আরো খবর...
কারাভোগ শেষে ভারত থেকে ১৪ যুবক দেশে ফিরেছে
অবৈধ পথে আটক হওয়া ভারতে ১৭ মাস কারাভোগ শেষে বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফিরল ১৪ যুবক।
মঙ্গলবার বিকালের সময় বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও বিজিবির কাছে তাদের হস্তান্তর করেন ভারতীয় বিএসএফ।
ফেরত আসা যুবকরা হলেন- রাজশাহী জেলার আব্দুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর, আফছার আলীর ছেলে আব্দুল হাকিম, হাবিবুর রহমানের ছেলে আলমগীর হোসেন, কামাল হোসেনের ছেলে আবদুল হালিম, গোলাম নবীর ছেলে বাবু, আলাউদ্দিনের ছেলে আজিজুল হক, আলমের ছেলে জহুরুল, ফজলুর রহমানের ছেলে শহিদুল, আক্তার আলীর ছেলে ইকবাল হোসেন, আনোয়ার হোসেনের ছেলে সোহেল রানা, আশরাফুলের ছেলে সুমন, নওশাদ আলীর ছেলে জহিরুল, আশরাফুল ইসলামের ছেলে মোমিন, আব্দুর রহমানের ছেলে ফুলাল হোসেন।
এদের বয়স ১৭ বছর থেকে ২৪ বছর পর্যন্ত।
বেঙ্গালুর শহরে যাওয়ার ১ থেকে ২ মাসের ভিতর আমরা সেদেশের পুলিশের কাছে ধরা পড়ি। পরে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে আমাদের জেল হাজতে পাঠায়। আমরা ধারওয়া সেন্ট্রাল জেলে ১৭ মাস জেল খেটে আজ দেশে ফিরেছি।
বেনাপোল পোর্ট থানার এ এসআই শাহিন ফরহাদ বলেন- এরা ভারতে জেলখেটে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফেরত আসে। দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রালয়ে চিঠি চালাচালির এক পর্যায়ে সেদেশের সরকার বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠায়। ফেরত আসা যুবকদের থানার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
শার্শা পাইলট বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা দ্বীধা বিভক্ত, লেখাপড়া নিম্নমুখী
যশোরের শার্শা পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের অভ্যান্তরীন কোন্দলে সাধারণ শিক্ষকরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।এতেকরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিম্ন পর্যায়ে চলেগেছে।
শিক্ষকদের একটি অংশ প্রধান শিক্ষকের পক্ষে অপর একটি অংশ সহকারী প্রধান শিক্ষকের পক্ষে থাকায় দ্বন্ধের কোন নিরসন হচ্ছেনা।
শার্শার বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে সহকারী প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন স্কুলের পুরাতন বই, খাতা বিক্রির অভিযোগ এনে ম্যানেজিং কমিটি, প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কান ভারী করে তোলেন।অথচ সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে আমজাদ হোসেন যোগদানের পর থেকে স্কুলের বিভিন্ন ফান্ডের টাকা তার কাছে জমা হয় কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন হিসাব তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে দেননি। চলতি মাসে স্কুলের টাকা শিক্ষক কর্মচারীদের মাঝে বন্টনের সময় বিভিন্ন অনিয়ম করেন। হিসাব ছাড়া টাকা কম পাওয়ায় চতুর্থ শ্রেণীর এক কর্মচারী প্রতিবাদ জানালে আমজাদ হোসেন তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেয়। কতিপয় শিক্ষককে সুযোগ সুবিধা প্রদান করে তাদের কাছে টেনেনিয়ে নিজের অবস্থান তিনি শক্ত করে নিয়েছেন। এসব শিক্ষককে তিনি ব্যবহার করে বিভিন্ন ঝামেলা করে বেড়ান। প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন করে নিয়োগ না পাওয়ার কারনে সহকারী প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন সব সময় তেলে বেগুনে জ্বলে থাকেন। তিনি ব্যাক্তি স্বার্থের জন্য স্কুলের তথ্য বাহিরে প্রকাশ করে থাকেন এবং প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধচারন করে বেড়ান বলেও অভিযোগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, আমাদের স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন সব সময় কোন না কোন একটা ঝামেলা তৈরি করে। তিনি যখন বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক ছিলেন সেখানেও তিনি প্রতিদিন কোন না কোন একটি ঝামেলা তৈরি করে বিশৃক্সখলা সৃষ্টি করতেন। এছাড়া তিনি ঐ স্কুলের এক ছাত্রী বিয়ে করার ঘটনায় ৫ বছর চাকুরীচ্যুতি ছিলেন। তিনি কোন দিনও কোন ঝামেলা ছাড়া থাকতে পারেন না। সন্ধার পর তিনি শার্শা বাজারের বিভিন্ন দোকানে বসে স্কুল বিষয়ে ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে খোশ গল্পে মেতে থাকেন। এছাড়া তিনি নিয়োগের সময় তার নাম উল্লেখ করেছেন এ, ইউ, এম আমজাদ হোসেন কিন্তু তার সার্টিফিকেটে উল্লেখ আছে আবু ইউসুপ মোঃ আমজাদ হোসেন। তিনি এইচএসসিতে বিশেষ বিবেচনায় এবং ডিগ্রীতে তৃতীয় বিভাগে পাস করেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন কারীকে ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ খোজ রাখেন না এ সহকারী প্রধান শিক্ষক আসলে ক্লাসে কোন বিষয় পড়াচ্ছেন। তিনি ইংরেজিতে খুবই দূর্বল বিধায় প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে বাংলা পড়ান।
সহকারী প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনের অভিযোগ, হেড স্যার ১০ম শ্রেণীর ক শাখায় ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের ক্লাস নেওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের প্যান্টের চেইন বিষয়ে উদাহরণ দিয়েছে। যেটা ক্লাস রুমে বলা উচিৎ হয়নি। এঘটনায় ছাত্ররা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এমপি সাহেবের কাছে অভিযোগ করেছে।
শার্শা পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সহিদুল ইসলাম বলেন, খুলনা থেকে চলতি মাসে ৬ দিনের সৃজনশীল প্রশিক্ষন দিয়ে এসেছি। প্রশিক্ষকরা সৃজনশীল বিষয়ে আমাদের যা যা শিখিয়েছে তার উপর রোববার ক্লাসে আলোচনা করেছি। স্কুলের একটি মহল আমাকে ফাঁসানোর জন্য কিছু ছাত্রকে আমার বিরুদ্ধে উসকানি দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করিয়েছে এবং স্কুলে বিশৃক্সখলা সৃষ্টি করে চলেছে। শিক্ষকদের সহযোগীতা না থাকায় স্কুলের প্রশাসনিক অবকাঠামো দুর্বল হয়ে পড়েছে।
গৃহবধূ’র গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও কোন আসামী আটক হয়নি
ঝিকরগাছায় গৃহবধূর সুমাইয়ার গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও কোন আসামীকে আটক করতে পারিনি পুলিশ। স্বামীর হাতে যৌতুকের বলি হলো গৃহবধু সুমাইয়া (১৯)। গত ৭ জুলাই সুমাইয়া খাতুনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঘরের আড়ায় টাঙিয়ে রাখেন তার স্বামী জাকির হোসেন (বাবু)। প্রচার করতে থাকে সে আত্মহত্যা করেছে। বিয়ের আগে সুমাইয়া অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী ছিল। স্কুলে যাওয়া আসার পথে পরিচয় ঘটে ঝিকরগাছা বাইশা চাঁদপুর কলনি পাড়ার মুজিবর রহমানের ছেলে জাকির হোসেন (বাবু)’র সাথে। স্কুলে যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময় বিবাহের প্রস্তাব দেয় বাবু। এবং রাজি না হলে তাকে এসিড নিক্ষেপের হুমকি দেয়। অসহায় সুমাইয়ার পিতা নির্মান শ্রমিক ইসমাইল হোসেন নিরুপায় হয়ে বাবু’র সাথে বিবাহ দিতে বাধ্য হয়। বিবাহের কিছুদিন পর থেকে স্বামী বাবু ও শাশুড়ি সখি খাতুনের শুরু হয় যৌতুকের দাবিতে সুমাইয়ার ওপর অত্যাচার নির্যাতন। পিতার বাড়ি থেকে যৌতুক আনার জন্য বিভিন্ন সময় অত্যাচার নির্যাতন চালাতে থাকে। গরীব পিতা নির্মান শ্রমিক ইসমাইল হোসেন মেয়ের সুখের কথা ভেবে একটি খাটসহ ৭৫ হাজার টাকা যৌতুক দিয়েছে বলে জানা যায়। কিন্তু এতেও স্বামী বাবু ও শাশুড়ি সখি খাতুনের মন ভরেনি। ঘটনার দিন গত ৭ জুলাই রাতে স্বামী-শাশুড়ি মিলে সুমাইয়াকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর যখম করে। তাদের সংসারে ১০ মাসের একটি শিশু সন্তান আছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ মেয়েটিকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ঐ দিন রাতে সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করে যশোর মর্গে পাঠান। ময়না তদন্ত রিপোর্ট শেষে সুমাইয়ার পিতার বাড়ি ঝিকরগাছা উপজেলার কুন্দিপুর গ্রামে জানাজা শেষে সমাহিত করে। ঘটনার ১৭ দিন পার হলেও এখনও পর্যন্ত কোন আসামীকে আটক করতে পারিনি পুলিশ।
ঝিকরগাছার শিওরদাহ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সুরজিত কুমার জানান, এ মামলার ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত আমি এ মামলা সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে পারছি না।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন