গরুদের পরিচয়পত্র দিতে চায় ভারত সরকার!
মানুষের মতো এবার গরুদের জন্যও পরিচয়পত্র (ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা ইউআইডি) চালু করার কথা ভাবছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। আজ এই খবর জানিয়েছে দেশটির সংবাদ সংস্থা এএনআই।
সূত্রের বরাত দিতে এএনআই জানিয়েছে, দেশটির সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে একটি প্রস্তাবের খসড়া জমা দিয়েছে কেন্দ্র। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নজরদারির সুবিধার কারণেই দেশজুড়ে গরু ও তাদের বংশধরদের জন্য একটি ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর দেওয়া উচিত। একইসঙ্গে গাইদের (দুগ্ধ গরু) ক্ষেত্রে অতিরিক্ত যত্ন অবলম্বন করা উচিত বলেও সুপারিশ করেছে কেন্দ্র সরকার। এলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান সচিবের নেতৃত্বাধীন একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির তরফেই দেশটির শীর্ষ আদালতে এই সুপারিশ করা হয়। শীর্ষ আদালতের কাছে জমা দেওয়া রিপোর্টে গরুর সুরক্ষা ও বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের বিষয়টিও যথেষ্ট উদ্বেগের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, মালিক বিহীন (বেওয়ারিশ) গরুকে বাঁচানোর ভার নিতে হবে রাজ্য সরকারগুলিকে। এর জন্য প্রতিটি জেলায় ৫০০ টি গরু রাখার মতো আশ্রয়স্থল তৈরি করতে হবে। আর গরুকে সুরক্ষিত রাখতে রাজ্য সরকারগুলিকেই খরচ বহন করতে হবে।
কমিটির তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, দুধের গাইকে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। একইসঙ্গে দুধ দেওয়ার বয়স পার হয়ে যাওয়ার পর সেই গাই এবং বয়স্ক গরুকে যাতে বিক্রি না করে নিজেদের কাছে রেখে দেন-এর জন্য কৃষকদের স্বার্থে একাধিক প্রকল্প আনার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে সেখানে। এখানেই থেমে থাকছে না। গরু পাচার সম্পর্কিত কোন তথ্য বা ঘটনা নজরে আসলেই দ্রুততার সঙ্গে তা জানাতে খোলা হচ্ছে হেল্পলাইন।
সূত্রে খবর দেশীয় ও দোআঁশরা (ক্রসড) মিলে ভারতের মোট গরু ও মোষের সংখ্যা প্রায় ৮৮ মিলিয়ন ( ৮.৮০ কোটি)। আর প্রতিটি গরুকেই ১২ সংখ্যার ইউআইডি নম্বর দেওয়া হবে। বয়স, জাতি, লিঙ্গ, অবস্থান, উচ্চতা, শরীর, রং, শিং, লেজ এবং প্রাণির শরীরে কোন বিশেষ চিহ্ন আছে কি না-তার সম্পূর্ণ বিবরণ উল্লেখিত থাকবে ইউআইডি-তে। এর ফলে গরুগুলির অবস্থান, গতিবিধি, বংশবৃৃদ্ধি সম্পর্কিত সব তথ্যই সরকারের আয়ত্তে থাকবে।
সূত্রে খবর প্রতিটি গরুকে চিহ্নিতকরণ করে তাদের কানে একটি করে হলুদ রঙের ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হবে। ওই ট্যাগেই লেখা থাকবে তার ইউআইডি নম্বরটিও। একাজের জন্য প্রায় এক লাখ ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা তাদের ট্যাবলেটের মাধ্যমে তার সঙ্গে সঙ্গেই অনলাইনের মাধ্যমে তা আপডেট করে দেবেন। পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ করতে প্রায় ১৫০ কোটি ভারতীয় রুপির মতো খরচ ধার্য করা হয়েছে। ২০১৭ সালের মধ্যেই প্রতিটি রাজ্যকেই এই কাজ শেষ করার কথা বলা হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
পাকিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৯ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে ১৯বিস্তারিত পড়ুন
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হিক্কা
ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিক্কা। এর ফলে ঝড়ের পাশাপাশি ভারীবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন