আরো খবর...
তালায় কর্মসৃজন প্রকল্পে কপোতাক্ষ পাড়ে রাস্তা নির্মান : দুরত্ব কমলো ৩ কি.মি.

তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাবেক এক চা গবেষকের যৌথ হস্তক্ষেপে কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পে এবার কপোতাক্ষ পাড়ের তালার জেঠুয়া এলাকার হারিয়ে যাওয়া রাস্তাটি ফের ফিরে পাচ্ছে এলাকাবাসী। প্রথমে কপোতাক্ষের করাল গ্রাস ও পরে নাব্যতা হ্রাসে বিলীণ হওয়া বিস্তীর্ণ জনপদের বাড়ি-ঘর,রাস্তা-ঘাট ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হারিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টি ও উজানের উগ্্ের দেওয়া পানিতে সৃষ্ট কৃত্রিম জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি পেতে কপোতাক্ষ খননের পর এবার হারিয়ে যাওয়া রাস্তাটি ফিরে পাওয়ার খবরে এলাকাময় এখন আনন্দের বন্যা বইছে। তারা সাধুবাদ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের।
তালা উপজেলা নির্বাহী কমৃকর্তা মোঃ ফরিদ হোসেন ও বাংলাদেশ চা রিসার্স ইন্সটিটিউটের সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শাহ কামাল লানচু হক জানান,প্রথমে কপোতাক্ষের করার গ্রাসে তালাসহ নদী উপকূলীয় বিস্তীর্ণ জনপদের রাস্তা-ঘাট,ঘর-বাড়ি,ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নদী গর্ভে বিলীণ হয় শ’ শ’ একর আবাদি জমি। এর পর কপোতাক্ষ’র নাব্যতা হ্রাস শুরু হলে কয়েক বছরে তা ভরাট হয়ে অস্তীত্ব সংকটে পড়ে। মৌসুমের বৃষ্টি ও উজানের ঠেলে দেওয়া পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় সৃষ্টি হয় স্থায়ী জলাবদ্ধতার। এমন পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষ কৃত্রিম জলবায়ু উদ্বাস্তু হয়ে আশ্রয় নেয় এখানে-সেখানে। এমন অবস্থায় গণ দাবির প্রেক্ষিতে সরকার কপোতাক্ষ খনন প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করে।
ইতোমধ্যে কপোতাক্ষের বিভিন্ন এলাকায় খনন সম্পন্ন হলে এলাকাবাসী এর সুফল পেতে শুরু করে। এর পর চাহিদার প্রেক্ষিতে জরুরী হয়ে পড়ে চলাচলের যাতায়াত ব্যবস্থার। এলাকাবাসী জানায়,কপোতাক্ষের পাশ দিয়ে এক সময় বাইপাস সড়ক ছিল। যা এলাকার সাধারণ মানুষের ঘরোয়া বা গ্রাম্য রাস্তা বলে পরিচিত ছিল। সব কিছু ফিরে পাওয়ার পর তাদের রাস্তার দাবি রীতিমত রুপ নেয় গণদাবিতে। এমন অবস্থায় স্থানীয় জেঠুয়া এলাকার সাবেক এক চা গবেষক শাহ কামাল লাচ্চু হকের উদ্যোগে ও তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফরিদ হোসেনের যৌথ প্রচেষ্টায় কমৃসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পের অধীনে কপোতাক্ষের জেঠুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন জেলে পাড়া মোড় থেকে জেঠুয়া বাজার পাল বাড়ির মোড় পর্যন্ত প্রায় ২ কিঃমিঃ রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে গত কয়েক দশক আগের রাস্তাটি নতুন করে ফিরে পাবার খবরে আনন্দের বন্যা বইছে জনপদের সাধারণ মানুষের মধ্যে। এজন্য তারা ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের।
প্রসঙ্গত,রাস্তাটি নির্মাণ হলে বিস্তিীর্ণ জনপদের সাধারণ মানুষের চলাচলে প্রায় ৩ কিঃমিঃ রাস্তা কমে চলাচল সহজতর হবে। এর আগে মাত্র কয়েক শ’ মিটার দুরত্বে পৌছাতে ঐ এলাকার মানুষদের পাড়ি দিতে হত কয়েক কিঃ মিঃ এলাকা।
সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে ?
তালায় উপজেলার আমানুল্লাহপুর বাজারটি দীর্ঘ দিনেও পেরী-ফেরীভূক্ত হয়নি
সাতক্ষীরার তালার কুমিরার আমানুল্লাহপুর বাজারটি সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত জমিতে স্থাপিত হলেও দীর্ঘ দিনেও তা পেরী-ফেরী হয়নি। বাজারে প্রায় ৩৫ টি দোকানের কারো নেই কোন মালিকানা। অন্যদিকে সরকারি কোন বন্দোবস্ত না থাকায় বাজারটি থেকে সেই প্রথম থেকেই সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়ে আসছে। সচেতন এলাকাবাসী বাজারটি পেরীফেরী ভূক্তসহ সার্বিক উন্নয়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে,সেই ব্রিটিশ শাষনামল থেকে তালা উপজেলা সদর থেকে ১৩ কিঃমিঃ পশ্চিমে কুমিরা-তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কুমিরার আমানুল্লাহপুর বাজারটি স্থাপিত হয়। তৎকালীণ স্থানীয় এক সনাতন ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি নিজ সম্পত্তিতে বাজারটি স্থাপন করেন। পরে তিনি এলাকা ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ায় ঐ সম্পত্তি সরকার খাস খতিয়ানভূক্ত করে। পর্যায়ক্রমে বাজারটিতে ৩৪ জন দোকানি ইট দিয়ে ৩৪ টি দোকান ঘর নির্মাণ করলেও তাদের নিজস্ব কোন কাগজ-পত্র নেই। এমনকি তাদের কেউ কেউ বন্দোবস্তর জন্য আবেদন করলেও বিষয়টি আমলে নেয়নি সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। অন্যদিকে বাজারটি পেরীফেরীভূক্ত না করায় প্রতি বছর বড় অংকের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
বাজরের স্থায়ী দোকানদার সূর্য কুমার দাশ,প্রশান্ত কুমার দাশ,সরু সরদার,প্রশান্ত দাশ,নিমু দাশ, মোহাম্মদ আলী,আজিজুর শেখ,আঃ করিম খোকন,সন্তোষ রায়,আবু বক্কর ও বুলু জানায়,সেই ব্রিটিশ আমল থেকে তাদের পূর্ব পুরুষরা বাজারটিতে ব্যবসা-বাণিজ্য করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। তবে তাদের বৈধ কোন কাগজ-পত্র নেই। তারা এসময় আরো জানান,দোকানিদের কেউ কেউ ২০১৫ সালের দিকে বন্দোবস্ত প্রাপ্তিতে আবেদন করলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি।
এদিকে চলতি সরকারের শাসনামলে সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গেলেও বাজারটিতে এতটুকু উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এমনকি সরকারের হাট-বাজার তালিকায়ও নেই বাজারটির নাম। স্বাধীনতা পরবর্তী অদ্যবধি বার বার সরকারের পট পরিবর্তন হলেও কোন সরকারের কোন জনপ্রতিনিধি বাজারটি উন্নয়নে ন্যুনতম কাজ করেনি। তাই ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি সেখানকার ব্যবসায়ীদের।
এ ব্যাপারে কুমিরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদার (ইউএলএও) আমিনুল ইসলামের ০১৭১৭-৬১৪৩৪৮ নং মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। কুমিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামের নিকট মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন,…। এলাকাবাসী জানায়,বাজার কেন্দ্রিক আমানুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাজারের উপর একটি… মন্দির ছাড়া এলাকায় এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি কোন শিক্ষা বণিজ্যিক কিংবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
আমানুল্লাহপুর বাজার কমিটি থাকলেও দীর্ঘ দিন কমিটির নির্বাচন হয়না। কমিটির বর্তমান সভাপতি আঃ করিম এ প্রতিনিধিকে জানান,বাজারটিতে এর আগে নৈশ প্রহরার ব্যবস্থা থাকলেও নানা সংকটে তা বেশ কিছু দিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফরিদ হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,তালার আমানুল্লাহপুর নামে কোন বাজার আছে সেটা তার জানা ছিলনা। অবশ্যই এব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)


একই রকম সংবাদ সমূহ

১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন

‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন

তালায় ইউএনও’র প্রেরণায় গার্লস হাইস্কুলে ডেইলি স্টার কর্নার চালু
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও’র অনুপ্রেরণায় শহীদ আলী আহম্মেদ বালিকাবিস্তারিত পড়ুন