শার্শার নিলকুঠি জঙ্গলে চলছে অনৈতিক কারবার!!
যশোরের শার্শা উপজেলার উলশী নীলকুঠি জঙ্গল পার্কে চলছে অবৈধ দেহ ব্যবসা। প্রকাশ্যে এ দেহ ব্যবসা চললেও কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই। নির্ভৃত পল্লীর এ পার্কে বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠতি বয়সের মেয়ে এবং কিছু ভাসমান পতিতা এনে পার্ক কতৃপক্ষ দেহ ব্যবসা করে লাখ লাখ টাকা কামাই করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন যশোর নাভারন ঝিকরগাছা, কলারোয়া, সাতক্ষীরা, বেনাপোল, শার্শাসহ দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে আসা যৌন কর্মী আবার অনেকের গার্ল ফ্রেন্ডকে সাথে নিয়ে শার্শার উলাশী মিলনের নীলকুঠি পার্কে অবৈধ মেলামেশা করে চলে যাচ্ছে। এলাকার উঠতি বয়সের স্কুল, কলেজ গামী মেয়েরা ও ঝুকে পড়ছে এ দেহ ব্যবসায়।
শনিবার নীলকুটি পার্কের গেটে বসে থাকা ভ্যান চালক বজলে রহমান বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মেয়েরা উলশী বাস থেকে নেমে বোরখা পরে এখানে চলে আসে। ঘন্টা দুই পরে এরা আবার চলে যায়। এখানে পার্কের ভিতর ছোট ছোট করে ঘর করা আছে সেখানে খরিদ্দার নিয়ে এরা প্রবেশ করে তারপর তাদের কাজ শেষে এরা চলে যায়।
পার্কের কর্মচারীদের সাথে আলাপ কালে তারা জানায়, আমরা যারা মেয়ে নিয়ে আসে তাদের নিকট থেকে ঘর ভাড়া ঘন্টায় ১ হাাজার টাকা নেই। আার যারা আমাদের মাধ্যমে মেয়ে নেয় তাদের নিকট থেকে আমরা মেয়ে ভেদে দেড় হাজার থেকে ২ হাজার টাকা নেই। পার্কের ভিতর দেখা যায় অনেক স্কুল কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ও ছেলেরা ঘরের আসায় লাইন দিয়ে বসে আছে।
পার্কের জনৈক কর্মচারী বলেন, এখানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা আছে। দেখেন না মেয়ে ছেলেরা লাইন দিয়ে বসে আছে আমরা তাদের ঘর দিতে পারছি না।
সারাদিন এ পার্কের ভিতর সকাল থেকে রাত অবধি চলে দেহ ব্যবসা। পার্কের মালিক মিলন হোসেনকে খোজাখুজি করে পাওয়া যায়নি। কর্মচারীরা বলেন, আপনাদের মিলন ভাইকে কি প্রয়োজন। আমরা এখানে সকল ধরনের ব্যবস্থা করে থাকি। এরপর মিলন আমাদের পরিচিত লোক বললে তারা ফোন দেয় কিন্তু মিলন ফোন রিসিভ করেনি। কর্মচারীদের যখন সাংবাদিক পরিচয় দেই তখন তারা বলে আপনারা বসেন আমরা মিলন ভাইকে ডেকে আনছি। আর আপনারা বোঝেনতো পার্ক হচ্ছে একটি বিনোদনের জায়গা। এখানে কিছু এদিক সেদিক কাজ না হলে পার্ক চলবে কি করে।
বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর গ্রামের সেলিম হোসেন ও কবির হোসেন বলেন, শার্শার উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েরা এবয়সে খারাপ হয়ে যাচ্ছে একমাত্র এই পাকর্রে কারনে। এখানে পরিবার পরিজন নিয়ে বিনোদনের জন্য যাওয়ার কোন প্রশ্নই উঠে না। কারন এখানে গেলে যে দৃশ্য সামনের উপর দেখা যায় তাতে সাধরণ মানুষ সব কিছু উপলব্দি করতে পারে এখানে কি হয়।
এ ব্যাপারে শার্শার বাগআঁচড়া ফাড়ির ইনচার্জ হুমায়ুন কবির এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, উলাশির ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না। এটা শার্শা থানার ভিতর সেখানে কথা বলেন।এলাকাবাসী বিষয়টি জরুরী ভাবে দেখবার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন