আরো খবর...
আশাশুনির কাদাকাটিতে ফুটবল টুর্নামেন্টে কলাগাছি চ্যাম্পিয়ন
আশাশুনি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কাদাকাটি যুব মজলিস ফুটবল মাঠে রবিবার বিকেলে আটদলীয় নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কাদাকাটি যুব মজলিসের আয়োজনে খেলায় খুলনা জেলার পাইকগাছা পৌরসভার শিববাটী ফুটবল একাদশ ও সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কলাগাছি কালিমাতা ফুটবল একাদশ পরষ্পরের মুখোমুখি হয়।
মনোমুগ্ধকর এই খেলায় প্রথমার্ধে ২ টি গোল করে দলকে এগিয়ে রাখেন কলাগাছি কালিমাতা ফুটবল একাদশ। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম দিকে উভয় দল ১টি করে গোল করেন। তারপর থেকে আক্রমন পাল্টা আক্রমনের মধ্যে দিয়ে খেলা শেষ হয়। নির্ধারিত সময়ে আর কোন গোল না হওয়ায় কলাগাছি কালিমাতা ফুটবল একাদশ ৩-১ গোলের ব্যাবধানে শিববাটী ফুটবল একাদশকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে আকর্ষনীয় এই খেলাটির শুভ উদ্ধোধন করেন কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি দিপংকর কুমার সরকার।
উত্তেজোনাপূর্ণ এই খেলাটি পরিচালনা করেন নাসিরউদ্দীন, আসাদুল হক ও আবুল বাশার।
দর্শক নন্দিত এই খেলার ধারাভাষ্যে ছিলেন আসাদুজ্জামান মিঠু, আশরাফ হোসেন ও সবুজ আহমেদ।
খেলা শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কাদাকাটি যুব মজলিস সভাপতি মহাসিন আলী বকুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি দিপংকর কুমার সরকার।
সবুজ আহমেদের সঞ্চালনায় এসময় খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক রাজিব হোসেন রাজু, সমাজসেবক মাষ্টার রজব আলী সরদার, মেম্বর আবু হাসান বাবু, শামছুর রহমান মোড়ল, শ্বাশ্বতী রাণী সরকার, কাদাকাটি যুব মজলিস সম্পাদক মাশহুরুল হক সাজু, সমাজসেবক শরিফুল ইসলাম খোকা, গোলাম রসূল, আ. সুবহান, মিজানুর রহমান সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও কাদাকাটি যুব মজলিসের সকল সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সবশেষে চ্যাম্পিয়ন দল ও রানার্স আপ দলের টিম মানেজার ও অধিনায়কের হাতে চ্যাম্পিয়ন পুরষ্কার একটি ফ্রিজ ও রানার্স আপ পুরষ্কার একটি ২২ ইঞ্চি মনিটর তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
এআইআরপি কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ
আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আর্সেনিক আইরন রিনোভাল প্লান্ট (এআইআরপি) এর কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ডিপিই- ডিপিএইচই, পিইডিটি-৩/২০১৭ এর আওতায় আশাশুনি উপজেলায় আর্সেনিক আইরন রিনোভাল প্লান্ট কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। কাজে ব্যাপক অনিয়ম এবং কাজের ধরণ, অর্থ বরাদ্দসহ সকল প্রকার তথ্য অন্ধকারে রেখে কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ১৯টি স্কুলে ১৯টি এআইআরপি কাজ শুরুর জন্য ৮/৫/১৭ তাং ঠিকাদার অসীম কুমার দাশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯টি কাজের জন্য ৩১ লক্ষ ৩০ হাজার ৫০১ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। ৯০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। তৎকালীন উপ সহকারী প্রকৌশলী (জনস্বাস্থ্য) মনিরুজ্জামান ঠিকাদারকে কাজে লাগিয়ে কাজের সার্বিক দেকভাল করেন। কিন্তু কাজের কোন তথ্য বা কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সরবরাহ করা হয়নি। তাদের সকলকে অন্ধকারে রেখে কিছুটা গোপনীয়তা অবলম্বন করে কাজ করা হয়। কাজের কোয়ালিটি কেমন হয়েছে, তা স্থানীয় পর্যায়ের বা উপজেলা পর্যায়ের কাউকে জানতে দেওয়া হয়নি। জানানোও হয়নি।
সরেজমিন গেলে দেখা যায়- প্লান্টটি অচলাবস্থায় রয়েছে। ভিতরের কাজ সম্পর্কে কিছু বোঝার সুযোগ না থাকলেও প্লাষ্টার, গ্রীল স্থাপনে অনিয়ম, রং না করাসহ অনেকগুলো বিষয়ে সুস্পষ্ট অনিয়মের ছাপ রয়েছে। কাজ শেষ করার কথা ২০১৭ সালের আগষ্ট মাসে, সেখানে আরও একটি বছর অতিরিক্ত পার হয়ে গেছে। আগরদাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম আলাউদ্দিন ও এসএমসি সভাপতি জানান, কাজ শুরুর আগে তাদেরকে স্টিমেট বা কোন তথ্য দেওয়া হয়নি, পরেও কিভাবে, কত টাকা বরাদ্দে, কি কাজ করা হবে সে সম্পর্কেও তাদেরকে কিছু বলা হয়নি। বাধ্য হয়ে তারা শ্রমিকদের সাথে কথা বলে কাজের ধরন সম্পর্কে জানতে গেলে তারা জানেনা বলে জানিয়ে ইঞ্জিয়ার জানে এবং পরে ঠিকাদার জানে বলে এড়িয়ে যায়। গত মাসে (সেপ্টেম্বর) অফিস থেকে প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার জন্য স্কুলে গেলে তিনি (প্রধান শিক্ষক) কাজ সম্পর্কে কিছুই জানেননা, কিভাবে প্রত্যয়পত্র দেবে বলে বিদায় করে দেন।
বুধহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলহাস উদ্দিন বলেন- তার কাছে কাজের নলকুপ মেকানিক শেখ রেজাউল ইসলাম প্রত্যয়নপত্র নিতে আসে। তখন আমি কাজ দেখিনি, কিভাবে প্রত্যয় দেব বলি। তখন সে প্রত্যয়ন দিলেন না, দিলে ভাল হতো। এখন কষ্ট করে সিল বানাতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়ে প্লান্ট ব্যবহারের জন্য আমাদের কাছে থাকা রেঞ্জসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সে নিয়ে যায় বলে প্রধান শিক্ষক জানান।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোসাঃ শামসুন নাহার জানান- মৌখিকভাবে কাজ হচ্ছে জানান হয়, কিন্তু প্রকল্প সম্পর্কে কোন কিছু জানান হয়নি বা কাগজপত্রও দেওয়া হয়নি।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী (জনস্বাস্থ্য) মনিরুজ্জামানের মোবাইলে কয়েকজন সাংবাদিক অনেকবার রিং করেেল তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে তথ্য না দিয়ে এড়িয়ে যান। মেকানিক রেজাউল বলেন- ২ জন বাদে সবার কাছ থেকে প্রত্যয়ন নেওয়া হয়েছে। তবে সিল বানানোর কথা বলা হয়নি বলে তিনি দাবী করেন।
বর্তমান উপ সহকারী প্রকৌশলী (জনস্বাস্থ্য) দারুস সালামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কাজের বরাদ্দ, কতদিনে শেষ করার কথা তথ্য দিলেও বিস্তারিত দিতে পারেননি। তবে কাজ সামান্য বাকী আছে বলে নিশ্চিত করেন।
একারনে প্রশ্ন থেকে যায়, কাজ শেষ না করে কিভাবে প্রত্যয়নপত্র নেওয়া হয়েছে। তাহলে “ডাল মে কুছ কালা হায়” – প্রবাদ সঠিক বলে মনে হচ্ছে নয় কি?
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীন বলেন- বিষয়টি খোজ খবর নিয়ে দেখব কি হয়েছে।
বড়দল ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের কমিটি
জাতীয় শ্রমিকলীগ আশাশুনি উপজেলার ৫ নং বড়দল ইউনিয়ন শাখা কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রবিবার ৪৫ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ঢালী মোঃ সামছুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বিপুল স্বাক্ষরিত পত্রে জানাগেছে, মোঃ আব্দুল হাকিম গাজীকে সভাপতি, মোঃ শুকুর আলি গাজীকে সাধারণ সম্পাদক ও মোঃ রিয়াজুল ইসলাম মিঠুনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৪৫ সদস্য বিশিষ্ট ৫ নং বড়দল ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কমিটির মেয়াদ ২ বছর।
কাদাকাটিতে প্রফেসর হাবিবুল্লাহ’র মায়ের দাফন সম্পন্ন
আশাশুনি সরকারি কলেজের অধ্যাপক ও আহলে হাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ আশাশুনি উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ মাওঃ হাবিবুল্লাহ বাহারের মাতার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার সকাল ৯.৩০ টায় নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
উপজেলার কাদাকাটি গ্রামের মরহুম ছবেদ আলি সরদারের স্ত্রী জামেলা খাতুন (৭০) বার্ধক্য জনিত কারণে শনিবার দুপুর ১ টা ৪০ টার দিকে নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেন।
রবিবার অনুষ্ঠিত জানাযা নামাজে ইমামতি করেন মরহুমার ৪র্থ পুত্র অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ বাহার। এসময় সাতক্ষীরা জেলা জমঈয়তে আহলে হাদীসের সভাপতি আলহাজ অধ্যাপক মাও. ওবায়দুল্লাহ গযনফর, খুলনা জেলা আহলে হাদীছ আন্দোলন সভাপতি আলহাজ মাওঃ জাহাঙ্গীর আলম, সাতক্ষীরা জেলা আহলে হাদীছ আন্দোলন সভাপতি আলহাজ মাওঃ আব্দুল মান্নান, সেক্রেটারী মাওঃ আলতাফ হোসেন, অর্থ সম্পাদক আলহাজ কেরামত হোসেন, জেলা যুব সংঘ সভাপতি মুজাহিদুর রহমান, উপজেলা আন্দোলন প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ আজিজুর রহমান গাজী, সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান, অর্থ সম্পদক আলহাজ হাবিবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আলহাজ আ. কুদ্দুছ গাজী, উপজেলা যুব সংঘ সভাপতি মাওঃ শফিউল আলম, সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক মিজানুর রহমান, এলাকা আন্দোলন দপ্তর সম্পাদক আঃ হামিদ, আশাশুনি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক হোসেন আলিসহ সকল শিক্ষক মন্ডলী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুল হক, বহু আলেম, শিক্ষক এবং এলাকার সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ
গত ২১ শে অক্টোবর দৈনিক কালেরচিত্র পত্রিকায় “বুধহাটায় মাদক সম্রাট অমেদের মাদক বিক্রি” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সংবাদে আমাকে জড়িয়ে বলা হয়েছে আমি ইয়াবা, গাঁজা ও ফেন্সিডিল বিক্রি করি তা আদৌ সত্য নয়।
প্রকৃতপক্ষে আমি একজন গরু ব্যাবসায়ী। ব্যাবসার মাধ্যমে আমার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় এলাকার কিছু কুচক্রীমহল আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতে সাংবাদিককে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ওই সংবাদটি প্রকাশ করিয়াছে। যা মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
অমেদ সরদার
শ্বেতপুর, আশাশুনি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
আশাশুনিতে পূর্বের বিয়ের তথ্য গোপন করে আবারো অন্যত্র বিয়ে দেয়ার অভিযোগ!
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে পূর্ববর্তী বিয়ের তথ্য গোপন করে অধিক লাভ ওবিস্তারিত পড়ুন