বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর শাহ হাদিউজ্জামানের দাফন সম্পন্ন
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রবীণ রাজনীতিক পীরজাদা শাহ হাদিউজ্জামানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাদ আছর যশোরের শিল্পনগরী নওয়াপাড়ার পীরবাড়ি মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার ও জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে, রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল, যশোর-৪ (অভয়নগর ও বাঘারপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য রনজিত কুমার রায়, যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম, সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খালেদুর রহমান টিটো, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র সুশান্ত দাস শান্তসহ আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী, যশোরের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ জনগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, শাহ হাদিউজ্জামানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক জানিয়েছেন।
পীরজাদা শাহ হাদিউজ্জামানের ছেলে শাহ খালিদ মামুন জানান, জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন শাহ হাদিউজ্জামান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩ ফেব্রুয়ারি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেখান থেকে রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে আনা হয় তাকে। সেখানে রাত ১২টার দিকে শাহ হাদিউজ্জামান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে শাহ হাদিউজ্জামান ১৯৭১ এর গণপরিষদ সদস্য, যশোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে পাঁচ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, ২০০৮ সাল থেকে যশোর জেলা পরিষদের প্রশাসক ও ২০১৬ সালের ডিসেম্বর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এছাড়া ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় গণপরিষদের সদস্য মনোনীত হন তিনি।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শাহ হাদিউজ্জামান দেশ মাতৃকার টানে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ভারতের কালছি নদীর পাড়ে দেরাদুন পর্বতে বিএলএফ (বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সে) গেরিলা ট্রেনিং নেন। ট্রেনিং শেষে বর্তমান খুলনা বিভাগে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে কাজ করেন তিনি। বঙ্গবন্ধু তাকে কখনো হাদী আবার কখনো পীরজাদা নামে ডাকতেন।
২০০৮ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তাকে যশোর জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় গণপরিষদ সদস্য এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের মনোনয়নে যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। তবে শপথ গ্রহণের কয়েকদিন পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও তিনি জেলার আপামর জনগণের কাছে ক্লিন ইমেজের প্রবীণ রাজনীতিবীদ হিসেবে জনপ্রিয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন