আরো খবর....
কেশবপুর উপজেলায় জাতিয় পাট দিবসে পাটর্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
যশোরের কেশবপুর উপজেলায় জাতিয় পাট দিবসে পাটর্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পাট অধিদপ্তর এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার হলরুমে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা সঞ্চালনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানূর রহমানে এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা সাদেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ রানা,উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস আর সাইদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আকবর আলী। অন্যন্নদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা পুলোক কুমার শিকদার প্রমুখ।
আলোচনা অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে জাতিয় পাট দিবসে বাংলার পাট বিশ্বমাত,সোনালী আঁশের সোনার দেশ পাট পন্যের বাংলাদেশ এই স্লোগানকে সামনে রেখে পাটর্যালি শহরের বিশেষ বিশেষ জায়গা প্রদক্ষিণ করে।
কেশবপুর উপজেলায় নারী উদ্যোক্তা ও ব্যাবসা ব্যাবস্থাপনা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত।
যশোরের কেশবপুর উপজেলায় মঙ্গলবার সাকালে বি আর ডিপি এর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্তাবধানে এসোসিয়েসন ফর রাইট্স এন্ড পিচ (এ আর পি) বাস্তবায়নে উপজেলা পর্যায়ে তৃণমূল নারী উদ্যোক্তাদের তিনদিন ব্যাপি দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ও ব্যাবসা ব্যাবস্থাপনা প্রশিক্ষণ কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলায় নারী উদ্যোক্তা ও ব্যাবসা ব্যাবস্থাপনা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা শেফা। তিনি বলেন, এ দেশকে উন্নয়নের শিখরে পৌছাতে হলে নারীদের ব্যাপক ভূমিকা রাখতে হবে,সকল নারীদের সূশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। বিভিন্ন প্রশিক্ষনের মাধ্যমে নিজেদেরকে আতœনির্ভরশীল হতে হবে। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র প্রশিক্ষক রবীন্দ্রনাথ ব্যানার্জী , প্রশিক্ষক এস এম মনিরুজ্জামান ৩০ জন মহিলা উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন। নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ও ব্যাবসা ব্যাবস্থাপনা প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ,বিলকিস আরা বিলি,মনিরা খানম,নাঝমা সুলতানা,মাহফুজা,তহমিনা প্রমুখ।
এবারও ভয়াবহ বন্যার আশংকা কেশবপুরে সরকারী খালগুলো ঘের মালিকদের অবৈধ দখলে
যশোরের কেশবপুর উপজেলায় বর্ষা মৌসুমের আগেই খালগুলো উদ্ধার ও নদনদী খনন করে দ্রুত পানি নিস্কাশনের দাবি জানিয়েছেন বন্যা কবলিত কেশবপুরবাসী। বন্যার পানি নিস্কাশনের রাস্তায় বেরীবাঁধ দিয়ে মৎস্য চাষ । অধিকাংশ সরকারী খালগুলো ঘেরমালিকদের অবৈধ দখলে থাকায় এবারও ভয়াবহ বন্যার আশংকা।
সরেজমিন কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকাঘুরে দেখা ও জানাগেছে, বন্যা কবলিত এ উপজেলায় কাগজে কলমে ১৬৩টি খালের কথা উল্লেখ থাকলেও দ্রুত গতিতে পানি নিষ্কাশনের জন্যে ১৫টি সরকারী খালের সন্ধান মিলেছে, যার অধিকাংশই প্রভাবশালী ঘের মালিকদের দখলে। হরিহর, বুড়িভদ্রা নদী ও কপোতাক্ষ নদের দুকূল দখল হতে হতে সরু হয়েগেছে। পলিভরাট হওয়ায় পানি নিস্কাশনে গতিরোধ হয়ে প্রতি বছর কৃত্রিম বন্যায় সর্বশান্ত হচ্ছে নি¤œআয়ের মানুষ।
উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত খালগুলোর মধ্যে পাঁজিয়া ইউনিয়নের হদ খাল (৩কি.মি.) মাস্টার মনিরুল ইসলাম, ঘাঘা-হদের মধ্যবর্তী খাল সাবেক মেম্বার বিশ্বনাথ, মোস্তফা ও রশিদ বিশ্বাস, বুড়–লি ,চুয়াডাঙ্গা কানাই শিষের খালের প্রায় ৪ কিঃমিঃ এলাকার সাবেক মেম্বার আঃ কাদের বিশ্বাস, পাঁচপোতা বিলের মঙ্গলকোট-বাদুড়িয়া থেকে হিজলডাঙ্গা পর্যন্ত ৩কিঃমিঃ খাল মঙ্গলকোট এলাকার মহসিন,পৌরসভার মূলগ্রাম-মধ্যকূলের বিল বলখালী ও টেপোর খাল সুলতান ও বাবু, বাঁকাবর্শীর বিল গরালিয়ার খাল ও দ’ুপাশ প্রায় ৩কি.মি. ভেড়ী হিসেবে দখল করছে বুলু বিশ্বাস, সেলিমুজ্জামান আসাদ, চান, মৃনাল, কামরুল বিশ্বাস, পদ্ম বিল, কাকলেতলা ও ধর্মপুর-ফতেপুর খালের প্রায় ২ কিঃমিঃ কামরুল বিশ্বাস, কাদারবিলের নেহালপুর খালের কিছু অংশ নজরুল ইসলাম, মহাদেবপুর বিল সংলগ্ন খালটির আংশিক পৌরসভার ভোগতি গ্রামের মুক্তার আলী সহ ২০ জন দখল করে মাছচাষ করে আসছে।
এছাড়া হাড়িয়াঘোপ এলাকার হাজুয়ার বিল, কাটাখালীর বিল খুকশিয়া, বিষ্ণুপুর বিলসহ ছোট বড় অনেক খাল স্থানীয় প্রভাবশালী ঘের মালিকরা অবৈধভাবে দখলে রেখেছেন। সম্প্রতি, বিল বোয়ালিয়া সংলগ্ন খালটি বিভিন্ন দৈনিক জাতীয় ও আঞ্চলিক সহ অনলাইনে খবর প্রকাশের পর জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রচেষ্টায় ঘের মালিক আসাদের দখল থেকে মুক্ত করেছেন।
সরকারী খাল দখলের বিষয়ে ঘের ব্যবসায়ী সেলিমুজ্জামান আসাদ বলেন, বর্তমানে আমার জানামতে কোন ঘেরের ভেতর সরকারী খাল নেই। যদি থাকে আমি ছেড়ে দেব।
ঘের ব্যবসায়ী মঙ্গলকোট ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আব্দুল কাদের সরকারী খাল দখলের কথা স্বীকার করে বলেন, হাজী মোঃ মোহসিনের সৈয়দপুর ট্রাস্টের ৬২সালের রেকর্ডকৃত মালিকানাধীন বুড়–লী খালটি খুলনা জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে প্রতিবছর লীজ নিয়ে আমিসহ প্রায় ২০জন মাছচাষ করে আসছি।
অধিকাংশ ঘেরমালিকরা দখলের কথা অস্বীকার করে ডিসিআর কেটে মাছচাষের কথা জানান। কিন্তুু অফিস সূত্রে জানাগেছে, ভুমি অফিস কোন সরকারী খাল ডিসিআর দেয়ার বিধান নেই।
খুলনা-যশোর পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সভাপতি মহির উদ্দীন বিশ্বাস বলেন,উপজেলা বন্যাকবলিত হওয়ার কারণ উপজেলায় প্রবাহিত হরিহর, বুড়িভদ্রা নদী ও কপোতাক্ষ নদে পলি ভরাট, আভ্যন্তরীন খাল ভরাট ও দখল, অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা সহ¯্রাধিক ঘেরে শুকনা মওসুমে ডিপটিউবওয়েল এর মাধ্যমে গভির থেকে পানি উঠিয়ে মৎস্যঘের ভরাট করায় বর্ষা মৌসুমে ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে । বৃষ্টির পানি উপচেপড়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ঘেরের ড্রেনেজ রুট অত্যন্ত সরু ও পানি নিস্কাশনের পথে লোহার গ্রীল (সাকুনী)দিয়ে আটকে রাখে। শুধু বন্যা নয়, আষাঢ় থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে বৃষ্টি হয়, অবৈধ খাল দখলের