রবিবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

১১তম সংসদ নির্বাচন : সাতক্ষীরা-১

সাধারণ মানুষের চোখে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সরদার মুজিব

আগামি ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০৫ সাতক্ষীরা-১ (কলারোয়া ও তালা) আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীর প্রথম সারিতেই আছেন সরদার মুজিব। সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সরদার মুজিব একাধারে বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ.সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু সেনা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শিক্ষাজীবনে সরদার মুজিব উপজেলা ছাত্রলীগেরও নেতৃত্বে ছিলেন। বর্তমানে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ চোখে পড়ে।

কলারোয়ার এ সন্তান উপজেলার প্রান্তিক কর্মী-সমর্থকদের কাছে যেমন সাহসী হিসেবে পরিচিত ঠিক তেমনি দলের দূ:সময়ে ছিলেন বলিষ্ঠ কান্ডারি।

উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের নাকিলা গ্রামের মৃত চাঁদ আলী সরদার ও মৃত জুলেখা খাতুনের ৪র্থ সন্তান এসএম মুজিবর রহমান, যিনি রাজনীতিতে ও স্থানীয়দের কাছে সরদার মুজিব নামেই পরিচিত। সেনাবাহিনীর সাবেক এই নন-কমিশন্ড অফিসার বর্তমানে ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতির মাঠে থেকে জনকল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেছেন।

সরদার মুজিবের পিতা মৃত চাঁদ আলী সরদার ছিলেন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ৮নং কেরালকাতা ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও স্থানীয় আ.লীগ নেতা।

সরদার মুজিবের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা:
বিগত ২০১৪সালের ৫জানুয়ারী ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হরিণ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি সাতক্ষীরা-১ আসনে ২৯ হাজার ৬’শ ১৩ মতো ভোট পান।
এছাড়া কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি পদেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সরদার মুজিব।

সরদার মুজিব সম্পর্কে স্থানীয় আ.লীগ কর্মী-সমর্থকদের মতামত ও ধারণা:
সাতক্ষীরা-১ আসনটি কলারোয়া উপজেলা ও তালা উপজেলা নিয়ে গঠিত। আছে ৩টি পুলিশ থানা। কলারোয়া উপজেলায় বাড়ি হওয়ায় স্বভাবতই কলারোয়ার প্রতিটি ইউনিয়ন ও গ্রামে তার সমর্থকও যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে বিরোধীতাও। উপজেলায় প্রকাশ্য ‘এন্টি’ (বিপক্ষ) ইগো বা মনোভাব-মানসিকতা দেখা যায় সাধারণ মানুষ ও সাধারণ আওয়ামীলীগারদের মাঝেও। এই ‘এন্টি’ মনোভাবেও প্রকারন্তে লাভবান হয়েছেন সরদার মুজিব।

১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার অনেক আগ থেকেই এ সংসদীয় আসনের বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগের সুবাদে সাধারণ মানুষের সাথে মিশেছেন সরদার মুজিব। ব্যক্তিগতভাবে অনেককে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। করেছেন মসজিদ-মন্দিরসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনেও সহযোগিতা। চাকুরির ক্ষেত্রে সহযোগিতার কথাও শোনা যায়। ফলে এমপি প্রার্থী হিসেবে তার জনগণের সাথে সংযোগ পাকাপোক্ত রয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়।

স্থানীয় সাধারণ আ.লীগ নেতা-কর্মী-সমর্থকদের অনেকে নৈতিকভাবে তার পক্ষে, আবার গ্রুপিং-এর কারণেও বিপক্ষে অবস্থান করছেন। উপজেলার সাধারণ নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সাথে রয়েছে তাঁর সরাসরি যোগাযোগ। তিনি নিয়মিত তাদের খোঁজ-খবর নেয়ায় তারাও সন্তুষ্ট সরদার মুজিবের প্রতি।

কলারোয়ার চেয়ে তুলনামূলক তালা উপজেলায় তার সমর্থন কোন অংশে কম নয়। বিগত নির্বাচনে হরিণ প্রতীকে ভোট পাওয়া সেই কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে- কলারোয়ার মতো তালা উপজেলায় দলীয় কোন্দল ও ব্যক্তির স্বেচ্ছাচারিতা নেই বললেই চলে। এদিক দিয়েও দলীয় মনোনয়নে ‘নৌকা’ প্রতীকে তার পাল্লা অন্য যেকোন দলীয় নেতার চেয়ে কোন অংশে কম নয়।

তবে সরদার মুজিব সম্পর্কে বিরূপ ধারণাও রয়েছে। বেশিরভাগ সময় রাজধানী ঢাকাতে অবস্থান করা ও এলাকায় প্রোগ্রাম ছাড়া না আসার বিষয়টি অনেককে দোলা দেয়। মাঝে মধ্যে সরদার মুজিবের আচরণ ও কথাবার্তা বাঁকা চোখে দেখেন অনেকে।

সরদার মুজিব সম্পর্কে স্থানীয় সাধারণ মানুষের মতামত ও ধারণা:
সরদার মুজিব সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মতামত মিশ্র। ‘শুধুমাত্র’ আ.লীগ দলীয় যে কয়জন সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম শোনা যাচ্ছে তার মধ্যে ‘অন্যতম’ হিসেবে জনপ্রিয়তায় রয়েছেন সরদার মুজিব। বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থী হলে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতেও জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শীর্ষে রয়েছেন সরদার মুজিব। কারণ আ.লীগ দলীয় অন্য প্রার্থীর চেয়ে সাধারণ মানুষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন তিনি। ফলে সাধারণ মানুষের কাছেও তিনি সমভাবে জনপ্রিয় বলে মনে করা হচ্ছে। কিছু নেতিবাচক দিকগুলো কাটিয়ে উঠলে সরদার মুজিবের গ্রহণযোগ্যতা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।

জামায়াত বিরোধীতায় সরদার মুজিব:
কলারোয়া ও তালা উপজেলা মূলত বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত। তবে স্থানীয়ভাবে বিএনপির সাথে জামায়াতের সম্পর্ক কিছুটা হলেও টানপোড়েন চলছে। আবার অনেক সাধারণ বিএনপির নেত-কর্মী-সমর্থকরা দৃশ্যত জামায়াতকে অপছন্দ করেন। যদি এখানে জোটগত কারণে জামায়তের প্রার্থীকে বিএনপি বেছে নেয় তবে ওই সাধারণ বিএনপির নেতা-কর্মীরা কখনোই জামাতের প্রার্থীকে ভোট দেবে না। তারা বেছে নেবেন সরদার মুজিবকেই। আবার বিগত দিনে জামাতের তান্ডব ও সন্ত্রাসী নৈরাজ্য-নাশকতার বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর ছিলেন সরদার মুজিব। ফলে ‘এন্টি জামাতি’রা সঙ্গত কারণেই সরদার মুজিবকে সমর্থন করবেন মনে মনে।
আবার যদি বিএনপির প্রার্থী হয় তবে সেক্ষেত্রে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব-ই এখানে একক প্রার্থী। ‘ধানের শীষ’প্রতীকের সাথে সরদার মুজিবের যদি ‘নৌকা’ প্রতীক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তবে সাধারণ মানুষসহ সাধারণ বিএনপিপন্থিরাও ‘নৌকা’য় সিল না মেরে ‘সরদার মুজিব’কেও সিল মারতে পারে। এমনই আভাস মিলছে অনেকের ভাষ্য থেকে। কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে- সাবেক এমপি হাবিবের দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত এলাকায় না আসা ও প্রান্তিক নেতাকর্মীদের ‘খোঁজখবর না নেয়া’র বিষয়ে কিছুটা হলেও মনোক্ষুন্ন বিএনপির সাধারণ সমর্থকরা।

অন্যদিকে, দলীয় অস্তিত্ব ও ইমেজের কারণে বিএনপির প্রার্থী এমপি নির্বাচিত হলে জামায়াতের স্থানীয় রাজনীতির ভবিষ্যত ক্ষতি হতে পারে এরূপ দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও অনেক কট্টরপন্থি জামাতিরা বিএনপির প্রার্থীকে ভোট নাও দিতে পারেন। সেক্ষেত্রেও লাভবান হতে পারেন সরদার মুজিব।

