রাজগঞ্জে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জনবসতির পাশেই ইটভাটা!!
মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের হাজরাকাটী গ্রামের জনবসতি ও দুইটি স্কুলের পাশেই অবস্থিত হাবিব ব্রিক্স নামের ইটের ভাটাটির সকল কার্যক্রম বন্ধের দাবী জানিয়ে সম্প্রতি এলাকাবাসি ও দু’টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক যশোর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন জানিয়েছেন৷
জানা গেছে, উপজেলার হাজরাকাটী ১৮৬ নং মৌজার কয়েকটি দাগের প্রায় নয় একর জমির উপর পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধ্যভাবে স্থানীয় হাবিব সানার ছেলে মহিদুল ইসলাম গড়ে তুলেছে ইটের ভাটা৷ যা জনবসতি ও স্কুল/কলেজ/মাদরাসার আশেপাশে স্থাপন করা নিষিদ্ধ৷ কিন্তু ইটের ভাটা মালিক মহিদুল ইসলাম কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই হাজরাকাটী বাজারের পাশেই রাজগঞ্জ-ত্রিমোহিনী রোডের পশ্চিম গা ঘেঁষে গড়ে তুলেছে অবৈধ্য ইটের ভাটা৷ এছাড়া এই ইটের ভাটার মাঝখানে স্থানীয় শামছুর রহমান ও রিজাউল ইসলামের বসত বাড়ী রয়েছে৷ ভাটার দক্ষিণ গা ঘেঁষে রয়েছে ইউনুস আলী, ইসমাইল, কুদ্দুস, ওসমান, সোরাব, লতিফ, আজহার, তবিবার, ইসলাম, আহাদুল, খলিল, কুদ্দুসসহ ৫০/৬০ ঘর লোকের বসবাস এবং পূর্ব গা ঘেঁষে মশিয়ার, আমিন, মোয়াজ্জেম হোসেনসহ রয়েছে ৩০/৪০ ঘর লোকের বসবাস৷ ভাটার উত্তর পাশে ১শ’ মিটারের মধ্যে অবস্থিত ৬৮নং হাজরাকাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাজরাকাটী মাধ্যমিক বিদ্যালয়৷ ফলে ভাটার মৌসুমে ভাটার ধুলাবালি, ভাটার চিমনি থেকে নির্গত হওয়া কালো ধুয়া ও টলির অবাধ চলাচলের কারণে বসবাসরত গ্রামবাসি ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করা খুবই কষ্টকরসহ জীবন-যাপন ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে৷ তা ছাড়া সম্পূর্ন কৃষি জমির উপর ইটের ভাটা স্থাপন করা হয়েছে৷ যে জমিতে বছরে সমান তিনটা ফসল ফলানো হতো৷ ইটের ভাটাটির চারিপাশে অন্তত ১০/১২ টি বিভিন্ন ফলের বাগান রয়েছে৷ যা ভাটার কারণে মৃতপ্রায়৷
হাজরাকাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ও সভাপতি আবুল হাসান জানিয়েছেন, ভাটার মৌসুমে ভাটায় ব্যবহৃত টলি, ট্রাক্টর, কাঁদা পাকানো মেশিনসহ অন্যান্য ফিটনেস বিহীন গাড়ির অসহনীয় শব্দ, ভাটার ধুলাবালী, ভাটার চিপনি থেকে নির্গত কালো ধুয়া ইত্যাদি সরাসরি শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করে৷ ফলে বিদ্যালয়ের পড়াশোনার পরিবেশ দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়৷ এছাড়া ইট ভাটার কারণে জন অধ্যাষিত অত্র এলাকায় প্রাকৃতিক পরিবেশও মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছে৷
স্থানীয় এলাকাবাসির দাবি, লোকালয়ে ও বিভিন্ন স্থাপনার মধ্যে ভাটাটি যদি অব্যহত ভাবে তার কার্যক্রম চালিয়ে যায়, তাহলে অত্র এলাকার পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে৷ ইতিপূর্বে বিভিন্ন দপ্তর থেকে ভাটাটি বন্ধ করে রাখার জন্য নির্দেশনা আসলেও তা অগ্রাহ্য করে ভাটা মালিক মহিদুল ইসলাম গায়ের জোরে ও টাকার ক্ষমতা দেখিয়ে ভাটাটির কার্যক্রম চালু রেখেছে৷
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন