আহত স্ত্রীর খবর নেননি মোদি
গত সপ্তাহে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্ত্রী যশোদাবেন। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে তার কোনও খবর কোথাও নেই। দিল্লি হোক বা গুজরাট বিজেপির কিছু নেতাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তাদের কাছেও খবর নেই।
ঘুরেফিরে একই জবাব, ‘প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী। হাইপ্রোফাইল বিষয়। আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে।’ একজন তো বলে বসলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী বলে খোঁজ নেয়াও বারণ।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল দশটার রাজস্থানে যশোদাবেনের গাড়ির সঙ্গে একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি। তার পরিবারের একজন মারা যান।
এখন কেমন আছেন যশোদাবেন?
টেলিফোনে ধরা গেল তার ভাই অশোক মোদিকে। গুজরাটের মেহসানায় তার সঙ্গেই থাকেন যশোদাবেন। তিন বছর আগে পাসপোর্টের আবেদনে যশোদাবেন যখন স্বামী হিসেবে মোদির নাম লেখেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তখন সে আবেদন খারিজ করেছিল। বলেছিল, বিয়ের সার্টিফিকেট কিংবা স্বামী-স্ত্রীর যৌথ হলফনামা নেই। সেই সময়েও এই অশোকই যশোদাবেনের পাশে দাঁড়িয়ে সরব হয়েছিলেন।
সেই অশোকই এ দিন বললেন, ‘যশোদাবেন আপাতত ঠিকই আছেন। বাড়ি ফিরে এসেছেন। তার হাতের আঙুলের হাড় ভেঙেছে।’
দুর্ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী কিংবা তার দপ্তর থেকে কোনও ফোন? কোনও খোঁজ নেয়া?
অশোক মোদির আফশোস, ‘কোনও ফোন আসেনি। কেউ খোঁজ নেননি। গুজরাট সরকারের থেকেও কেউ খোঁজ নেয়নি। তবে দুর্ঘটনার সময় রাজস্থান সরকার সাহায্য করেছে।’
ঘটনাচক্রে দুর্ঘটনার দিনই সংসদের দুই সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যসভায় কংগ্রেসের নেত্রী রেণুকা চৌধুরীর হাসি নিয়ে কটাক্ষ করেন। তখনই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, নিজের স্ত্রীকে যিনি সম্মান দিতে জানেন না, তিনি কী করে অন্য নারীর সম্মান রক্ষা করবেন?
অনেকেরই মত, লোকসভা নির্বাচনের সময়ে বাধ্য হয়ে প্রথম বার স্ত্রীর নাম হলফনামায় লিখেছিলেন মোদি। দুর্ঘটনার পর একবার খোঁজ নিতে পারতেন।
বিজেপি নেতাদের অবশ্য মত, এটি নিতান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। এই নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।
১৯৫২ সালে গুজরাটে জন্মগ্রহণ করেন যশোদাবেন। ঐতিহ্য অনুসারে তারা শিশু থাকা অবস্থায় উভয় পরিবারের আয়োজনে তাদের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬৮ সালে তাদের বিয়ের সময় নরেন্দ্র মোদির বয়স ছিল ১৮ এবং যশোদাবেনের ১৬। বিয়ের পর পরই তারা একত্রে সাংসারিক জীবন শুরু করেন। বিয়ের কিছুদিন পরে নরেন্দ্র মোদি যশোদাবেনকে ছেড়ে তিন বছরের জন্য সন্ন্যাস নিয়ে হিমালয়ে চলে যান। পরবর্তী জীবনে তিনি তার কাকার রেস্তোরাঁ ও সরকারি অফিসে চাকরি করলেও যশোদাবেনকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেননি।
আনুষ্ঠিকভাবে তিনি প্রথম বারের মতো তার বিয়ের কথা স্বীকার করেন ২০১৪ সালে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রচারণা প্রাক্কালে। যশোদাবেন নিজেকে নরেন্দ্র মোদির স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তিনি বিয়ের পরেও তার পড়াশোনা চালিয়ে যান ও শিক্ষাজীবন শেষ করেন এবং পরবর্তীতে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন।
১৯৯১ সালে তিনি তার বর্তমান বাসস্থান রাজসেনা গ্রামে চলে আসেন। বর্তমানে তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা এবং তিনি প্রতি মাসে ১৪ হাজার রুপি ভারতীয় রূপি অবসরভাতা পান।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
পাকিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৯ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে ১৯বিস্তারিত পড়ুন
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হিক্কা
ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিক্কা। এর ফলে ঝড়ের পাশাপাশি ভারীবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন