আরো খবর...
কেশবপুরে যুবককে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ
কেশবপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা এক যুবককে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পলাশ মোড়ল বাদি হয়ে কেশবপুর থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শিকারপুর পাত্রপাড়া গ্রামের মৃত সামাদ আলী মোড়লের ছেলে আবুল কালাম আজাদ মোড়লের সাথে আপন চ্চাা আহাদ মোড়লের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে শুক্রবার দুপুরে আহাদ মোড়ল তার দুই ছেলে বাপ্পি মোড়ল, বাবু মোড়ল, নাজমা বেগম মিলে লাঠিসোটা, লোহার রড, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আবুল কালামের বসতবাড়ির উপর গিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আবুল কালাম (২৮) কে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করা হয়। এ সময় তার পরিবারের লোকেরা ঠেকাতে আসলে তাদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে। আহতরা হলেন নাহিদ মোড়ল (১৮) ও পলাশ মোড়ল (৩৬)। আহতরা স্থানীয় চিকিৎসা নিয়েছে।
পাষন্ড স্বামীর পছন্দ না হওয়ায় যৌতুকের দাবি এনে নববধূর উপর নির্যাতন, আদালতে মামলা
কেশবপুরে পাষন্ড স্বামীর পছন্দ না হওয়ায় যৌতুকের দাবি এনে নব বধূর উপর অমানুষিক নির্যাতন ৫ লক্ষ টাকা প্রতারণা করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় সোহানা ফেরদৌস বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে যশোর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রে আদালতে যৌতুক ও পারিবারিক দুটি মামলা দায়েরন করেছে। যার মামলার নং- ১২৫৯/১৭, তারিখ- ১৩/০৬/২০১৭ ও ১৩৭৪/১৭, তারিখ- ১৪/০৬/২০১৭। মামলার পর থেকে পাষান্ড স্বামী গ্রেফতার এড়াতে গাঢাকা দিয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে- উপজেলার আলতাপোল গ্রামের করির হোসনের ছেলে কাওছার হোসেনের সাথে যশোর জেলার সদর উপজেলার সুটিঘাটা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে সোহানা ফেরদৌস এর সঙ্গে ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি মুসলিম শরিয়াত মোতাবেক উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের সময় আমার স্বর্ণাঙ্কার ও স্বামীর সংসারের ৫ লক্ষ টাকার মূল্যের সকল জিনিস পত্র দেওয়া হয়। সোহানা ফেরদৌস সাংবাদিকদের জানান, কলেজে পড়া কালীন কাওছারের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তারই সুবাদে পরবর্তী সেটা প্রেমের সম্পর্ক গোড়ে উঠে। এর কিছু দিন পর আমাদের সম্পর্কের কথা উভয় পরিবারে মধ্যে জানাজানি হলে আমাদের বিবাহের কথাবার্তা চলে। এরপর উভয় পরিবারের সম্মতিতে আমাদের বিবাহ হয়। বিবাহের পর আমার স্বামী কখনও তার পিতার বাড়িতে আবার কখন আমাদের বাড়িতে থেকে অনার্স ক্লাস করতে থাকে। আমার স্বামী কাওছার ঢাকার বেসরকারী বিশ্ববিদ্যলয় ইউওডিএ তে ই্ংরেজিতে অনার্স পরীক্ষা দেয়া। এরপর মাস্টার্সে ভর্তির জন্য আমার পিতার নিকট থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা নেয়। এরপর সে ল্যাপটপ কিনে দিতে হবে বলে আমার পিতার নিকট দাবি করে। আমার পিতা তাকে ল্যাপটপ কিনতে ৪০ হাজার টাকা দেয়। এরপর সে ঢাকাতে গ্রামীণ ফোনের কল সেন্টারে চাকুরী পায়। চাকুরীকালীন সে ছুটি পেয়ে শ্বশুর বাড়িতেও আসে এবং গত ২৫ মে ২০১৭ তারিখে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসলেও শ্বশুর বাড়িতে আসেনি। তখন আমি মোবাইল ফোনে আমাদের বাড়িতে আসতে বললে সে জানায় ওই চাকরির কোন ভবিষ্যত নেই সে জন্য আমি ওই চাকুরী পাশা পাশি ঢাকাতে একটি ফাস্ট ফুডের দোকানে চাকুরী করব সে জন্য আমার পিতার নিকট ১ লক্ষ টাকা চায়। এরপর বিভিন্ন অযুহাতে চাকুরী ভাল লাগছে না বলে বিদেশ যাবে বলে কাওছার আমার পিতার নিকট যৌতুক হিসাবে ৩ লক্ষ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় পরের দিন ২৬ মে ২০১৭ তারিখে সকাল ৯ টার দিকে আবারও ৩ লক্ষ যৌতুকের দাবি এনে আমাকে পাষন্ড স্বামী কাওছার, শ্বশুর কবীর হোসেন, শ্বাশুড়ি সালেমুন্নেছা রুবী, ননদ মরিয়াম আক্তার মিলে চুলের মুঠা ধরে টানা হেছড়া করতে করতে চড় থাপ্পড় মারপিট করে আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকারে পাষন্ড স্বামী মিলে আমার উপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। সময়মত যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় সব সময় স্বামীর পরিবারের লোকজন আমার সঙ্গে দূর্ব্যাবহার করে আসত। পরের দিন সকালে স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে পিতার বাড়িতে চলে যায়। এক পর্যায়ে ১০ জুন ২০১৭ তারিখে বিকেলে স্বামীর পরিবারের লোকজন ও চাচা মিলে আমার বাড়িতে দাওয়াত করতে আসেন। দুপুরে খাওয়ার পর বিকালে আমাকে বউ হিসাবে ঘরে নেবে বলে আমার পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় বসে। তার পর আমাকে স্বামীর পছন্দ না হওয়ায় যৌতুক হিসাবে ৩ লক্ষ টাকা না পেলে স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করিব না। এর পর স্বামীর পরিবার আমাকে রেখে বাড়িতে চলে যায়। এবং বলে ৩ লক্ষ টাকা না দিলে বাড়িতে তুলব না। এরপর স্বামীর পড়াশুনা খরচ বাবদ আবাও ৩ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। ২৬ মে ২০১৭ তারিখে মিমাংসার চেষ্টা করিলে তারা কোন কথা মানেনি। তার পর যদি আমার বাড়িতে তুই আসিস তা হলে তোকে খুন করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করব। এছাড়া মামলা তুলে নিতে একের পর এক বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে প্রকাশ্যে ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদর্শন করছে এবং আমাকে সব সময় স্বামীকে ডিভোজ দেওয়ার জন্য স্বামীর পরিবারের লোক জন মরিয়া হয়ে উঠেছে। স্বামীকে ডিভোজ না দিলে তোর খবর আছে। মেয়ের পিতা সিরাজুল ইসলাম মাতা জাহানারা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন কারণে অকারণে ঘরে মধ্যে আটকে রেখে বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতন সহ অমানুষিক নির্যাতন চালায়। তারা একের পর এক যৌতুকের দাবি এনে ও আমার মেয়েকে পছন্দ না হওয়ায় দিনে পর দিন চলতে থাকে তার উপর নির্যাতন। পাষন্ড স্বামী একের পর এক পড়া শুনাসহ চাকুরীর সুবাদে আমার পিতার নিকট থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমি পাষন্ড স্বামীর হাত থেকে রেহায় পেতে উধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে আমার পরিবার।
এব্যাপারে কাওছার হোসেনের ০১৭১১০৮৫৩০৪ নম্বারে মুঠো ফোনে বার বার ফোন দেওয়া হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন