আরো খবর...
তালায় সরকারি সম্পত্তি থেকে অর্ধ লক্ষাধিক টাকার গাছ কর্তনকালে জব্দ ॥ মামলার প্রস্তুতি
সাতক্ষীরার তালার খলিলনগর তহশীল অফিসের নিজস্ব পুকুরের সীমাণা থেকে ৪টি মেহগণি গাছ কাটার সময় মঙ্গলবার বন্ধ করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
সর্বশেষ সরকারি সম্পত্তি থেকে গাছ কর্তনের অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন,খলিল নগর ভূমি অফিসের তহশীলদার তালুকদার মোহাম্মদ হাছনাত। এর আগে তিনি সরকারি সীমাণা থেকে গাছ কর্তন বন্ধে এলাকাব্যাপী মাইকিং করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে- তালার খলিলনগর ইউনিয়নের ভুমি অফিসের নিজস্ব পুকুরের সীমাণা ও স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সরকারি ১৯৯ দাগের জমির মধ্য থেকে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক মৃত নওয়াবালী সরদারের ছেলে সামাদ সরদার সম্প্রতি কাউকে না জানিয়ে ৪ টি বড় সাইজের মেহগণি গাছ মাত্র ৪২ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন জনৈক কাঠ ব্যবসায়ী মিজানের কাছে।
মঙ্গলবার সকালে কাঠ ব্যবসায়ী ঐ গাছগুলি কাটতে থাকলে এলাকাবাসী স্থানীয় ভূমি অফিসে খবর দেয়। খবর পেয়ে দুপুর আনুমানিক ২ টার দিকে ভূমি অফিসের তহশীলদার মোহাম্মদ হাছনাত ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছগুলি কাটা বন্ধ করে দেন। এরপর বিকেলে সামাদ সরদার গাছগুলি তার সীমাণার মধ্যে দাবি করে স্থানীয় সার্ভেয়ার আঃ রশিদকে দিয়ে জরীপ করালেও গাছগুলি সরকারি সীমাণার মধ্যে পড়ে যায়।
এব্যাপারে তহশীলদার মোহাম্মদ হাছনাতের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন- গাছগুলি সরকারি সীমাণার মধ্যে পড়ায় তিনি তাৎক্ষণিকভাবে নোটিশ দিয়ে গাছ কর্তন বন্ধ করে দেন। এরপর বিকেলে জমি মালিক সামাদ সরদার তা চ্যালেঞ্জ করে স্থানীয় সার্ভেয়ার দিয়ে জরিপ করালেও তা সরকারি সীমাণার মধ্যে পড়ে। এ অবস্থায় সর্বশেষ সামাদ সরদারের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত সামাদ সরদারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন- তার জানামতে ঐএলাকা তার সীমাণার মধ্যে ছিল।
বিশ্বাস্থসূত্রে জানা যায় যে,ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত সামাদ সরদার প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহলের নিকট জোর প্রচেষ্টা চেষ্টা চালাছে ।
কপোতাক্ষ নদের উপর ক্রসড্যাম স্থাপন ও টিআরএম বিল ব্যবস্থাপনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন
তালা কপোতাক্ষ নদের উপর ক্রসড্যাম স্থাপন, পাখিমারা টিআরএম বিল ব্যবস্থাপনা ও পেরিফেরিয়াল বাঁধ পরিস্থিতি নিয়ে প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মার্চ) বেলা ১১টায় উত্তরণ ও পানি কমিটি আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তালা উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি মো: ময়নুল ইসলাম।
তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, কপোতাক্ষ নদের নাব্যতা বৃদ্ধি ও জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানকল্পে বাংলাদেশ সরকার বিগত ২০১১ সালে ‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্পে (১ম পর্যায়)’ মূলতঃ দুটি কাজ বাস্তবায়ন করা হয়। যার আওতায় একটি পাখিমারা বিলে টিআরএম স্থাপন এবং অন্যটি প্রায় ৯০ কিমি. নদী খনন করা হয়। টিআরএম চলাকালে মূল নদের উপর ক্রসড্যাম দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে জোয়ারবাহিত পলি উপরাংশে না ঢুকিয়ে টিআরএম বিলে প্রবেশ করানো হয় এবং বর্ষা মৌসুমের শুরুতে পুনরায় ক্রসড্যাম তুলে দেয়া হয়। এখানে প্রকাশ জরুরী যে, এই প্রকল্প গ্রহণের পরে ২০১৬-২০১৭ সালে কপোতাক্ষ অববাহিকায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি পায়। কিন্তু এ বছর ক্রসড্যাম দেওয়াতে দেরী হওয়ায় প্রচুর পরিমাণে পলি টিআরএম এর উজান অংশে প্রবেশ করে নদীর তলদেশ ভরাট হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে এলাকাবাসীর অভিযোগ, ডিসেম্বর-জানুয়ারীতে অর্থাৎ শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে নদীতে ক্রসড্যাম না দিয়ে তিন মাস পর ক্রসড্যাম দেয়ার কারণ তদন্ত করা হোক। উত্তরণের অনুসন্ধানের আলোকে, পলিযুক্ত জোয়ার বাহিত প্রতি লিটার পানিতে প্রায় ৫০ গ্রাম পলি নদীতে অনুপ্রবেশ করছে। যদিও সরকার ইতোমধ্যে ক্রসড্যাম স্থাপনের কাজ গ্রহন করেছে কিন্তু তা ধীর গতিতে বাস্তবায়ন হচ্ছে। কিন্তু অতি দ্রুত যদি এই ক্রসড্যাম যদি স্থাপন করা না হয় তাহলে এই ২৬২ কোটি টাকার প্রকল্পের সুফল বেশিদিন থাকবে না। পাশপাশি বিল অধিবাসীদের দাবী বর্ষা মৌসুম শুরুর পূর্বেই পাখিমারা টিআরএম বিলের চারিধারের পেরিফেরিয়াল বাঁধের সংস্কার অতিজরুরী।
আরও প্রকাশ থাকে যে, ইতোপূর্বে পেরিফেরিয়াল বাঁধ ভেঙ্গে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলো প্লাবিত হয়ে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং জনগণের দূর্ভোগ ও জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। যা প্রকল্প বাস্তবায়নকে হুমকির মধ্যে ফেলে দেয় এবং যা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করে। সুতরাং পেরিফেরিয়াল বাঁধ সংস্কার করা জরুরী। এছাড়াও স্থানীয় জনগণ ও পানি কমিটির দাবীর প্রেক্ষিতে এবং উত্তরণের গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে যে, প্রকল্পটির সঠিক সুফল পাওয়ার জন্য সংযোগ খালের মাধ্যমে বেসিনের দূরবর্তী পশ্চিমাংশে যাতে অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণে পলি অবক্ষেপিত হতে পারে তার ব্যবস্থা জরুরী।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অতিদ্রুত পাখিমারা টিআরএম বিলের বালিয়া কাটপয়েন্টে নদীর উজানমুখে ক্রসড্যাম স্থাপন, জরুরীভাবে পাখিমারা টিআরএম বিলের পেরিফেরিয়াল বাঁধ সংস্কার, গুরুত্ব প্রদান করে পাখিমারা টিআরএম বেসিনের দূরবর্তী পশ্চিমাংশে পলি অবক্ষেপনের ব্যবস্থা করা এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারীতে অর্থাৎ শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে নদীতে ক্রসড্যাম না দিয়ে তিন মাস পর ক্রসড্যাম দেয়ার কারণ তদন্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি করা হয়। এ সময় প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় দ্রুত শুরু করারও দাবী জানানো হয়।
নতুন বিলের চেয়ে চলমান এই বিলে আরও ৫-৭ বছর জোয়ারাধার চালানো সম্ভব, তাতে আর্থিক সাশ্রয়সহ নানাবিধ জটিলতা হ্রাস পাবে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করে উপরোল্লেখিত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানানো হয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
তালায় ইউএনও’র প্রেরণায় গার্লস হাইস্কুলে ডেইলি স্টার কর্নার চালু
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও’র অনুপ্রেরণায় শহীদ আলী আহম্মেদ বালিকাবিস্তারিত পড়ুন