তালার ধানদিয়ায় স্কুলের সামনে শুটকি পল্লীর দুর্গন্ধে দূর্ভোগ চরমে
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ১নং ধানদিয়া ইউনিয়নের কপোতাক্ষ নদীর তীরবর্তী শানতলা গ্রাম একটি জনবসতিপূর্ণ এলাকা। এ এলাকায় ঐতিহ্যবাহি এনায়েতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দীর্ঘদিন থেকে শুটকি পল্লী গড়ে তুলেছেন রুবেল হোসেন (২৬) এক ব্যক্তি। তিনি শানতলা গ্রামের হাফিজুল ইসলামের ছেলে। আর এ শুটকী পল্লীর দূর্গেন্ধ বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীর লেখাপড়া ও শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহতসহ এলাকার বসবাসকারী লোকজন চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
এলাকাবাসি জানান, ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনসহ স্থানীয় ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের সাথে হাত মিলিয়ে রুবেল হোসেন প্রচালিত আইনকে বৃদ্ধাঙুলী দেখিয়ে প্রতিদিন পচা পোনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধ্বংস করে, প্রকাশ্যে শুটকি তৈরি করে বাতাসে পচা গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট করার মত অপরাধ করে যাচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এ শুটকি পল্ল¬ী। এতে করে এলাকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এমনকি শুটকি মাছের পচা গন্ধে প্রতিনিয়ত বাড়ছে নানান রোগবালাই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এনায়েতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাত্র ১০ হাত দুরে দক্ষিণে অবস্থিত শুটকি মাছের পল্লীটি। ছোট ছোট কোমলমতী শিক্ষার্থীরা জানান, শুটকি মাছের পচা দুর্গন্ধে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে থাকতেও তাদের খুব কষ্ট হয়, এমনকি তারা বিদ্যালয়ের মাঠে খেলতেও পারে না দুর্গন্ধের কারণে। পচা মাছের দুর্গন্ধে ছোট ছোট কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রায় সময়ে মাথা ঘুরায়, বমি করা ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
স্থানীয় জনসাধারণের কাছ থেকে জানা যায়, শুটকি পল্লীর পাশের রাস্তা দিয়ে বেশ কয়েকটি গ্রামের শিক্ষার্থী ও জনসাধারণ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তাছাড়া তাদের ওই এলাকায় বসবাস করা দুরুহ হয়ে পড়েছে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাপস মুখার্জী জানায়, এই শুটকী পল্লীর মালিককে কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। তারপরেও কেউ যদি এ বিষয়ে কোন প্রতিবাদ করে তাহলে তাকে জীবন নাশের হুমকি দেয়। এমনকি তারা সরকারী দলের লোক বলে দাবী করে।
তিনি আরো বলেন, শুটকি পল্লীর কারণে তার স্কুলের পাঠদানসহ শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষা অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিলেও কোন ফল পাওয়া যায়নি।
শুটকি পল্লীর মালিক রুবেল হোসেন বলেন, আমি সব কিছু ম্যানেজ করেই শুটকি পল্লী চালাই, শুটকি পল্লীর অনুমোদন আছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স এনে এ কাজ করি।
ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এখানে শুটকি পল্লীটি অনেক দিন ধরে চলছে। তবে এ ব্যবসা সম্পর্কে পরিষদ থেকে কোন প্রকার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
তাই ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুটকি পল্লীটি উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের কাছে জোর দাবী জানান এলাকাবাসী ও কোমলমতী শিক্ষার্থীরা।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
তালায় ইউএনও’র প্রেরণায় গার্লস হাইস্কুলে ডেইলি স্টার কর্নার চালু
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও’র অনুপ্রেরণায় শহীদ আলী আহম্মেদ বালিকাবিস্তারিত পড়ুন