কারণে দ্রুত পানি নিস্কাশন না হওয়ায় বোরো মৌসুমে ফসলে বিলম্ব হয়, কৃষকের খরচ বেশী এবং উৎপাদনও কম হয়,সঠিক দর পায় না। এ সময় উপজেলার বিল গরালি, বলখালী, টেপো, বুড়–লি,চুয়াডাঙ্গা,পাথরা, পদ্ম, কাদা, বোয়ালিয়া,নেহালপুর সহ অন্যান্ন স্লুইস গেটে ঘের মালিকরা পানি আটকে রাখার ম্বার্থে গেটে অতিরিক্ত গ্রীল, পুরু পলিথীন অথবা মাটি দিয়ে আটকে রাখে। যা বাইরে থেকে দেখা যায় না এভাবে পানি প্রবাহ শ্রোত ও নিস্কাশনে বাঁধাগ্রস্ত করে, যেটি বন্যার অন্যতম কারণ। তিনি আরও বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমের আগেই নদী ও সরকারী খালগুলো দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধার ও খনন করা না হয়, তবে প্রতিবারের থেকে এবার ভয়াবহ বন্যার আশংকা রয়েছে।
এ বিষয়ে কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ সায়েদুর রহমান জানান, অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা শত শত অবৈধঘের খাল দখল এবং নদনদীতে পর্যাপ্ত পলি পড়ে ভরাট হওয়ায় প্রতিবছর বন্যা এবং জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এবার বৃষ্টি মৌসুমের আগেই প্রত্যেকটি সরকারী খাল দখলমুক্ত করে বন্যা মোকাবেলার জন্য কেশবপুরের সংসদ জণপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মহদয়ের নির্দেশনা রয়েছে।সে অনুযায়ী কাজ চলছে। এব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানূর রহমান জানান, বর্ষা মৌসুমের আগেই প্রত্যেকটি সরকারী খাল দখলমুক্ত করা হবে।
কেশবপুরে পল্লী বিদ্যুত্যের লাইনম্যান থাকা সত্বেও অদক্ষ শ্রমিক দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ শ্রমিক রোস্তম ঝলসে গেলো
যশোরের কেশবপুরে পল্লী বিদ্যুতের লাইনম্যান থাকা সত্বেও শ্রমিক দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে রোস্তম গোলদার (৫২) নামে এক শ্রমিক বিদ্যুৎ ষ্পৃষ্ট হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতের পারিবারীক সুত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর-ব্রাম্মণডাঙ্গা এলাকায় নুতন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কাজ চলাকালীন সময়ে কেশবপুর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় ডিবদ্য ষ্পৃষ্ট হয়ে পাবলিক শ্রমিক পাঁজিয়া গ্রামের মৃত জবেদ গোলদারের ছেলে রোস্তম গোলদার বিদ্যুৎষ্পৃষ্ট হয়। এ সময় তার সমস্ত শরীর ঝলসে যাওয়াসহ গুরুতর দ্বগ্ধ যায় । তাৎখনিক তাকে কেশবপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় ।
পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়
।
রোস্তম গোলদারের পারিবারীক সুত্র জানিয়েছে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক তাকে খুলনা থেকে ঢাকা বার্ণ ইউনিটে নিতে হবে। তার অবস্থা আশংকাজনক।
কেশবপুর পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের লাইনম্যান থাকা সত্বেও বাইরের অদক্ষ শ্রমিক দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কারণে দুর্ঘটনা হয়েছে বলে এলাকাবাসী মনে করছে। কতৃপক্ষের বিষয়টি তদনÍপূর্বক ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য এলাকাবাসী অনুরোধ জানান।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন