মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

Representation of the People order 1972 : নতুনধারার নিবন্ধন

বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর রাজনীতিতে এসেছেন নিবেদিত দেশ ও মানুষপ্রেমিক অনেকেই। পাশাপাশি স্বার্থবাদী চিন্তা থেকে, রুটি-রুজি-জীবন-জীবিকার চিন্তা থেকে কিছু ছলাকলাবিদ এগিয়ে এসেছে ছলচাতুরির রাজনীতিক হিসেবে। এরা গড়ে তুলেছেন ওয়ানম্যান পার্টি। তারই জ্বলন্ত বা চলন্ত প্রমাণ ‘একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেতে ৭৬টি দল আবেদন করলেও এরমধ্যে ১৯ টির আবেদন বাতিল করা হয়েছে। এরমধ্যে নিয়ম মেনে ট্রেজারি চালান জমা না দেয়ায় ১৪টি এবং স্বাক্ষরবিহীন আবেদন জমা দেয়ার কারণে আরো পাঁচটি আবেদন বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। বাকিদের অধিকাংশই নিবন্ধনের শর্ত পূরণে পূর্ণাঙ্গ তথ্য ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে না পারায় সংশোধনের জন্য ১৫ দিন সময় পাচ্ছে। নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আবেদন যাচাই-বাছাইয়ে গঠিত কমিটি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এ সুপারিশ করেছে।’
শুধু এখানেই শেষ নয়; আমাদের রাজনীতির কপালে কালি লেপ্টে দিতে তৈরি হয়ে এই রাজনীতির নামে স্বার্থনীতিকরা গড়ে তুলেছে বেশ কিছু আস্তাবল। আর এই আস্তাবল গুলোর প্রাথমিক পর্ব হলো ১৯ টি তথাকথিত রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে ১৪টি রাজনৈতিক দল আবেদনের সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকার নিবন্ধন ফি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমাই দেয়নি। দলগুলো হচ্ছে-তৃণমূল ন্যাশনাল পার্টি (আনারস), গণতান্ত্রিক ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভ্যাসানী) (রিক্সা), বাংলাদেশ ঘুষ নির্মূল পার্টি (বিজিএনপি) (ঝাড়ু), বাংলাদেশ সততা দল (বিএইচপি) (আনারস), বাংলাদেশ হিন্দুলীগ (হাত), বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্ট (ছাতা), জাতীয় পরিবার কল্যাণ পার্টি (জেপিকেপি) (গলদা চিংড়ি), বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি (বিআইপি) (গমের শীষ), বাংলাদেশ শান্তির দল (চাঁদ), কৃষক শ্রমিক পার্টি (হুক্কা), জনস্বার্থে বাংলাদেশ (মোবাইল), বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএনডিপি) (স্যাটেলাইট), বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট-বিডিএম (প্রতীক চায়নি) ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ভাসানী ন্যাপ (প্রতীক চায়নি)। এছাড়া নির্ধারিত ফরমে আবেদন না করায় সুশীল সামাজিক আন্দোলন-এসএসএ (প্রতীক শার্ট) দলটির আবেদন বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি (কলম), বাংলাদেশ তৃণমূল কংগ্রেস (গমের ছড়া বা হাতপাঞ্জা) ও মৌলিক বাংলা (মাথাল) এই তিনটি দলের আবেদনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষর না থাকায় এসব দল নিবন্ধন পাওয়ার অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে কমিটি। ন্যাপ-ভাসানীর আবেদন অসম্পূর্ণ ও গঠনতন্ত্রের কপি জমা না দেয়ায় এ দলটির নিবন্ধন আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
কিন্তু দুঃেখের সাথে বলতে হচ্ছে যে, যারা রাজনীতিকদেরকে নিয়ে কখনো উচ্চ-বাচ্চ করারও সুযোগ পায় না; তারাও এই অথর্ব টাইপের রাজনৈতিকের কারণে নূন্যতম সৌজন্যতাবোধ রেখে কথা বলে না। বিশেষ করে রাজনীতির নামে ছেলে খেলা খেলতে আসা স্বঘোষিত সভাপতি- চেয়ারম্যানদের কারণে আজ নির্বাচন কমিশনের বাছাই কমিটির প্রধান এবং ইসি কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান জানিয়েছেন, কমিটির পক্ষ থেকে যাদের আবেদনে বড় ধরনের ত্রুটি পাওয়া গেছে তাদেরগুলো বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। বাকিদের সংশোধনের সুযোগ দিতে ১৫ দিন সময় বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কারণ (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২) আরপিও’তে নির্দিষ্ট কিছু ভুলের জন্য সংশোধনের সুযোগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। বাছাই কমিটির প্রস্তাব কমিশন সভায় পাঠানো হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। এটা কোন গণতান্ত্রিক কথা হতে পারে না। কেননা, আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে তো নয়ই সারা বিশ্বের রাজনীতির ইতিহাসে ৭ টি দেশে এই নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি আছে, তাও আবার ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন নিয়মে। আমাদের দেশে স্বাধীনতার পর থেকে কখনোই নিবন্ধন প্রয়োজন হয়নি। কেবল ২০০৮ সালে ওয়ান ইলেভেনের রাজত্বকারী স্বৈরাচাররা একরকম বেশি আবেগের বশে স্বাধীন দেশে পরাধীনতার বাঁশি বাজিয়ে এই নিবন্ধনের রাস্তা তৈরি করে। অবশ্য সেই সাথে একশ্রেণির স্বার্থন্বেষী মহলকে কঠিনভাবে প্রতিহত করেছে নিবন্ধন পদক্ষেপ নিয়ে। একই সাথে যোগ্যদেরকেও ফেলেছে বিপাকে। উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়, নিখোঁজ ৮০ রাজনৈতিক দলের কথা। ডেমোক্রেটিক লীগ। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের অন্তর্ভুক্ত একটি শরিক দল। ভাষাসৈনিক অলি আহাদের মৃত্যুর পর এ দলটি এখন ‘এক নেতার এক দল’-এ পরিণত হয়েছে। লোকবলের অভাবে এখনো নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনভুক্ত হতে পারেনি। সংগঠনটির নেই স্থায়ী কোনো কার্যালয়। রাজধানীর ৮৫ নয়াপল্টনে বিএনপি জোটভুক্ত বাংলাদেশ ন্যাপ, কল্যাণ পার্টি ও লেবার পার্টির অফিসই এখন দলটির ঠিকানা। বর্তমান নেতাদের মতে ইসির নিবন্ধনের কোনো দরকার নেই। রাজনৈতিক দলকে ইসির নিবন্ধনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে সঙ্কুচিত ও সীমাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

যে কারণেই হোক, যেভাবেই হোক ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ইসি সংশোধন করে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে। পরে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতেও নির্দিষ্ট কিছু পদে দলীয় প্রতীক ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়। সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বাইরে অন্যদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হয়। এরও অনেক পরের কথা। গত বছর আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত বছরের ৩০ অক্টোবর নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আগ্রহীদের কাছে আবেদন চেয়েছিল ইসি। আবেদন করার শেষ সময় ছিল ৩০ ডিসেম্বর। সে অনুযায়ী ৭৬টি দল নির্ধারিত সময়ে নিবন্ধনের আবেদন করে। আবেদন করে রাজনীতিতে তারুণ্যের বিজয়গান নতুনধারা বাংলাদেশ-এনডিবিও। তারই ধারাবাহিকতায় অগ্রসরমান নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক আন্দোলনে নিরন্তর এগিয়ে চলছে ছাত্র-যুব-জনতা-আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার প্রত্যয়দীপ্ত পথ চলা। যে পথচলার ধারাবাহিকতায় নতুনধারা বাংলাদেশ-এনডিবির চেয়াম্যান হিসেবে নিজ হাতে Representation of the People order, 1972(P.O.No.155 of 1972)- এর Article 90A এর অধীন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য দরখাস্তর পাশাপাশি সকল নিয়ম মেনে গঠনতন্ত্র, নির্বাচনী ইশতেহার, বিধিমালা, পতাকা ও লগোর ছবি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, ক্ষমতাপত্র, ট্রেজারারী চালান(সোনালী ব্যাংক,২১৫)-এর কপি, জেলা ও উপজেলা দপ্তর সমূহের ঠিকানা-কমিটি, বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র/ভাড়া প্রদান রশিদ; ব্যাংক একাউন্ট নং(জনতা ব্যাংক, তোপখানা রোড-০১০১১৫৬৬৯৮১৬) এবং তহবিলের উৎস বিবরণ; এলাকা ভিত্তিক কমপক্ষে ২ শত ভোটারের স্বাক্ষর সহ জমা দিয়েছি। প্রতিক হিসেবে ‘গাছের চারা’ চেয়েছি। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে আবেদন করার পর গত ৮ এপ্রিল ২০১৮ নির্বাচন কমিশন প্রেরিত চিঠিতে গঠনতন্ত্র সংশোধন সহ ২ টি বিষয় প্রতিপালনের নির্দেশ প্রদান করা হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী গঠনতন্ত্র সংশোধনের কপি সংযুক্ত করা হলো। পাশাপাশি সকল শর্ত পূরণের পাশাপাশি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মওলানা ভাসানী, শেরেবাংলা একে ফজলুল হক সহ দেশ ও মানুষের জন্য নিবেদিত জাতীয় বীরদের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে বায়ান্নকে প্রেরণা, একাত্তরকে চেতনা হিসেবে বুকে লালন করে দারিদ্র-দুর্নীতি-সন্ত্রাসমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য নিবেদিত থেকে কাজ করে যাওয়া নতুনধারা বাংলাদেশ-এনডিবি সম্পর্কে আপনাকে কিছু তথ্য প্রধান করছি- ২ জন ভাষাসৈনিক, ১১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রেসিডিয়াম মেম্বার আর ৭ জন বরেণ্য উপদেষ্টার দ্বারা রাজপথে তারুণ্যের রাজনৈতিক আন্দোলনে নিবেদিত রয়েছে নতুনধারার রাজনীতিকগণ। আশা করি রাজনৈতিক আন্দোলনে নতুন প্রজন্মের পথ প্রশস্থ হবে। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের জন্য নিবেদিত থেকে আসন্ন নির্বাচনে নিবেদিত থেকে জনগনের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবে বাংলাদেশের রাজনীতি সচেতন নতুন প্রজন্ম। যাদের শ্লোগান নতুনধারার অঙ্গিকার-দুর্নীতি থাকবে না আর…

মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ-এনডিবি ও প্রতিষ্ঠাতা, সেভ দ্য রোড
Email: [email protected]
01972740015

মতামত একান্তই লেখকের। এজন্য কলারোয়া নিউজ কোনভাবেই দায়বদ্ধ নয়।

একই রকম সংবাদ সমূহ

‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে

সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন

এবার অভিনয়ে পরিচালক শিমুল সরকার

নজরুল ইসলাম তোফা:: পরিচালক শিমুল সরকার। সময়ের তরুণ জনপ্রিয় একজনবিস্তারিত পড়ুন

আজব এক ব্যক্তি কাঁচা মাছ, মাংস ও লতাপাতা খেয়ে স্বাভাবিক চলে

নজরুল ইসলাম তোফা:: জীবনে চলার পথে বহু রকম মানুষের সাথেবিস্তারিত পড়ুন

  • নিরবতা
  • দাও ফিরিয়ে সে অরণ্য লও এ নগর
  • পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্তির কারণ ও সমাধানের পথ
  • পৃথিবীর ফুসফুস আমাজন বনাঞ্চলে আগুন : দায় কার?
  • মনের সুখই আসল সুখ, অপরকে সুখী করানোই প্রকৃত সুখ…
  • আধুনিকতা, মানবিকতা…
  • রাজনৈতিক কৌশলে গুল, গুঞ্জন ও গুজবের মতো বদঅভ্যাসে লিপ্ত মানুষ
  • ‘পুলিশের উবার ডাকতে নেই…’
  • ঢাবিতে ডেঙ্গুর বংশবিস্তার রোধ করুন
  • সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মাদকমুক্ত করুন
  • কোনও সুস্থ মস্তিষ্কপ্রসূত বক্তব্য এটি হতে পারে না
  • তরুণ প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফেসবুক, ইউটিউ, গুগল ব্যবহারে!