একনজরে জনসংযোগ ও জনপ্রিয়তা:
দলীয় অন্য যেকোন প্রার্থীর চেয়ে জনসংযোগে এগিয়ে সরদার মুজিব। তবে জনপ্রিয়তার বিষয়টি আপেক্ষিক। ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি, চাওয়া-পাওয়া, জনসম্পৃক্ততা, উপকার-অপকার, ব্যবহার, আচরণ, ক্ষমতার ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়গুলো এখন জনপ্রিয়তার অন্যতম মাপকাঠি। আর সেই মাপকাঠি থেকে সম্ভাব্য আ.লীগ দলীয় অন্য প্রার্থীদের মধ্যে সরদার মুজিব অন্যতম। এখন পর্যন্ত যাদের নাম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মানুষের মুখে ভাসছে তাদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় অন্যতম শীর্ষে আছেন সাবেক সাংসদ বিএম নজরুল ইসলাম। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে গুটিয়ে রাখায় বিকল্প হিসেবে সরদার মুজিবের জনসংযোগ ও জনপ্রিয়তা তুলনামূলক সক্রিয়।

হাওয়া থেকে পাওয়া:
১০ম সংসদ নির্বাচনের পর উন্নতি হয়েছে চরম গ্রুপিং এর, ‘আঙুল ফুলে কলা গাছ’ হয়েছেন অনেকে। উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে মুষ্টিমেয়দের, দৃশ্যত কোন আর্থিক আয়ের বন্দোবস্ত না থাকলেও উন্নতি হয়েছে টাকা-সম্পদ-ভাগ্যের। আর সাধারণ আ.লীগপন্থি ও সাধারণ মানুষের অনেকে হয়েছেন নির্যাতিত, নিষ্পেষিত, পুলিশি হয়রানীর শিকার আর দালালদের রোষানলের হাতিয়ার। গ্রামাঞ্চলের পাতি নেতাদের দৌরাত্ম আর হুংকারে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ আ.লীগার থেকে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত বিরূপ মনোভাব পোষণে বাধ্য হয়েছেন প্রায়ই সময়।

সেখানে আগামি ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যোগ্য, সৎ, জনবান্ধব, নিবেদিতপ্রাণ ও এলাকার কল্যানে যে অগ্রগতি হতে পারে তাকেই বেঁছে নেবে সাধারণ ভোটাররা। এই যোগসূত্রের সমীকরণ করতে পারলে প্রান্তিক আ.লীগ সমর্থিতদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের হৃদয়ও দখল করতে পারেন সরদার মুজিব।

একই রকম সংবাদ সমূহ

ট্রাম্পের হয়ে প্রচারণা চালানো মোদি’র তা ভারতের পররাষ্ট্রনীতির পরিপন্থী

২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ডবিস্তারিত পড়ুন

ছাত্রদলের কাউন্সিল: ৮ভোটে হেরে গেলেন কেশবপুরের সেই শ্রাবণ

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিলে সভাপতি পদে মাত্র ৮ ভোটে হেরে গেছেনবিস্তারিত পড়ুন

ছাত্রদলের নতুন সভাপতি খোকন, সম্পাদক শ্যামল

কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে নতুন নেতৃত্ব পেল বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল।বিস্তারিত পড়ুন

  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৭টি পদক লাভ
  • ড. কালাম ‘এক্সিলেন্স এওয়ার্ড’ গ্রহণ করেই দেশবাসীকে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • শোভন-রাব্বানী বাদ, ছাত্রলীগের নেতৃত্বে জয় ও লেখক
  • শোভন-রাব্বানীকে পদত্যাগের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
  • তৃণমূল থেকে সংগঠনকে গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শোভন-রাব্বানির ভাগ্য নির্ধারণ
  • পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
  • বিএনপি অর্থ-সম্পদ অর্জনে বেশি ব্যস্ত ছিল: প্রধানমন্ত্রী
  • বিশ্বের শীর্ষ নারী নেতৃত্বের তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
  • আগুন নিয়ে খেলতে বারণ করলেন শামীম ওসমান
  • ৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের চিঠি দেয়া হবে : ওবায়দুল কাদের
  • মইনুল হোসেন ফের কারাগারে