম্পাদক করার দাবী
  • ঝিকরগাছার বাঁকড়ায় আ.লীগের বর্ধিত সভা
  • শার্শার হাড়িখালি আমবাগান থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
  • কেশবপুরে ভ্রাম্যমান আদালতে দুই মহিলা চোরকে কারাদন্ড
  • কেশবপুর উপজেলা দলিত পরিষদের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত
  • কেশবপুরের ভাল্যুকঘর মাদরারাস নিয়ে এক প্রভাষক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত!
  • মারধর করায় বাচ্চা কোলে নিয়ে কেশবপুরে থানায় হনুমানের দল
  • বেনাপোল দিয়ে ইলিশমাছ ভারতে পাচারের সময় গ্রেফতার-২
  • বেনাপোল পোর্ট থানার ওসিকে পত্রিকা প্রতিনিধিদের ফুলেল শুভেচ্ছা